শুক্রবার, ২৪ জুলাই, ২০১৫

সালাতুত্-তাসবীহ” নামায বিদাত

প্রশ্নঃ সালাতুত্-তাসবীহ নামায পড়া যাবে? সালাতুত্-তাসবীহর পরিবর্তে কোন নামায পড়বো?
উত্তরঃ সালাতুত্-তাসবীহ নিয়ে হাদীসগুলোকে কিছু ওলামা জাল নয়তো জয়ীফ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন, আবার কিছু ওলামা হাসান বলেছেন। তবে একথা নিশ্চিত সালাতুত্-তাসবীহ সম্পর্কে কোন হাদীসের সনদই দোষ-ত্রুটি মুক্ত নয়। আর ইবাদত করতে হয় সুস্পষ্ট দলিলের ভিত্তিতে, ধারণা বা সন্দেহের উপর ভিত্তি করে কোন ইবাদত করা উচিৎ নয় কারণ তাতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং, এই নামায না পড়াই ভালো, সহীহ হাদীসে আরো অনেক ফযীলতপূর্ণ নফল বা সুন্নত নামায রয়েছে। নিচে আমি সালাতুত্-তাসবীহ সম্পর্কে স্থায়ী কমিটির ফতোয়া এবং শায়খ ইবনে উসায়মিন (রহঃ) এর ফতোয়া উল্লেখ করছি এবং এর পরিবর্তে কিছু নফল সুন্নত নামায পড়ার উপরে পোস্টের লিংক দিচ্ছি।
______________________
আল-লাজনাহ আল-দাইয়িমাহর ফতোয়াঃ
সালাতুত্-তাসবীহর নামায একটি বিদআত, কারণ এ সম্পর্কে হাদীসটি সহীহ প্রমানিত হয়নি বরং সেটা হচ্ছে মুনকার (প্রত্যাখ্যাত) হাদীস। কিছু ওলামা সালাতু সালাতুত্-তাসবীহর হাদীসটিকে মওজু বা জাল বলেছেন।
ফতোয়া আল-লাজনাহ আল-দাইয়িমাহঃ ফতোয়া নং-২১৪১, খন্ড-৮, পৃষ্ঠা-১৬৩, ফতোয়া কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দঃ আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ বিন বাজ (চেয়ারম্যান), আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, আব্দুল্লাহ ইবনে গুদাইয়্যান, আব্দুল্লাহ ইবনে ক্বাউদ, আব্দুল্লাহ ইবনে মানি
মূল ফতোয়ার অনুবাদের লিংক
http://alifta.net/Fatawa/FatawaDetails.aspx?languagename=en&View=Page&PageID=2748&PageNo=1&BookID=7
______________________
আল্লামাহ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) এর ফতোয়াঃ
প্রশ্নঃ সালাতুত-তাসবীহর নামায কি?
উত্তরঃ সালাতুত-তাসবীহর নামায নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়।
ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল (রহঃ) বলেন, এ সম্পর্কিত হাদীস সহীহ নয়।
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ) বলেন, এ সম্পর্কিত হাদীছ মিথ্যা। ইমাম আহমাদ এবং তাঁর অনুসারী ইমামগণ এই নামাযকে মাকরূহ বা অপছন্দনীয় মনে করতেন। কোন ইমামই এই নামাযকে মুস্তাহাব বা উত্তম বলেন নি। আর অন্যান্য ইমামগণ আবু হানীফা, মালেক ও শাফেঈ এ সম্পর্কে কোন কিছু শোনেন নি, তাই কোন মন্তব্যও করেন নি।
শায়খুল ইসলামের এ কথা খুবই সত্য। কেননা এ নামায বিশুদ্ধ হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে উম্মতের কাছে সন্দেহাতীতভাবে সহীহ্ সনদে বর্ণনা করা হত। কেননা তাতে রয়েছে বিরাট প্রতিদান ও উপকার। তাছাড়া সাধারণ নামাযের পদ্ধতি থেকে সালাতুত-তাসবীহর নামায সম্পূর্ণ আলাদা। বরং সমস্ত ইবাদত থেকেই এটি মূলতঃ আলাদা ধরণের। কেননা এমন কোন ইবাদত আমরা দেখিনা, যা আদায় করার জন্য এ ধরণের এখতিয়ার দেয়া হয়েছে যে, প্রতিদিন আদায় করবে অথবা সপ্তাহে একবার অথবা মাসে একবার অথবা বছরে একবার অথবা সারা জীবনে হলেও একবার করবে। তাছাড়া কোন বিষয় মৌলিকতা থেকে আলাদা হলে মানুষ তার প্রতি গুরুত্বারোপ করতো, বিষয়টি অন্যরকম হওয়ার কারণে মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রচলিত থকাতো। এর কোনটিই না হওয়ার কারণে বুঝা যায়, এ নামায শরীয়ত সম্মত নয়। আর এ কারণেই কোন ইমাম একে মুস্তাহাব বলেননি। (আল্লাহ্ই অধিক জ্ঞান রাখেন)।
উৎসঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, সালাত অধ্যায়, প্রশ্ন নং- ২৯৩।
______________________
একটি হজ্জ ও একটি ওমরার সমান সওয়াব পাওয়ার আমলঃ
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/posts/1109799845719428
______________________
চাশতের নামায বা সালাতুদ-দোহা বা আওয়াবীনের নামাযঃ
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/photos/a.130928300273259.14132.125167817515974/1152208974811848/
______________________
গুনাহ মাফ করার সহজ একটা আমলঃ তাহিয়্যাতুল ওযুর দুই রাকাত নামায

https://www.facebook.com/dawati.kaj/photos/a.1539584829647010.1073741828.1440162482922579/1613079862297506/?type=1