রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫

প্রিয় ব্যক্তিত্বঃ (পর্ব-১)

প্রিয় ব্যক্তিত্বঃ (পর্ব-১)
- আনসারুস সুন্নাহ
__________________________
শায়খ আব্দুল্লাহ আল-মাতরুদ রাহিমাহুল্লাহ আমার অত্যন্ত পছন্দের একজন ক্বারী। উনার তেলাওয়াত শুনলে অন্তর এমনিতেই নরম হয়ে আসে, মা শাআল্লাহ এতো দরদভরা ও মিষ্টি একটা কন্ঠ আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা তাঁকে দিয়েছিলেন! যতবারই তাঁর তেলাওয়াত শুনি, ততবারই অন্তরটা ক্বুরানের প্রতি, আল্লাহ তাআলার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। পাশাপাশি ধোঁকায়পূর্ণ, রঙ্গিন এই পৃথিবী ছেড়ে তিনি চলে গেছেন, একথা মনে করে পরকালের কথাও মনে পড়ে। আমি দুয়া করি আল্লাহ তাআলা তাঁর সমস্ত গুনাহ-খাতা মাফ করে দিন, তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে উচ্চ মর্যাদা দান করুন। তার অনন্য সুন্দর একটা তেলাওয়াতের লিংক ও তেলাওয়াতকৃত অংশের বাংলা তর্জমা নিচে দেওয়া হলো। এই একটা তেলাওয়াত কতবার যে শুনেছি, এক আল্লাহ ভালো জানেন। তারপরেও যতবারই শুনি, শায়খের এই তেলাওয়াতটা শোনার তৃষ্ণা কখনোই মিটেনা। সুবহানাল্লাহ!
__________________________
যারা মোবাইল থেকে ভিডিওটি ডাউনলোড করে রাখতে চান, তারা ফেইসবুকের এই লিংকে দেখুন
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/videos/520602454702709/
                        
ইউটিউব লিংক -
https://www.youtube.com/watch?v=VXFyHoX3kno
__________________________
উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম। 
৬৯. আর তাদেরকে ইব্রাহীমের বৃত্তান্ত শুনিয়ে দিন।  
৭০. যখন (ইব্রাহীম আঃ) তার পিতা এবং তার সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা কিসের ইবাদত কর?
৭১. তারা বলল, আমরা প্রতিমার পূজা করি এবং সারাদিন এদের (ইবাদতেই) নিষ্ঠার সাথে আঁকড়ে থাকি।  
৭২. ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, তোমরা যখন (মূর্তিগুলোর কাছে) দুয়া কর, তারা কি তখন তোমাদের আহবান শুনতে পারে?  
৭৩. অথবা তারা কি তোমাদের কোন উপকার কিংবা ক্ষতি করতে পারে?   
৭৪. তারা বলল, না। তবে আমরা আমাদের পিতৃ পুরুষদেরকে দেখেছি, তারা এমন (মূর্তিপূজা) করত।    
৭৫. ইব্রাহীম বললেন, তোমরা কি তাদের সম্পর্কে কখনো ভেবে দেখেছ, যাদের তোমরা পূজা করে আসছ?    
৭৬. তোমরা এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষেরা
৭৭. বিশ্ব পালনকর্তা ব্যতীত তারা সবাই আমার শত্রু।    
৭৮. (আমার পালনকর্তা তিনি) যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই আমাকে পথপ্রদর্শন করেন,
৭৯. তিনি আমাকে আহার এবং পানীয় দান করেন,
৮০. এবং যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আমাকে সুস্থ করেন।
৮১. যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন।
৮২. আমি আশা করি, বিচারের দিনে তিনি আমার দোষ-ক্রটি ক্ষমা করবেন।
৮৩. হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
৮৪. এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করুন।
৮৫. আমাকে নিয়ামতপূর্ণ উদ্যানের অধিকারীদের অন্তর্ভূক্ত করুন।
৮৬. এবং আমার পিতাকে ক্ষমা করুন। সে তো পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত।
৮৭. আর পূনরুত্থান দিবসে আপনি আমাকে লাঞ্ছিত করো না,
৮৮. যেদিন কোন ব্যক্তির ধন-সম্পদ ও সন্তান সন্ততি কোন উপকারে আসবে না;
৮৯. কিন্তু, যে ব্যক্তি ক্বালবিন সালিম (সুস্থ অন্তর) নিয়ে আসবে আল্লাহর কাছে (সে ছাড়া আর কেউ মুক্তি পাবেনা)।
৯০. (সেইদিন) মুত্তাক্বীদের কাছে জান্নাতকে নিকটবর্তী করা হবে।
৯১. আর বিপথগামীদের সামনে জাহান্নামকে উম্মোচিত করা হবে।    
৯২. তাদেরকে (বিপথগামীদের লোকদেরকে) বলা হবে, তোমরা যাদের পূজা করতে তারা কোথায়?  
৯৩. আল্লাহর পরিবর্তে? তারা কি (আজ) তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারবে কি, অথবা তারা প্রতিশোধ নিতে পারে
৯৪. অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্ট লোকদেরকে আধোঃমুখি করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
৯৫. এবং ইবলীস বাহিনীর মধ্যে সকলকে।   
৯৬. তারা সেখানে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়ে বলবে,    
৯৭. আল্লাহর কসম! আমরাতো প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে লিপ্ত ছিলাম। 
৯৮. যখন আমরা তোমাদেরকে বিশ্ব-পালনকর্তার সমতুল্য মনে করতাম।    
৯৯. দুষ্টকর্মী লোকেরাই আমাদেরকে গোমরাহ বানিয়েছিল।
১০০. অতএব, আজ আমাদের জন্যে কোন সুপারিশকারী নেই। 
১০১. এবং কোন সহৃদয় বন্ধুও নেই।   
১০২. হায়! যদি কোনরুপে আমরা পৃথিবীতে পুনরায় প্রত্যাবর্তন করার সুযোগ পেতাম, তাহলে আমরা সত্যিই ঈমানদার হয়ে যেতাম।    
১০৩. নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে এবং তাদের অধিকাংশই ইমানদার নয়।
১০৪. আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
সুরা আশ-শুআরা, আয়াত ৬৯-১০৪।

__________________________