‘যমযমের
পানি’ পান করার ফযীলতঃ
রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যমযমের পানি সম্পর্কে বলেছেন,
“তা হচ্ছে
বরকতময় পানি, এবং তা খাদ্যের কাজ করে।”
[সহীহ মুসলিমঃ
২৪৭৩]
যে কোনো
বালা-মুসীবত বা রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে অথবা, কোন নেক উদ্দেশ্য
পূরণের জন্য যমযম পানি পান করার পূর্বে আল্লাহর কাছে দুয়া করা একটি ‘সুন্নত’ সম্মত আমল।
রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যমযমের
পানি যে যেই নিয়তে পান করবে, তার সেই উদ্দেশ্য পূরণ হবে।”
[সহীহ ইবনে মাজাহঃ
২৮৮৪, হাদীসটি সহীহ শায়খ আলবানী (রহঃ) ইরওয়াউল গালীলঃ ১১২৩]
যমযমের পানি নিজে
থেকে মানুষের কোনো উপকার বা ক্ষতি করতে পারেনা। আপনার দুয়া কবুল হবে নাকি, হবেনা
তা নির্ভর করে আপনি আল্লাহর উপর কতটুকু বিশ্বাস ও ভরসা নিয়ে দুয়া করছেন, তার উপরে। আমাদের দেশে স্বল্পতার জন্যে অনেকে যমযমের পানির সাথে সাধারণ
পানি মিশিয়ে পান করেন। এটা ঠিক নয়, বরং অল্প হোক বা বেশি হোক,
যমযমের পানি যতটুকু পাওয়া যাবে সেটাই খাবেন, অন্য পানি মিশিয়ে বাড়িয়ে খেতে হবেনা।