সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

খারেজীরা আলেমদেরকে গালি দিবে, এটা তাদের জন্মগত স্বভাব



খারেজীরা আলেমদেরকে গালি দিবে, এটা তাদের জন্মগত স্বভাবঃ

বিদাতীদের লক্ষণ হচ্ছে আহলে সুন্নাহর ইমাম ও আলেমদের সাথে শত্রুতা পোষণ করা এবং তাদেরকে বিভিন্ন আজে বাজে নামে গালি দেওয়া। ৭২টা জাহান্নামী দলের মাঝে সবচাইতে ধ্বংসাত্মক ফেরকা খারেজীরা সাহাবাদেরকেই কাফের মুর্তাদ বলে ফতোয়া দিতো, যদিও ব্যক্তিগত জীবনে তারা অত্যন্ত ধার্মিক ছিলো। স্বয়ং রাসুল সাঃ বলেছেন, খারেজীরা এতো নামায রোযা করবে যে, সাহাবাদের আমল তাদের আমলের কাছে অন্ত্যন্ত কম মনে হবে। সাহাবারা স্বাক্ষী দিয়েছেন, খারেজীরা সারারাত জেগে তাহাজ্জুদ নামায পড়তো, একেক রাকাতে সুরা বাক্বারাহ, সুরা আলে ইমরান পড়তো, কিন্তু ক্বুরান হাদীসের অপব্যখ্যা করে দিনের বেলায় সাহাবাদের বিরুদ্ধে জেহাদ(!) করতো। আলী রাঃ এর সামনে এক খারেজী ক্বুরানের আয়াত বলে ইনিল হুকমু ইল্লা লিল্লাহ বিধান দেওয়ার কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর। আলী রাঃ তখন বলেন, তোমারা কথা সত্য, কিন্তু মতলব খারাপ। অর্থাৎ, খারেজীরা ক্বুরানের আয়াত বুঝতো নিজের মতো করে, রাসুল সাঃ এর কাছ থেকে সাহাবারা ক্বুরানের আয়াতের অর্থ যেইভাবে বুঝেছেন সেটাকে তারা অস্বীকার করতো।

বর্তমান যুগের খারেজী আকীদার লোকেরা আহলে সুন্নাহর আলেমদের নামে বিভিন্ন আজেবাজে রটনা করে নিজেদের পরকাল ধ্বংস করছে। আলেমরা তাদের অন্যায় বিদ্রোহ, বোমাবাজি ও রক্তপাতের বিরোধীতা করে দেখে তারা ওলামাদেরকে শাসকের গোলাম, তাগুতের পাচাটা দালাল, ইয়াহুদী খ্রীস্টানদের এজেন্ট, পেট্রো ডলার আলেম ইত্যাদি গালি দিয়ে বেড়ায়। অনেকে এতো আহাম্মক যে, তারা দাবী করেছে ওলামাদেরকে নাকি আমেরিকা, ইসরায়েল, সিআইএ ফান্ড দিয়ে পুষে, যাতে করে ইসলামকে ধ্বংস করা যায়।

ছবিতে দেখুন এটা ইয়ামানের বিখ্যাত সুন্নী মাদ্রাসা, দারুল হাদীস দাম্মাজের প্রতিষ্ঠাতা, শায়খ মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদীর বাড়ি, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় টাকা খেয়ে জিহাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া দিয়েছেন। শায়খ মুক্ববিলের কাছ থেকে তার ছাত্ররা বর্ণনা করেছেন, কোনদিন যদি শায়খের কাছে অতিরিক্ত রুটি থাকতো সেটা তিনি ঘরের একটা খুঁটির গর্তে ভরে রাখতেন। পরে যেইদিন খাবার থাকতোনা ঘরে সেইদিন সেই গর্ত থেকে রুটিটা বের করতেন। কখনো কখনো পুরনো সেই রুটি থেকে তেলাপোকা তাড়িয়ে সেই রুটিই খেয়ে নিতেন।

শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমিনের এক ছাত্র বলেছেন, শায়খের ব্যংক-ব্যালান্সতো দূরের কথা, মৃত্যুর পূর্বে তিনি প্রায় মাটির একটি ঘর রেখে গেছেন তার পরিবারের লোকদের জন্য।


এইভাবে যারা কষ্ট করে যেই ওলামারা উম্মতকে দ্বীন শিক্ষা দিয়ে গেছেন, যারা ছিলেন নবী-রাসূলদের ওয়ারিশ, ২০-২২ বছরের যুবক যারা এই সমস্ত শায়খদের দারসে বসার মতো যোগ্যতাই রাখেনা, তাদেরকে উঠতে বসতে গালিগালাজ করা তাদের ধর্মে পরিণত করে নিয়েছে। আল্লাহু মুস্তাআন।