মুসলিমদের উপর আপতিত অপমানের বোঝার কারণ কি
ও তার সমাধানের পদ্ধতিঃ
উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু
বলেছিলেন,
“আমরা তো মর্যাদাহীন লোক ছিলাম, আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম এর
নিয়ামত দিয়ে সম্মানিত করেছেন। সুতরাং, আল্লাহ আমাদেরকে যা
দ্বারা সম্মানিত করেছেন, আমরা যদি সেই ইসলাম থেকে দূরে সরে
গিয়ে অন্য কোথাও সম্মান খুঁজি, তাহলে আল্লাহ পুনরায়
আমাদেরকে অপমানিত করবেন।”
বর্তমানে অধিকাংশ মুসলিম দ্বীন থেকে দূরে
সরে গিয়ে দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সুতরাং এতে আশ্চর্য হওয়ার কি থাকতে পারে, আল্লাহ তাআ’লা শাস্তিস্বরূপ বিজাতীয়দের অত্যাচার
নির্যাতনের দুঃসহ অপমানের বোঝা আমাদের উপরে চাপিয়ে দিয়েছেন। এ থেকে মুক্তির পথ
সম্পর্কে ইমাম মালেক রাহিমাহুল্লাহ বলেছিলেন,
“এই উম্মতের শেষ লোকদেরকে কেবলমাত্র ঐ জিনিসই
সংশোধন করতে পারে,
যা তাদের পূর্ববর্তীদেরকে (অর্থাৎ সাহাবাদেরকে) সংশোধন করেছিলো।”
শায়খ মুহাম্মদ ইবনে উসায়মিন রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
“সাহাবাদেরকে যেই জিনিস সংশোধন করেছিলো তা
হচ্ছে, আল্লাহ তাআ’লার
আনুগত্য ও পাপাচার থেকে বিরত থাকা।”
শায়খ মুহাম্মদ ইবনে উসায়মিন রাহিমাহুল্লাহ
আরো বলেছিলেন,
“ওহুদ যুদ্ধে মাত্র অল্প কয়জন সাহাবী (৫০
জনেরও কম), রাসুলু্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম এর ‘একটি
মাত্র আদেশ’
অমান্য করার কারণে গোটা মুসলিম বাহিনীর নিশ্চিত জয় হাতছাড়া হয়ে তাদের উপর বড়
বিপর্যয় নেমে এসেছিলো (নিমিষেরর মাঝে ৭০ জন সাহাবীর শাহাদাত বরণ)। সেখানে কি করে
আমরা আমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার আশা করতে পারি, যেখানে আমাদের মাঝে বেশিরভাগ
লোকই হচ্ছে পাপী, আর আমাদের পাপের সংখ্যা অগণিত?”