বুধবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৫

ইখলাস প্রসঙ্গে

আলহামদুলিল্লাহ। ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ। আম্মা বাআদু।
__________________
ইখলাস প্রসঙ্গেঃ প্রকাশ্য ও গোপনীয় আমল (কর্ম), কথা ও অবস্থায় আন্তরিকতা ও বিশুদ্ধ নিয়ত জরুরী।
- ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহ রচিত রিয়াদুস সালেহীন থেকে সংক্ষেপিত।
__________________
আল্লাহ তাআলা বলেন,
আর তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল যে, আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁরই ইবাদত করবে এবং সালাত কায়েম করবে ও যাকাত দেবে। আর এটাই হচ্ছে সরল-সঠিক দ্বীন (ধর্ম।)
__________________
প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়্যতের উপর, আর প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়্যত করেছে, তারই পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দিকে হয়েছে, আর যার হিজরত দুনিয়া (পার্থিব বস্তু) আহরণ করার জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিয়ে করার জন্য, তার হিজরত সে জন্য বিবেচিত হবে যে জন্য সে হিজরত করেছে।
[সহীহ্ আল-বুখারীঃ ১, সহীহ্ মুসলিমঃ ১৯০৭।
__________________
ইমাম নববী রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ এই হাদীসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুল্লাহ ও ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল রাহিমাহুল্লাহ এই হাদীসটিকে ইসলামের এক তৃতীয়াংশ অথবা অর্ধেক দ্বীন বলে অভিহিত করেছেন। ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ এই হাদীসটিকে তাঁর গ্রন্থ সহীহ বুখারী তে সাতটি জায়গায় বর্ণনা করেছেন। প্রত্যেক স্থানে এই হাদীসটি উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাবতীয় আমল বা কর্মের বিশুদ্ধতা ও কর্মের প্রতিদান নিয়তের সাথে সম্পৃক্ত, সে কথাটি প্রমাণ করা।

__________________