মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৪

ভয়ংকর রোগের নাম #হিজবীয়্যা – ফেরকাবাজি



#হিজবীয়্যা রোগে আক্রান্ত লোকদের স্বভাব, পরিচয় ও লক্ষণ নিয়ে বিশ্লেষণঃ

অনেকে প্রশ্ন করেন, আপনি কোন দল করেন....
ক্বুরান ও হাদীসের কথা না শুনে - #ফের্কাবাজি বা দলাদলি করার #ফযীলত নিয়ে লিখেছেন শায়খ মুজাম্মেল আল-হক্কঃ
______________________________________

দলীয় কান্নার আহাজারি, শয়তানের পাল্লা ভারী...

১. নতুন কোন দল উম্মতের মধ্যে বিভক্তি ও মতবিরোধ সৃষ্টি করে।
২. হক এবং বাতিলকে দলীয় মানদণ্ডে বিচার করে।
৩. নিজ নিজ দলীয় স্বার্থে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়।
৪. দলীয় পরিচয় দোষ গোপনে সহায়তা করে।
৫. ইনসাফকে বেইনসাফ, বেইনসাফকে ইনসাফ বলে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়।
৬. দল করলে অন্যের দোষ নিজের উপর চাপিয়ে নিতে হয়।
৭. দলীয় লোকের ভুল ধরা যায়না। বরং তা শুদ্ধ বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করতে হয়।
৮. অন্য দলের ভুল ধরা যায়না বরং দলীয় স্বার্থে তাদের ভুলকেও এড়িয়ে যেতে হয়।
৯. দল-নিরপেক্ষ দাওয়াতি কর্মীদের কাজের পরিধি সংকীর্ণ করে দেয়।
১. দলাদলি ইসলামে নিষেধ হলেও সেই কাজের জন্যেই অন্যদেরকে উৎসাহ দেয়।
১১. দলীয় পরিচয়ে জাহেল হয়ে যায় আলেম, রুয়াইবাদা (অজ্ঞ, ফালতু লোক) হয় জ্ঞানী বক্তা, আর জ্ঞানীরা হয় শ্রোতা।
১২. দলীয় দাঁড় কাকের আওয়াজ হয় মধুর আর নির্দলীয়দের কোকিল কণ্ঠ হয় কর্কশ।
১৩. আল্লাহ্র সন্তুষ্টির স্থলে মানুষের সন্তুষ্টি অর্জন হয় প্রধান।
১৪. দলের বাইরের কারো নসিহত গ্রহণ যোগ্য হয়না।
১৫. দলীয় স্বার্থে আলেমকে রাখতে হয় দূরে আর জাহেলকে টানতে হয় কাছে।
১৬. ব্যক্তির নিরপেক্ষ বিচারিক ক্ষমতার বিলপ্তি ঘটে।
১৭. ব্যক্তির সাংগঠনিক আনুগত্য ও অবদানই হয় সকল যোগ্যতার মাপকাঠি।
১৮. একরামুল মুসলিমীন (অন্যের সম্মান) দলে যোগদানের উপর নির্ভরশীল।
১৯. ইসলামে ভতৃত্যের স্বরূপ নির্নয় হয় ইমান, এলম ও আমল দিয়ে কিন্তু দলে তা হয় অন্য কিছু দিয়ে।
২০. ঈমান ও আমল এর শিক্ষা মূল না হয়ে দলের সদস্য বানানোই হয় মুখ্য উদ্দেশ্য।
২১. মানুষের আমল নামার হিসাব নেওয়া ইসলাম সমর্থন করেনা অথচ তারা তা করেন।
২২. আল্লাহ আগাছা সাফ করে ইমানের গাছের যত্ন করতে বলেছেন, কিন্তু দল করলে মানুষের ইমানের ও আমলের আগাছা সাফ করা যায়না।
২৩. বরং দলীয় লোকেরা মুদাহেন (তেল মারা স্বভাবের) হয়। তারা নিজেদের দোষ গোপন করতে অন্যের ভুল ধরে না। আর যদি ধরে তা এমন ভাবে যে আগাছার সাথে শুগাছাও নিধন করেন। এতে নিজেদের মধ্যে বাগাওয়াত ( দুশমনি) সৃষ্টি হয়। আর ঐ দুশমনি সকল মারামারি ও হানাহানির কারণ হয়।
২৪. দলীয় লোকেরা ইসলামের ঠিকাদার হয়ে অন্যদেরকে তাদের ইসলামের ছায়া তলে সমবেত করার জন্যে কাজ করে। এসলাহ বা সংশোধন করা তাদের প্রধান উদ্দেশ্য নয়। আর এমন হলে ভাল কাজে হয় শিরক তাতে সন্দেহ নেই।
২৫. দলীয় আদর্শের পূজা করা ভাল কাজ হলে আল্লাহ ইমানদার জনগণের মধ্যে কোন রকম পার্থক্য রচনা করাকে নানান ভাবে নিষেধ করতেন না।
২৬. দলীয় আদর্শের লোকেরা অন্যদের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেনা। অন্যকে আপন মনে করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেন যা ইসলামের মুল আদর্শের পরিপন্থী।
২৭. এত ভুল করেও নিজেদেরকে সত্যের পূজারী মনে করেন। এমনটি শয়তানের ধোঁকা ছাড়া আর কিছুই নয়।
২৮. দল করার মধ্যে দিয়ে একতার ডাক দেওয়া তেল আর পানীকে এক করার মত অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুইনা। এমন মিশন কোন দিন সফল হবেনা।
২৯. উম্মতকে এক করতে হলে আগে এই দলীয় অস্তিত্ব বিলীন করতে হবে।
৩০. দলই পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি করে। সুতরাং দল করা একতা নয় দল না করাই একতা।


- Collected from Shaikh Muzammel Al-hoque