একজন আমেরিকান তরুণ
বক্তা,
নোমান আলী খান দাবী করেছেন, ‘আল্লাহ
কোথায় আছেন’ এটা জানা এতো জরুরী কোন বিষয় নয়। তিনি প্রশ্ন
করেছেন, আল্লাহ কি এই বিষয়টাকে এতো গুরুত্ব দিয়েছেন নাকি?
উত্তরঃ এটা ক্বুরান, হাদীস
ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর আকীদাহ সম্পর্কে নোমান আলী খানের অজ্ঞতার লক্ষণ।
আল্লাহ তাআ’লা আরশের উপরে আছেন – ক্বুরানের
৭টি ভিন্ন জায়গায় তিনি এই একই আলোচনা করেছেন। ঈমানের যে বিষয়টা যত বেশি
গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আল্লাহ ক্বুরানুল কারীমে তত বেশি বার
আলোচনা করেছেন। আর হাদীসেও আমরা দেখতে পাই যে, ‘আল্লাহ
আকাশের উপরে আছেন’ – এই কথাটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম অনেক জায়গাতেই উল্লেখ করেছেন । এমনকি একটা দাসী মহিলা ঈমানদার নাকি কাফের, এটা
জানার জন্যে তাকে মাত্র দুইটি প্রশ্ন করেছিলেন, তার মাঝে এই
প্রশ্নটিও ছিলো ‘আল্লাহ কোথায় আছেন’।
‘আল্লাহ তাআ’লা আকাশের
উর্ধে আছেন’ – এটা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর আকীদাহ,
এবং এই বিষয়টা এতো গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের অনেক বড় বড় ইমাম
শুধুমাত্র এই একটি বিষয়ের উপরে বই লিখেছেন, বা তাদের লেখা
আক্বীদাহর বইগুলোতে এই বিষয়টা নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন।
এবং এর বিপরীতে বিদাতীদের ভ্রান্ত আকিদাহর প্রত্যাখ্যান করে সেইগুলোর জবাব
দিয়েছেন।
যাই হোক, আমরা
আশা করবো আমাদের বক্তা ও লিখক সাহেবরা একটি বিষয় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ছাড়াই
আন্দাজের উপর ভিত্তি করে অথবা নিজেদের প্রবৃত্তি অনুযায়ী তাদের জিহবাকে পরিচালনা
করবেন না। কারণ আল্লাহ তাআ’লা আমাদেরকে সতর্ক
করে বলেছেন,
“যে বিষয়ে
তোমার সম্যক জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়োনা। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ - এদের প্রত্যেকটি জিনিসের ব্যপারে জিজ্ঞাসিত হবে।”
সুরা বনী ইসরাঈলঃ
৩৬।
_________________________