মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৫

দ্বীনের ব্যপারে কিছু দিক-নির্দেশনা

দ্বীনের ব্যপারে এক বোন কিছু দিক-নির্দেশনা চেয়েছেন, আপনাদের সাথে সেটা শেয়ার করছি, এর দ্বারা যদি কেউ উপকৃত হন।
ছোট ছোট কিছু বই বাছাই করবেন, বড় ওলামাদের লেখা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উপরে। অত্যন্ত সহজ ভাষায় লেখা, যেইগুলো পড়লে আপনি অত্যন্ত সহজ ভাষায় ইসলামের মূল বিষয়গুলো জানতে পারবেন। এমন বইগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারবার পড়বেন, আর সেই টপিকগুলোর উপরে ভালো বক্তাদের ওয়াজ লেকচার শুনবেন। নিয়মিত ক্বুরানের কিছু আয়াত পড়বেন, অন্তত ১০-২০টা করে আয়াত হলেও। আর কিছু হাদীস পড়বেন, যাতে করে সব সময় রাসুল সাঃ এর আদর্শের কথা স্বরণে থাকে। আর সর্বদা আল্লাহকে স্বরণ করবেন, উঠতে বসতে, বাথরুমে যাওয়ার পূর্বে, বাথরুম থেকে বের হয়ে, খাওয়ার পূর্বে ও পরে দুয়া, এমন যতগুলো মাসনুন দুয়া যা রাসুল সাঃ নিয়মতি করতেন প্রত্যেকটা কাজের পূর্বে - সেইগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে পড়বেন, মুখস্থ করবেন এবং আমল করবেন। আর বর্তমান যুগের বড় বড় ফেতনাগুলো কি সেটা জানবেন, এবং এ থেকে বাঁচার চেষ্টা করবেন। আল্লাহ আমাদেরকে সেই তোওফিক দান করুন, আমিন।

আর অবশ্যই অবশ্যই পছন্দের ক্বারীদের তেলাওয়াত শুনবেন, দিনের একটা সময় নির্দিষ্ট করে, কাজ করতে করতে, খেতে খেতে, জার্নিতে, যখন যেইভাবে সুযোগ হয়। বিশেষ করে কিছু সুরা যেমন সুরা ওয়াক্বিয়া, সুরা ইয়াসীন, সুরা মুলক, সুরা দাহার, সুরা যুমার, সুরা হিজর, সুরা আর-রাহমান...এইগুলো শুনবেন বার বার, সাথে সাথে আয়াতে অর্থগু ফলো করবেন, এভাবে চেষ্টা করলে আস্তে আস্তে সরাসরি আরবী থেকেই ক্বুরানের অর্থ বুঝতে পারবেন। ক্বুরান মানুষের জীবনকে আশ্চর্যজনকভাবে পরিবর্তন করে দেয়, সেই জন্য আরবীতে ক্বুরান বুঝা জরুরী।