সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০১৪

শাওয়ালের ৬ রোযা

শাওয়ালের ৬ রোযাঃ
_______________________
আজকে শাওয়ালের মাসের ১৯-তম দিন শেষ হয়ে ২০-তম শুরু হলো, আর মাত্র ৯/১০ দিন সময় আছে ৬টি রোযা পূরণ করার জন্যে। আজকে ঢাকায় সাহরীর শেষ সময়ঃ ৪:০৯ মিনিট এবং আগামীকাল ইফতার শুরুঃ ৬:৪০ মিনিটে।
_______________________
আপনারা আপনাদের বিভাগীয় শহরে সাহরী, ইফতার এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সঠিক সময় জানার জন্য এই সাইট ফলো করতে পারেন।
http://www.islamicfinder.org/cityPrayerNew.php?country=bangladesh
_______________________
রমযানের ২৯/৩০টি রোযা রাখার পরে পুরো শাওয়াল মাসের যেকোন ৬ দিন রোযা রাখলেই এক বছর অর্থাৎ, পুরো ৩৬০ দিন রোযা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ
যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখবে অতপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা পালন করবে, সে যেন সারা বছর রোজা রাখল। [সহীহ মুসলিমঃ ১১৬৪]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেছেন, রমজানের রোজা দশ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দুমাসের রোজার সমান। সুতরাং এ হলো এক বছরের রোজা। অপর হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে ছয় দিন রোজা রাখবে সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য।
(যে সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য হবে তার দশ গুণ। সূরা আনআম)
মুসনাদে আহমদঃ ৫/২৮০, দারেমিঃ ১৭৫৫।

সুতরাং, প্রিয় দ্বিনি ভাই ও বোনেরা! প্রস্তুতি নিন - সামান্য আজরে বিরাট সওয়াব অর্জন করার জন্য। আল্লাহ আমাদের সকলকে তোওফিক দান করুন, আমিন।
_______________________
বিঃদ্রঃ এই রোযার বিশেষ কোন নিয়ম নেই, যেকোন দিনই রাখা যায়। ইচ্ছা হলে একবারে, ইচ্ছা হলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাখবেন। বোনদের জন্য বা যাদের ভাংতি রোযা আছে তাদের জন্য নিয়ম হচ্ছে, আগে কাযাগুলো দ্রুত রেখে এর পরে শাওয়ালের রোযাগুলো রাখা শুরু করবেন। কারণে হাদীসে আগে রমযানের রোযা রেখে এর পরে শাওয়ালের রোযা রাখার কথা বলা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে রমজানের রোজা রাখবে অর্থাৎ পুরোপুরি
আর যার ওপর কাজা রয়ে গেছে সে তো রোজা পুরা করেছে বলে গণ্য হবে না যতক্ষণ ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় না করে। ফতোয়া, আল-মুগনিঃ ৪/৪৪০।
একারণে শায়খ ইবনে উসায়মিনের ফতোয়া হচ্ছেঃ নারীদের জন্য বা যাদের রোযা কাযা আছে, তারা শাওয়ালের সওয়াব পেতে হলে আগে কাযা রোযা রেখে এর পরে শাওয়ালের রোযা রাখা শুরু করতে হবে।

উল্লেখ্য, ফরযের কাযা রোযা এবং শাওয়ালের রোযা - ২টা রোযার নিয়ত একসাথে করলে হবেনা। যেকোন একটার জন্যেই নিয়ত করতে হবে।