শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আমাদের পুরোনো তিনটি পোস্ট

আল্লাহ তাআ'লা বলেন,
(হে নবী!) আপনি তাদেরকে স্বরণ করিয়ে দিন; কেননা মুমিনদেরকে স্বরণ করিয়ে দিলে সেটা তাদের উপকারে আসবে।
সুরা আয-যারিয়াতঃ ৫৫।

ক্বুরানুল কারীমের এই আয়াতের উপর ভিত্তি করে আমাদের পুরোনো তিনটি পোস্ট আবার শেয়ার করা হলো, আশা করি ইন শা' আল্লাহ আপনাদের উপকারে আসবে। 
__________________________
চুলে কালো রঙ (কলপ) করা হারাম
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) চুল সাদা হয়ে গেলে তা কালার করতে বলেছেন, কিন্তু কালো রং করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, সাদা চুল এর রঙ পরিবর্তন করো, কিন্তু কালো রঙ ছাড়া। (সহীহ মুসলিম ৫৪৭৬)।

যারা কালো রঙ করবে তাদের ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি (সাঃ) বলেছেনঃ কেয়ামতের আগে কিছু মানুষ আসবে যারা চুলে কবুতরের বুকের মতো কালো রঙ করবে, তারা জান্নাতে যাওয়াতো দূরের কথা এর ঘ্রাণ পর্যন্ত পাবেনা।
আবু দাউদ ৪২১২, নাসায়ী ৮/১৩৮।

বিঃদ্রঃ নারীরা সৌন্দর্যের জন্য চুলে অন্য যে কোনো কালার করতে পারবে। তবে, তা এমনভাবে করবেনা যাতে করে কাফের নারী বা নায়ক নায়িকাদের সাদৃশ্য বহন করে। আর পর পুরুষদের দেখানোর জন্যও করবেনা। আল্লাহ আমাদের ও আমাদের নারীদের সম্মান রক্ষা করুন।
__________________________
শোপিস
শোপিস নামে মানুষ বা কোন প্রাণীর ছবি বা মূর্তি, স্ট্যাচু, এন্টিক...ঘরে থাকলে সেটা বের করে দিতে হবে। ছেলে-মেয়ের ছবি অথবা কুকুর, বিড়ালের মূর্তি, যাই হোক না, যতই দামী হোক না কেনো, এই সমস্ত বেহুদা জিনিসকে ঘরে জায়গা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এইগুলো ঘরে থাকলে আল্লাহর রহমতের ফেরেশতারা ঘরে প্রবেশ করেন না। হারাম জিনিসের প্রতি ভালোবাসা বা দুর্বলতা বোধ করা ঈমানের দুর্বলতার লক্ষণ। আর আল্লাহ যা হারাম বা নিষিদ্ধ করেছেন, সেইগুলোর প্রতি অন্তর থেকে ঘৃণা ও বিদ্বেষ পোষণ করা শক্তিশালী ঈমানের লক্ষণ।
__________________________
চোখ ও সৌন্দর্য
দৃষ্টি নিচু করুন, কারণ সংযত দৃষ্টি বিনয় ও লজ্জার প্রকাশ। জান্নাতে নারীদের সৌন্দর্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেনঃ

সেখানে (জান্নাতে) তাদের জন্য থাকবে আনতনয়না রমনীগন।
সুরা আর-রাহমানঃ ৫৬।   

পাপী, উদ্ধত, অহংকারী, অবাধ্য, ও লজ্জাহীন নারীদের চক্ষু কোনদিন নিচু হবেনা। তাঁরা পরপুরুষদের সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে কোন সংকোচ বোধ করেনা, কারণ তারা ফ্রী মিক্সিং এ অভ্যস্ত, যা সাধারণত পর্দানশীল নারীদের মাঝে থাকেনা। এইজন্য আনতনয়ন নারীদের জন্য সৌন্দর্য ও লজ্জার একটা প্রকাশ।


পুরুষদের জন্য দৃষ্টি নিচু রাখা সংযম এর প্রকাশ, কামনাকে নিয়ন্ত্রন রাখার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। যৌনতা সংক্রান্ত অনেক অপকর্মের মূল উতস হচ্ছে দৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রনে না রাখা।