সোমবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৫

উলামাদের দৃষ্টিতে আবু গুদ্দাহ এবং তার উস্তাদ যাহেদ আল-কাউসারি

উলামাদের দৃষ্টিতে আবু গুদ্দাহ এবং তার উস্তাদ যাহেদ আল-কাউসারিঃ
আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ যাহেদ আল-কাউসারি এবং হাসান আল-বান্নার মতো ব্যক্তিদের ছাত্র ছিলেন। জাহমিয়া আক্বিদাহর লোক যাহেদ আল-কাউসারি ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়্যিম এত মতো যুগশ্রেষ্ঠ আলেমদেরকে মালাউন, ষাড় বা এর চাইতে নিকৃষ্ট ভাষায় গালি-গালাজ করেছিলো, আল্লাহু মুস্তায়ান! আবু গুদ্দা তার জাহমিয়া গুরুর মানহাজের উপরেই ছিলেন, যে কারণে ওলামারা জাহেদ আল-কাউসারীর পাশাপাশি তার ছাত্র আবু গুদ্দাহর ব্যপারেও উম্মতকে সতর্ক করেছেন। হাসান আল-বান্নার প্রতিষ্ঠিত সালাফী-সূফী(!) মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত ইখওয়ানুল মুসলিমিনে আবু গুদ্দাহ দীর্ঘদিন বড় পজিশানে আসীন ছিলেন। যাহেদ আল-কাউসারি এবং হাসান আল-বান্না - এই দুইজনই বিংশ শতাব্দীতে সালাফী আক্বীদাহ এবং মানহাজের বিরোধীতাকারীদের মাঝে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
__________________________
যাহেদ আল-কাউসারিকে শায়খ বিন বাজ (রাহিমাহুলাহ) অপরাধীপাপী বলে সম্বোধন করেছিলেন। উম্মুল কুরার একজন প্রভাবশালী সূফী প্রফেসর ততকালীন বাদশাহর কাছ থেকে অনুমতি এনে তাদেরকে (কাউসারী ও আবু গুদ্দাকে) শিক্ষকতা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তাই তাদেরকে কেউ কিছু করতে পারেনি।

সাউদী আরবের কিবারুল উলামার সদস্য, শায়খ বাকর বিন আবু যাইদ (রাহিমাহুল্লাহ) তার এক বইয়ে তাদের মানহাজ উন্মোচন করেছিলেন। শায়খ বিন বাজ (রাহিমাহুল্লাহ) অনেক খুশি হয়ে বাকর বিন আবু যাইদ এর প্রশংসা করেন ও ধন্যবাদ দিয়ে একটি পত্র লিখে পাঠান।

শায়খ বিন বাজ (রাহিমাহুলাহ) পত্রে লিখেন যে, কাউসারি ঈমানদার পরহেজগার ব্যক্তি ও উলামাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করেছেন। আমরা তার ছাত্র আবু গুদ্দাকে তার উস্তাদের এই সব ব্যপার হতে তওবা করে দূরে সরে আসার জন্যে বারবার বিশেষভাবে আহবান জানাই, কিন্ত সে তা মেনে নেয়নি। বরং, সে তার উস্তাদের মানহাজের উপর অটল রয়েছে। আল্লাহ তাকে হেদায়েত করুন এবং তার অনিষ্ট হতে মুসলিমদের হেফাজত করুন।
__________________________
ফুযাইল ইবনে আইয়ায রাহিমাহুল্লাহ বলেন, তুমি কোন আহলুল বিদআহর লোকের সাথে বসবেনা। আমি ভয় করি যে, তুমি যদি কোন বিদআতির সাথে বসো, তাহলে আল্লাহর অভিশাপ তোমার উপরেও আসবে।
[ইমাম আল-বারবাহারী, শরাহুস সুন্নাহ]

ইমাম সুফিয়ান আস-সাউরি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি একজন বিদআতির কথা শ্রবণ করে, সে আল্লাহর হেফাজত থেকে নিজেকে বের করে নিলো, এবং তাকে তার উপরেই ছেড়ে দেওয়া হবে।
[ইমাম আল-বারবাহারী, শরাহুস সুন্নাহ]
__________________________

- প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের জন্যে প্রবাসী কিছু দ্বীনি ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ।