রবিবার, ১২ জুলাই, ২০১৫

সিলেটের খবর

সিলেটের খবর
- আনসারুস সুন্নাহ
২৫শে রমাযান, ১৪৩৬হি; ১২ই জুলাই, ২০১৫।
__________________________
বাংলাদেশের কিছু লোকেরা বলে, সিলেট নাকি অলি-আওলিয়াদের দেশ? আসলে সিলেট হচ্ছে মাযার পূজারীদের দেশ। সিলেটের প্রায় প্রত্যেকটা রাস্তার মোড়ে বিশাল বড় মাযার, আর লক্ষ লক্ষ মানুষ সেইগুলোকে পূজা করতে যায়। শাহ জালাল (রহঃ) ছিলেন একজন ইসলাম প্রচারক, এই দেশে তিনি ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন। তখনকার সময়ে সিলেট শাসন করতো গৌর গোবিন্দ নামে চরম ইসলাম বিদ্বেষী একজন হিন্দু রাজা। অনিবার্যভাবে গৌর গোবিন্দের সাথে শাহ জালাল (রহঃ) এর সংঘর্ষ হয় এবং এক পর্যায়ে তিনি যুদ্ধ করে আল্লাহর দুশমনকে উৎখাত করতে সমর্থ হন। এ সবই আল্লাহর ইচ্ছা যে তিনি এভাবে শাহ জালাল (রহঃ) কে দিয়ে তাঁর এক দুশমনকে পরাজিত করবেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পরে কিছু অসৎ ধর্ম ব্যবসায়ী এবং জিন্দীক সূফী সাধকেরা তার কবরকে পাকা করে মাযার বানিয়ে বিশাল বড় ব্যবসা ফেদে বসে আছে। এই মাযারের পেছনে ভক্তরা কোটি কোটি টাকা ঢালছে, এই নির্বোধ লোকগুলো কোনদিন চিন্তা করেনা, শাহ জালাল (রহঃ) মৃত্যুবরণ করেছেন, তার এখন টাকা-পয়সা, খাসি-মুরিগ, জিলাপি বা শিন্নী এইগুলোর কোনকিছুর প্রয়োজন নেই। এইগুলো মাযারের খাদেম নামক কিছু চলন্ত শয়তানের পেটেই যাবে। এই মাযারভক্ত বিদাতীরা যারা মাযার পূজাকে শিরক বলে তাদেরকে ওহাবী বলে গালিগালাজ করে, আর নিজেদেরকে সুন্নী বলে মনে করে। কিসের সুন্নী? শিকি বিদাতী লোকদের সাথে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহর কোন সম্পর্ক নেই। মাযার পূজারীদের সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি বলেছেন দেখুন, যারা কবরকে মসজিদ বানিয়েছে, তারাই হচ্ছে মানুষের মাঝে সবচাইতে নিকৃষ্ট।
[মুসনাদে আহমাদঃ ৫৩১৬, ইবনে খুজাইমাঃ ৭৮৯]
__________________________
এই সিলেট থেকে আজকে একটা নৃশংস ভিডিও বের হয়েছে। চুরির অভিযোগে মাত্র ১৩ বছরের ছোট্ট একটা শিশুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে মানুষ নামের কিছু নরপশু। ছেলেটার অপরাধ কি ছিলো? সে চুরি করেছে? খুনিদের কি প্রমান আছে যে, সে চুরি করেছে? আর চুরি করলেই তাকে হত্যা করে ফেলতে হবে, এটা কোন সভ্য সমাজের আইনে আছে? শিশুটাকে শাস্তি দিলে এইভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করতে হবে? এই লোকগুলো দেখতে মানুষের মতো হলেও এদের অন্তরটা বিবেকহীন পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট! এমন খুনিদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার আল্লাহ দেন নি। শরিয়াহ বা আল্লাহর আইন অনুযায়ী আমরা এই নরপশুদের বিচার ক্বিসাস এর বাস্তবায়ন করার দাবী জানাচ্ছি। ছোট্ট একটা শিশুর উপরে এতোবড় জুলুম আল্লাহ সহ্য করবেন না। খুনীদের বিচার না করলে আল্লাহর অভিশাপ নেমে আসবে, আইন ও বিচার বিভাগে দায়িত্বশীল সকলের উপরে।
__________________________
প্রশ্নঃ ক্বিসাস অর্থ কি?
উত্তরঃ কবীরাহ গুনাহ বা মহাপাপের একটা হচ্ছে খুন বা অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী মানুষ হত্যা করার শাস্তি হচ্ছে হত্যাকারীকেও হত্যা করা হবে, জীবনের বদলে জীবন এই আইনকে ক্বিসাস বলা হয়।

মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে ক্বিসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। হে বুদ্ধিমানগণ! ক্বিসাসের মধ্যে তোমাদের জন্যে জীবন রয়েছে, যাতে তোমরা সাবধান হতে পার। [সুরা আল-বাকারাহঃ১৭৮-১৭৯]