বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০১৪

ক্বুরান তেলাওয়াত করে কি দুয়া পড়তে হবে?



ক্বুরান তেলাওয়াত করে কি দুয়া পড়তে হবে?

ক্বুরান তেলাওয়াত শেষ করে সাদাকাল্লাহুল আযীম বলা যাবেনা, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ক্বুরান তেলাওয়াত শেষ করে এই কথাটা কোনদিন বলতেন না, কোনো একজন সাহাবাও বলতেন না। অথচ তাঁরা কুরানকে নিজের জীবনের চাইতে বেশি ভালোবাসতেন।

ক্বুরান পড়া শেষ করে বলতে হবেঃ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা, আশ-হাদু আল্লা ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা - কারণ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজে এই দুয়া পড়তেন, যেকোন মজিলস বা কুরান তেলাওয়াত, যিকিরের বৈঠকের শেষে। তিনি আমাদেরকেও এটা পড়তে বলেছেন - কারণ এটা পড়লে কোথাও ভুলত্রুটি হলে তার কাফফারা হয়ে যায়। তাই আমরা নবীর উম্মত হিসেবে তাঁর শেখানো এই সুন্নতের উপর আমল করার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ, আর হুজুরের বানানো বেদাতী দুয়া (সাদাকাল্লাহ) বাদ দিতে হবে।

ক্বুরান তেলাওয়াতের সময় সামনে পেছনে ঝুকে তাল দিয়ে পড়া যাবেনা - এইটা ভ্রান্ত একটা কাজ, যা অনেক হুজুর ও মাদ্রাসার ছাত্ররা করে থাকে। আশ্চর্যের বিষয় তাদের উস্তাদেরা এইগুলো করতে ছাত্রদের নিষেধ করেনা অথচ এইভাবে ঝুকে ঝুকে তালের সাথে ক্বুরান তেলাওয়াত করা ক্বুরানের আদবের বিপরীত একটা কাজ। আল্লামাহ, বাকর আবু যায়ের তাঁর ফতোয়াতে উল্লেখ করেছেন, এইভাবে ঝুকে ঝুকে আসমানী কিতাব পড়া ইয়াহুদীদের বদ অভ্যাস। স্থির হয়ে বসে একাগ্র চিত্তে, মনোযোগ দিয়ে ক্বুরান পড়তে হবে এবং এর অর্থ বোঝার চেষ্টা করতে হবে।


আসুন আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে ভালোবাসি, তাঁর সমস্ত সাহাবাদেরকে ভালোবাসি। নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী তাদের অনুসরণ-অনুকরণ করার চেষ্টা করি। আর তাদের সাথে মিল নেই বড় হুজুরের এমন বানানো কথা বা কাজকে ঘৃণা করি, কারণ সেটা বেদাত।