বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সবার প্রথম মানুষকে কোন বিষয়ের দিকে দাওয়াত দিতে হবে?

> সবার প্রথম মানুষকে কোন বিষয়ের দিকে দাওয়াত দিতে হবে?
>> মানুষকে ইসলাম এর দিকে দাওয়াত দেওয়ার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ কি?
__________________________
মহান আল্লাহ তাআলা বলেন,
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, সালাত কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। আর এটাই হচ্ছে সরল-সঠিক দ্বীন
সুরা বাইয়্যিনাহঃ আয়াত নং ৫।
__________________________
সাহাবী ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মুআয বিন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু কে ইয়ামানের শাসনকর্তা নিয়োগ করে পাঠালেন তখন [রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুআযকে লক্ষ্য করে] বললেন,
(হে মুয়াজ!) তুমি এমন এক জাতির কাছে যাচ্ছ, যারা হচ্ছে আহলে কিতাব। [যারা কোন আসমানী কিতাব যেমন তাওরাতব না ইনজিলের উপর বিশ্বাস করে] তাদেরকে তুমি সর্বপ্রথম যে জিনিসের দিকে দাওয়াত দেবে তা হচ্ছেঃ লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবূদ নেই, এই বিষয়ে  সাক্ষ্য দেওয়া। (হাদীসের) অন্য বর্ণনায় আছে যে, আল্লাহর ওয়াহদানিয়্যাত বা আল্ললাহর একত্বর প্রতি স্বীকৃতি প্রদানের ব্যপারে। এ বিষয়ে তারা যদি তোমার আনুগত্য করে, তবে তাদেরকে তুমি জানিয়ে দেবে যে, আল্লাহ তাআলা তাদের উপর দিনে-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তারা যদি তোমার কথা মেনে নেয়, তবে তাদেরকে তুমি জানিয়ে দেবে যে, আল্লাহ তাআলা তাদের উপর যাকাত ফরজ করে দিয়েছেন, যা ধনীদের কাছ থেকে নিয়ে গরীবদেরকে দেওয়া হবে। তারা যদি এ ব্যাপারে তোমার আনুগত্য করে, তাহলে তাদের উৎকৃষ্ট সম্পদের ব্যাপারে তুমি খুব সাবধানে থাকবে। আর মজলুম (বা অত্যাচারিতের) বদ দুয়াকে ভয় করে চলবে। কেননা, মজলুমের ফরিয়াদ এবং আল্লাহ তাআলার মাঝখানে কোন পর্দা নেই।
সহীহ বুখারিঃ খন্ড ৯, অধ্যায় ৯৩, হাদীস নং ৪৬৯;
সহীহ মুসলিমঃ হাদীস নং ২৮।

__________________________