সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ক্ষণিকের সুখ, সেই পাপের জন্য নিজ সন্তানকে হত্যা এবং কষ্টের গ্লানি....

ক্ষণিকের সুখ, সেই পাপের জন্য নিজ সন্তানকে হত্যা এবং কষ্টের গ্লানি....

মক্কার কাফের মুশরেকদের স্বভাব ছিলো নিষ্পাপ কন্যা শিশুদেরকে জীবন্ত কবর দিয়ে হত্যা করা, কারণ তারা পছন্দ করতোনা কন্যা সন্তানের বাবা হতে। কেয়ামতের দিন সেই সন্তানেরা আল্লাহর সামনে প্রশ্ন তুলবে, কি অপরাধে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিলো?

যখন জীবন্ত কবর দেওয়া কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে, কি অপরাধে তাকে হত্য করা হয়েছিলো?
সুরা তাকবীর ৮-৯। 

অনেক মুসলমান ঘরের নারী-পুরুষেরা জিনা-ব্যভিচার, পরকীয়ায় লিপ্ত। অনেক পদ্ধতি গ্রহণ করার পরেও অনেকে অবৈধ সন্তানের মা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষ সংগীটি তখন জিনা-ব্যভিচারের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে বসে, পালিয়ে যায়। কারণ আসলে তার উদ্দেশ্য ছিলো ঐ মেয়েকে ভোগ করা, বিয়ে করে বউ করার ইচ্ছা থাকলেতো প্রেম না করে বিয়েই করতো। কিন্তু মেয়েটা শয়তানী ধোকায় পড়ে, নিজের খাহেশাতের কাছে পরাজিত হয়ে বা লম্পট পুরুষের ভালোবাসার অভিনয় ও মিষ্টি কথার ধোকায় পড়ে নিজের পায়েই কুড়াল মারে। যাই হোক, মেয়েটাও এই কথাগুলো বুঝতে পারে কিন্তু, সর্বস্ব হারানোর পরে। বিপদে পড়ে, মান-সম্মান বাচানোর জন্য তখন হাসপাতালে যায়, নিজের সন্তানকে হত্যা করে নিজের কুকর্মকে ঢাকার জন্য।
______________________________
Collected from a Brother
২০১০ সালের ঘটনা। তখন আমি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চাকরি করতাম।

ডিউটিতে থাকাকালীন ২৬-২৭ বছর বয়সী এক মহিলা আসলেন। বললেন ৩ মাস ধরে মাসিক বন্ধ। এখন গর্ভপাত করাবেন।

এ বিষয়ে ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে বললাম। ম্যানেজার গাইনী ডাক্তার ডেকে গর্ভপাতের ব্যাবস্থা করলো।

গর্ভপাত শেষ হলে এক নার্স গামলায় রাখা একটি রক্তাক্ত মাংসপিণ্ড দেখিয়ে বলল দেখেছেন স্যার কি নিষ্ঠুর মহিলা!

আমি ঐ ভ্রূণের ছোট হাতের কচি আঙ্গুল, পা, মাথা, মুখ, পেট সব স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম। অবৈধ প্রেমের বলি হয়ে এখন সে মৃত মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়েছে।

যাকে এভাবে হত্যা করা হলো সে বেড়ে উঠে কিভাবে হয় তা দেখুন....

১ম-৩য় সপ্তাহঃ মায়ের গর্ভে নতুন জীবন শুরু হয়। জরায়ুর সাথে ভ্রূণ গেঁথে যায়।

৪র্থ সপ্তাহঃ ভ্রূণের কোষ ৩ স্তরে ভাগ হয়। যা থেকে পরবর্তীতে ব্রেইন, স্নায়ু, হার্ট, ফুসফুস, কিডনী, অন্ত্র ইত্যাদি গঠিত হয়।

৫ম সপ্তাহঃ হৃদস্পন্দন শুরু হয়। কিডনী, লিভার, অন্ত্র গঠন শুরু হয়। স্পাইনাল কর্ড ও ব্রেইন একত্রিত হয়। তাছাড়া হাত, পা, মুখ গলার গঠন শুরু হয়।

৬ষ্ঠ সপ্তাহঃ শিশুর মুখের অবয়ব ও হাড্ডি-পেশী গঠিত হয়।

৭ম সপ্তাহঃ আঙ্গুল ও চামড়া গঠিত হওয়া শুরু হয়। শিশু দ্রুত বাড়তে থাকে।

৮ম সপ্তাহঃ শরীরের স অঙ্গ কাজ করতে থাকে। চোখের পাতা গঠিত হয়।

৯ম সপ্তাহঃ হাত-পা বড় হতে থাকে। চেহারা পূর্ণতা পায়। যৌনাঙ্গ গঠিত হয়।

১০ম সপ্তাহঃ হাত-পা নড়াচড়া শুরু করে। চুল গজায়।

১১ ও ১২ তম সপ্তাহ, ৩ মাস পরঃ শিশু অনুভূতি সম্পন্ন হয়। সব কিছু পূর্ণতা পেতে থাকে।

এভাবে ১২ সপ্তাহের ভিতর গর্ভের সন্তানের গঠন প্রায় শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে শিশুটি শুধু আকার-আকৃতিতে বাড়তে থাকে।

বাচ্চা নষ্ট করার সব পদ্ধতিতেই এক ধরণের লম্বা নল জরায়ুতে ঢুকিয়ে গর্ভের শিশুটিকে প্রথমে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়। পরে ভ্যাকুয়াম সাকারের (চোষকের) মাধ্যমে শিশুটিকে শুষে বের করে আনা হয়।


গর্ভপাতের সময়কার শিশুটির অব্যাক্ত বেদনা হয়তো কারো কানে পৌঁছে না। মানুষ নামের নরপশুদের নির্মমতায় একটি নিষ্পাপ শিশু মৃত মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়। যেসব মা ক্ষণিকের সুখের জন্য নিজ গর্ভের সন্তানকে পাশবিকভাবে হত্যা করতে পারে তাদের জন্য মানব জাতির হৃদয় উগড়ে দেয়া সীমাহীন ঘৃণা এবং পরকালে কঠোর শাস্তি।