_____________________
নারীদের জন্য একাকী সফর করা হারামঃ
_____________________
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে নারী আল্লাহ ও পরকালের
প্রতি বিশ্বাস রাখে জেনে রাখ! তার জন্য অনুমতি নেই যে সে আপন স্বামী অথবা মাহরাম পুরুষ
ছাড়া সফর সমান দূরত্বে একাকী ভ্রমণ করব্ব।”
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৩৩৮।
_____________________
এমনকি কোন নারী হজ্জের উদ্দেশ্যেও মক্কাতেও একাকী
যেতে পারেনাঃ
_____________________
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“কোন নারী নিজ মাহরাম
সংগী ছাড়া একাকী সফর করবেনা। ”
তখন উপস্থিত এক সাহাবী আরয করলেন, “আমি তো অমুক জিহাদে
যাচ্ছি। আর এদিকে আমার স্ত্রী হজ্বে যেতে যাচ্ছে। (আমি কি করবো)? জিহাদে বের হবো, নাকি
স্ত্রীর সাথে হজ্বের সফরে বের হব।? কারণ আমি ছাড়া তার অন্য কোন মাহরারম সঙ্গী নেই।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
“তুমি জিহাদে না গিয়ে
তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্বের সফরে যাও।”
সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৩০০৬।
_____________________
নারীদের মাঝে অনেকেই দ্বীন শিক্ষা করেনা, মানাতো
দূরের কথা, হালাল-হারাম কি সেটাই জানেনা। জাহান্নামে নারীরা বেশিঃ
_____________________
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“আমি জান্নাতের প্রতি
দৃষ্টিপাত করে দেখলাম তার অধিকাংশ অধিবাসী দরিদ্র, আর আমি জাহান্নামের প্রতি দৃষ্টি
করে দেখলাম যে তার অধিকাংশ অধিবাসী হচ্ছে নারী।”
জামি তিরমিযী।
_____________________
ইসলামের কোন বিষয়কে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা বা
হেয় মনে করা কুফুরী এবং মুনাফেকের লক্ষণঃ
_____________________
আজকাল হরহামেশা অনেক লেখক, সাহিত্যিক ইসলাম নিয়ে
তির্যক লেখা লিখেন, না জেনে বা না বুঝে এ বিষয়ে পান্ডিত্য দেখাতে গিয়ে ডুবে যান কুফুরীর
অতল সাগরে। মুসলমানী নামটুকু ছাড়া তার আর কিছুই বাকী থাকেনা। আল্লাহ পাক এমন লোকদেরকে
বলছেন,
► “(হে নবী!) আপনি যদি
তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, তারা বলবে, আমরাতো হাসি তামাশা করছিলাম। আপনি বলে দিন, তোমরা
কি আল্লাহকে নিয়ে এবং তার আয়াতসমূহ ও তার রাসুলকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছ? তোমরা কোন
অযুহাত দেখিয়ো না, তোমরা তো ঈমান আনার পরে কুফুরী করে ফেলেছো।” [সুরা তওবাঃ ৬৫-৬৬]
► “তোমরা কি কিতাবের কিছু
অংশকে বিশ্বাস কর এবং কিছু অংশকে প্রত্যাখান কর? তোমাদের যারা এমন করে তাদের পার্থিব
জগতে লাঞ্ছনা ও অবমাননা ছাড়া আর কী প্রতিদান হতে পারে? এবং ক্বিয়ামতের দিন তারা কঠিন
শাস্তির মধ্যে নিক্ষিপ্ত হবে, আর তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ্ গাফেল নন।”
সুরা আল-বাক্বারা, আয়াত নং- ৮৫।
► মুনাফেকদের প্রথম পরিচয়
ছিল, তারা মুসলমানদেরকে নিয়ে হাসি তামাশা করতো, তাদেরকে বোকা ভাবতো। আল্লাহ পাক তাদেরকে
ধমক দিয়ে বলেছেন, “তারাই বোকা অথচ নিজেরা তা জানে না।” [সুরা আল-বাকারাহঃ
১৩]
► ইমাম নববী (রহঃ) বলেন,
“কোন ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায়
কিংবা কেউ যদি স্পষ্টভাবে এমন কোন কথা বলে যা আল্লাহ ও তার রাসূলের কোন বিধানকে তুচ্ছ
করে, তা অবশ্যই কুফুরী।”
► ইমাম কুরতুবী (রহঃ)
লিখেছেন, “মজা করার জন্য হোক কিংবা সত্যি সত্যিই হোক, ইসলামের কোন সাধারণ
বিষয় নিয়ে হাসি তামাশা করা কুফুরী। এতে কারো দ্বিমত নেই।”
► ইমাম ইবনে তাইমিয়া
(রহঃ) বলেন, “দ্বীনের যে কোন স্পষ্ট বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করা কুফুরী। যে
এমন করল তার ঈমান ধ্বংস হয়ে কুফুরীতে পরিণত হল।”
_____________________