মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০১৪

আমি জান্নাতে যাইতে চাই, কিন্তু...



আমি জান্নাতে যাইতে চাই, কিন্তু...

. চোখ সারা দিন কিছু করার থাকেনা তাই টিভি না দেখে আর কিছু করার নাই। খেলা, নাটক-সিনেমা দেখা ছাড়া বাইচ্যা থাকা সম্ভব না। এতো হুজুর হওয়ার দরকার নাই, একটু গান-বাজনা দেখলে কিছু হয়না।

আজকালকার মেয়েদের পোশাক-আশাক দেখলে মাথা ঠিক থাকেনা। তাছাড়া আমার বয়স কম, তাই চোখ ফিরিয়ে রাখতে পারিনা।

২. কান আমার গান শুনতে এত্তো ভালো লাগে, আমার গান শোনার নেশা এতো বেশি যে গান না শুনে থাকতে পারিনা।

৩. জিহবা আমিতো শুধু (যিনার) কথাই বলছি, আমাকে খারাপ মনে করবেন না, আমি হারাম কোন কিছু করছিনা। (অর্থাৎ তার মতে, নারী-পুরুষ অবাধ কথা বলা, মেলামেশা তেমন কিছু নাহ! শুধু লজ্জাস্থান পর্যন্ত না পৌছালেই হবে)

কথা বলতে গেলে কিছু গীবত হবেই, আমি আড্ডা দেওয়া ছাড়া থাকতে পারিনা।

জীবনে চলতে গেলে কিছু মিথ্যা কথাই বলতে হয়।

. লজ্জাস্থান আমি বিয়ে করতে চাই, কিন্তু বাবা মা বিয়ে দেয় নাহ! (অর্থাৎ তার মতে, অবিবাহিত থাকলে যিনা করা এতো খারাপ কোন কিছুনা)

আমার স্বামীর সাথে বনিবনা হয় না, এছাড়া তার অনেক সমস্যা আছে...

মন্তব্যঃ রমযান পার হয়ে যাচ্ছে মরার আগে আজকেই তোওবা করে ফিরে আসেন। রমযানেও যদি তোওবা করে ফিরে না আসতে পারেন, তাহলে জিব্রাঈল আঃ তার জন্য বদদুয়া করেছেন সে যেন ধ্বংস হয়। এটা এতো বড় আহাম্মমের কাজ যে, রাসুল সাঃ, যাকে স্বয়ং আল্লাহ রহমাতুল্লিল আলামিন বা বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন, তিনিও এই বদদুয়ায় আমীন বলে শরীক হয়েছেন ও সমর্থন করেছেন।

কেয়ামতের দিন কোন অযুহাত কাজে আসবেনা হতে পারে আপনি যেই পাপকে ছোট মনে করছেন এর কারণের আপনি ধ্বংস হয়ে যাবেন। আপনি যদি পাপ কাজকে ছোট মনে করেন, বা এই সম্পর্কে উদাসীন থাকেন, ক্রমাগত পাপ কাজে লিপ্ত থেকে আল্লাহর শাস্তি সম্পর্কে নিরাপদ বোধ করেন তাহলে নিজের ঈমানের অবস্থা চেক করুন।

ঈমানদার ব্যক্তি গুনাহ করাকে এতো মারাত্মক মনে করে যে, সে যেন কোন পাহাড়ের পাশে বসে আছে আর এই ভয়ে ভীত যে, পাহাড়টি তার মাথায় পড়ে যাবে। আর একজন ফাসেক (পাপাচারী) পাপকে এতো হালকা মনে করে যে, যেন সেটা মাছির একটা সমান, যা তার নাগের ডগা স্পর্শ করে চলে গেছে।
সহীহ বুখারীঃ ৬৩০৮।

তোওবা কি?
তোওবা হচ্ছে নিজের পাপ কাজের জন্য আল্লাহর কাছে আন্তরিক লজ্জিত হওয়া এবং সেই পাপ কাজকে এমনভাবে ছেড়ে দেওয়া যেন সে সেটা আর না করে। মুখে তোওবা তোওবা বলবে, কিন্তু পাপ কাজে লিপ্ত থাকবে আর কুপ্রবৃত্তির গোলামি করে যাবে এটা তোওবা না।


আপনার তোওবা করতে মন না চাইলে জেনে রাখুন, পাপ করতে করতে আপনার অন্তরটাকে কলুষিত করে ফেলেছেন। এর চিকিতসা করতে হবে, ক্বুরান ও সুন্নাহ দিয়ে। পাপ কাজ ছেড়ে দিয়ে তাক্বওয়া অর্জন করতে না পারলে, আমাদের কেউই নিরাপদ না জাহান্নামের শাস্তি থেকে।