মঙ্গলবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৫

প্রেম-ভালোবাসা ও অবৈধ সম্পর্কের বাস্তব কিছু নমুনা

=> প্রেম-ভালোবাসা ও অবৈধ সম্পর্কের বাস্তব কিছু নমুনাঃ
১. কেউ লুকিয়ে বিয়ে করেছে, কিন্তু ছেলে বা মেয়ের বাবা-মা মেনে নিচ্ছেনা আর এনিয়ে অশান্তি।
২. কারো প্রেমের সম্পর্কে আছে, দীর্ঘদিনের. . .কিন্তু তার প্রেমিক এখন তাকে বিয়ে করতে পারবেনা।
৩. কেউ পরকীয়ায় আছে, তার প্রেমিক এখন তাকে ব্ল্যাকমেইল করছে।
৪. কারো প্রেমিকা অন্যত্র বিয়ে করে ফেলেছে, সে এখন বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পাচ্ছেনা।
৫. কারো প্রেমিক/প্রেমিকা ১০-১২ বছর ধরে সম্পর্ক রেখে, বিয়ে না করে সরে গেছে।
৬. কেউ পছন্দ করে মনের(!) মানুষকে বিয়ে করেছে, কিন্তু বিয়ের আগে যাকে ফেরেশতা মনে করেছিলো, এখন তাকে শয়তানের মতো লাগে! 
৭. কেউ প্রেমিকাকে বিয়ে করেছে ঠিকই, কিন্তু বউ হিসেবে সেই প্রেমিকাকে আর ভালো লাগেনা, তাইতো বউ রেখে অন্য প্রেমিকার পেছনে ছুটছে।
৮. কারো পরিবার বিয়ে দেবে বলেছে, অন্যপক্ষকে ২-৩ বছর ধরে ঝুলিয়ে রেখে এখন বলছে আর বিয়ে দেবেনা।
৯. কেউ দীর্ঘদিন ধরে জিনা করেছে, এখন তাকে ছাড়া আর চলবেনা।
১০. কেউ গর্ভবতী হয়েছে, নিজের ও বাবা-মায়ের সম্মান নষ্ট করেছে, প্রেমিক বা প্রেমিকের গার্জিয়ানের চাপে অবৈধ সন্তানকে হত্যা করেছে, তবুও শেষ রক্ষা হয়নি।
১১. স্বামী মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বিদেশে বসে বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখে আর এদিকে দেশে স্ত্রী অন্য কারো সাথে পালিয়ে গেছে, অথবা লুকিয়ে পরকীয়ায় লিপ্ত।
=> নামাযী-বেনামাযি, হিজাবী/আধা-হিজাবী/বেহিজাবী কোন ধরণের নারী অথবা পুরুষেরাই বাদ যাচ্ছেনা, শয়তানের এই দুষ্ট চক্রে পা দেয়নি এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি।
=> বিয়ে বহিঃর্ভূত অবৈধ সম্পর্কে যারা জড়িত, তাদের জন্য ক্বুরানুল কারীমের এই আয়াতটা ফিট হয়,
(হে নবী!) আপনার প্রাণের কসম! তারা আপন নেশায় প্রমত্ত ছিল।
[সুরা আল-হিজরঃ ৭২]
=> শায়খুল ইসলাম, ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ (রহঃ) বলেন,
ইশক বা প্রেম হচ্ছে একটি মানসিক ব্যাধি। আর যখন তা প্রকট আকার ধারণ করে তখন তা শরীরকেও প্রভাবিত করে। সে হিসেবে ইশক শরীরের জন্যও একটা ব্যাধি। মস্তিষ্কের জন্যও তা ব্যাধি। এজন্যই বলা হয়েছে যে, ইশক একটা হৃদয়জাত ব্যাধি। শরীরের ক্ষেত্রে এ ব্যাধির প্রকাশ ঘটে দুর্বলতা ও শরীর শুকিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, পরনারীর প্রেমে এমন সব ফাসাদ রয়েছে যা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেও গুনে শেষ করতে পারবে না। এটা এমন ব্যাধিগুলোর একটি, যা মানুষের দ্বীনকে নষ্ট করে দেয়। মানুষের বুদ্ধি-বিবেচনাকে নষ্ট করে দেয়, অতঃপর তা শরীরকেও নষ্ট করে।

[মাজমুউল ফাতওয়াঃ ১০/১২৯-১৩২]