শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৫

গণতন্ত্রের মতো শিরকি মতবাদ

গণতন্ত্রের মতো শিরকি মতবাদ ইসলাম কোনোদিন সমর্থন করেনা। কারণ এই মতবাদ অনুযায়ী রাষ্ট্রের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় (নেতা নির্বাচনে) একজন আলেমে দ্বীন, একজন নেককার মুত্তাকী, পরহেজগার মানুষের ভোটের যে মূল্য, সেই একই মূল্য রয়েছে একজন খুনি, ধর্ষক, জেনাকারী, পতিতা, লম্পটের। দুইজনের ভোটের বা দুইজনের মতামতের কোনো পার্থক্য নাই। এমনকি একজন বিধর্মী, ইসলামের দুশমনেরও সমান অধিকার!

সুবহা'নাল্লাহ ! আমি বুঝিনা কিছু মানুষ নিজদেরকে মুসলমান দাবী করে আবারা গণতন্ত্রের পক্ষে সাফাই গায়। এরা হয় অজ্ঞ, নয়তো পথভ্রষ্ট !! আল্লাহু মুস্তাআন !!!

আমি যখন ছোটবেলায় গ্রামে ছিলাম তখন কন্ঠশিল্পী "মমতাজ" এর গান চায়ের দোকানগুলোতে বাজতে শুনতাম। এতো অশ্লীল ও জঘন্য !! আর তার শ্রোতারাও ছিলো সেই পর্যায়ের নিম্নমানের !!!

যাইহোক পরবর্তীতে তার সম্পর্কে আরো জানতে পারি, সে সুফীবাদী বাউল ধর্মে বিশ্বাসী। মারেফতের নামে প্রকাশ্য শিরকি কুফুরীতে লিপ্ত। সে যে কথা বলে আসলে শয়তান তাকে দিয়ে এইগুলো বলাচ্ছে, মানুষকে কাফের মুশরেক বানানোর জন্য...

গণতন্ত্র অনুযায়ী নিকৃষ্ট এই মহিলা (মমতাজের) ভোট আর আমাদের দেশের সবচেয়ে ভালো আলেমের ভোটের মাঝে কোনো পার্থক্য নাই। এই মহিলা নাকি এমপি ও হয়ে গেছে। আর গণতান্ত্রিকবাদীরা এমপিদেরকে "আইনপ্রণেতা" বলে (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক) !!

অথচ মুসলমানদের একমাত্র আইনপ্রণেতা/হুকুমদাতা হচ্ছেন আল্লাহ রাব্বুল আ'লামীন। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
তাদের কি এমন কোনো শরীক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্যে সে ধর্ম বানিয়ে দিয়েছ, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? [সুরা শুরাঃ ২১]

আল্লাহ তাআলা আরো বলেনঃ
তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে নিজেদের আলেম ও ধর্ম-যাজকদেরকে রব্ব বানিয়ে নিয়েছে। [সূরা তাওবাঃ ৩১]।

এইরকম সমাজের জঘন্য লোকেরা যখন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে পড়ে তখন সমাজের অবস্থাটা কি দাঁড়ায়?
১. মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। প্রতিদিন মানুষ খুন হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে, কোনো বিচার নেই। কে কখন খুন হয় তার কোনো গ্যারান্টী নেই, যারা বিচার চাইতে যায় উলটা তারাও খুন হয়???
২. নারী সমাজ চরমভাবে নির্যাতিত। খুন, ধর্ষণ, পতিতাবৃত্তি, সংস্কৃতির নামে নারী ব্যবসা...
৩. বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাই নির্যাতিত ও লাঞ্চিত, বিচার হয় টাকা নয় ক্ষমতা অনুযায়ী...
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নামে ছাত্রদের খুনী, ধর্ষক পশু হিসেবে গড়ে উঠা।

৫. সুদ, ঘুষ, জেনা, ব্যভিচার, বিশৃংখলা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে...