প্রসংগঃ পহেলা বৈশাখ –
আল্লাহ
তাআ’লা
মুসলমানদের জন্য ‘পহেলা বৈশাখ’ উদযাপন করা হারাম করে দিয়েছেন। নিজে জানুন,
অন্যকে জানান। শিরক থেকে বেঁচে থাকুন, নিজের ঈমান ও আকীদার হেফাজত করুন।
পহেলা
বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত হারাম কাজগুলোর কিছু উদাহরণঃ
১.
গান-বাজনার আসর বসানো। (শয়তানের সবচাইতে শক্তিশালী একটা অস্ত্র হচ্ছে গান, যা দিয়ে
সে ঈমানদের অন্তরে মুনাফেকীর বীজ বপণ করে)।
২.
বিভিন্ন প্রকার মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করা। (মদখোরের নামায ৪০ দিন পর্যন্ত কবুল
হয়না, আর নেশা করতে অভ্যস্ত ব্যক্তি জাহান্নামে যাবেই)।
৩.
জুয়ার আয়োজন করা (জুয়া শয়তানের কাজ, সুরা মায়িদাহ)।
৪.
নারী-পুরুষ অবাধ মেলামেশার সুযোগ করে দেওয়া (নারী-পুরুষের লজ্জা ভেঙ্গে তাদেরকে জিনাতে
লিপ্ত করানোর প্রথম ধাপ)।
৫.
ভীড়ের মাঝে লম্পট যুবকদের নারীদের গায়ে হাত দেওয়া ও তাদের ইজ্জত হরণ করা। বোকা মেয়েগুলো
পহেলা বৈশাখের ফূর্তি করতে গিয়ে লম্পটদের অত্যাচারের শিকার হয়)।
৬.
যিনা-ব্যভিচার (যিনা-ব্যভিচার তরুণ-তরুণীদের অন্তরটাকে নষ্ট করে দেয়, যিনাতে লিপ্ত
নারী-পুরুষের দ্বারা যেকোন খারাপ কাজ করা সম্ভব)
৭.
অর্ধনগ্ন নায়িকা ও গায়িকাদেরকে দিয়ে তরুণদেরকে অশ্লীল কাজের দিকে উৎসাহিত করা।
৮.
মুখোশ ও মূর্তি (যারা প্রানীর মূর্তি ও ছবি বানায় কেয়ামতের দিন তাদেরকে সবচাইতে বেশি
শাস্তি দেওয়া হবে)।
৯.
গায়ে ট্যাটু বা উল্কি অংকন করা (তাদের প্রতি আল্লাহর লানত বর্ষিত হয়)
১০.
হিন্দুদের মতো রথযাত্রার মতো মংগল শোভা বা মংগল যাত্রা বের করা।
১১.
ছায়ানট, উদীচি, কমিউনিস্টসহ বিভিন্ন নাস্তিকদের সংগঠনের নাটক-সিনেমা, গান ও কবিতার
মাধ্যমে কৌশলে মুসলমানদের মাঝে শিরকি ও কুফুরী চিন্তা-চেতনা ঢোকানোর নীলনক্সা।
১২.
টিভিতে বিভিন্ন চমকপ্রদ ও বেহায়াপনা, অশ্লীলতা, নাচ-গানের মাধ্যমে কোটি-কোটি মুসলমানদেরকে
আস্তে আস্তে বেদ্বীন বানানোর শয়তানের মাস্টার প্ল্যান।
১৩.
নারীদের খোলামেলা পোশাক-আশাক ও সংস্কৃতি নাম দিয়ে পুরুষদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করে
পুরুষদের চরিত্র ও নারীদের ইজ্জত নষ্ট করার দিন পহেলা বৈশাখ।
সর্বশেষ, মহান
আল্লাহ্ তাআ’লা আরো বলেন,
“আর
আমি সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর আছে, কিন্তু তার
দ্বারা তারা চিন্তা-ভাবনা করে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তার দ্বারা তারা দেখেনা, আর
তাদের কান আছে কিন্তু তার দ্বারা তারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের
চাইতেও নিকৃষ্টর। তারাই হল উদাসীন ও শৈথিল্যপরায়ণ।” [সুরা আল-আ’রাফঃ ১৭৯]
সর্বশেষ,
কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে একের পর এক নিত্য-নতুন ফেতনা যখন মুসলমানদেরকে গ্রাস করবে,
তখনকার যুগে মানুষের ঈমানের যেই হবে সে সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“আঁধার
রাতের অবিরাম খন্ডের মত কৃষ্ণ-কালো ফেতনা আবর্তিত হওয়ার পূর্বেই তোমরা দ্রুত নেক কাজে
মনোনিবেশ কর। (এমন একটা সময় আসবে যখন) মানুষ সকাল বেলা মুমিন কিন্তু বিকেল বেলা সে
হবে কাফের। আবার কেউ সন্ধ্যা বেলা মুমিন হবে তো সকাল বেলা হবে কাফের। দুনিয়াবি সামান্য
স্বার্থের বিনিময়ে সে দ্বীনকে বিক্রি করে ফেলবে।” [সহীহ মুসলীম]