শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

প্লিজ লেখাটা এড়িয়ে যাবেন না।



যে সমস্ত বোন ৫ ওয়াক্ত নামায পড়েন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) কে ভালোবাসেন তাদেরকে বলছি... প্লিজ লেখাটা এড়িয়ে যাবেন না।

প্লিজ, আপনারা আপনাদের ফেইসবুক একাউন্ট থেকে সমস্ত ছবি ডিলিট করে দিন।

গায়ের মাহরাম কোনো পুরুষকে আপনার নখ দেখানো হারাম, এমনকি আপনার পা দেখানোও হারাম (এটা নিয়ে আমদের পেজে বেশ কিছু লেখালিখি করা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ নিচে লিংক দেওয়া হলো, পড়ে দেখতে পারেন)।
তাহলে চিন্তা করুন, আপনার চেহারা দেখানো কতো বড় হারাম???
আপনি একদিন না একদিন মারা যাবেন নিশ্চিত, হয়তোবা কালকে; হয়তোবা আজকেই মারা যেতে পারেন।
আপনি মারা যাবেন, কিন্তু আপনার একাউন্টে বেপর্দা ছবিগুলো থেকে যাবে।
অনেকে জানবেইনা, বা আপনি মৃত জেনেশুনেও অনেকে আপনার ছবিগুলো দেখবে এইগুলো নিয়ে খারাপ চিন্তা করবে। আপনি যাকে ভালোমানুষ মনে করতেন সেও যে আপনাকে নিয়ে এতো খারাপ চিন্তা করবে! আপনি বেঁচে থাকা অবস্থায় শুনলে হয়তো মরে যেতে ইচ্ছা করতেন...
যতগুলো মানুষ আপনাকে দেখবে কোনো সন্দেহ নেই তারা নিজেরাই পাপী, তাদের অন্তর কলুষিত ও রোগাক্রান্ত।
কিন্তু তাদের পাপের একটা অংশ আপনার কাঁধেও কিন্তু আসবে। কারণ, আপনি তাদের জন্য ফেতনা সৃষ্টি করেছেন।
চিন্তা করুন একটা পুরুষ আপনাকে দিয়ে চোখের জেনা করে একবার গুনাহগার। কিন্তু যতগুলো পুরুষ আপনাকে নিয়ে চোখের জিনা করবে আপনি কতবার গুনাহগার হচ্ছেন?
আফসোসের বিষয়, কাহিনী এখানেই শেষ নাহ!
আপনার বাবা, স্বামী আপনাকে বেপর্দাভাবে রেখে দিয়েছে, আপনাকে হেজাব পর্দা করতে শিক্ষা দেয়নি, আদেশ করেনি আপনি যত পাপ কামাবেন তাতে তাদেরও কিন্তু ভাগ থেকে যাবে। আর এই ভাগ এমন না যে, ভাগাভাগি করে কমতে থাকবে, এর মানে হলো আপনার গুনাহ হবে তার পাশাপাশি অতিরিক্ত আপনি তাদেরকেও গুনাহগার বানাচ্ছেন।

আপনি কি চান চোখের জেনাকারী পুরুষদের বিকৃত রুচি চরিতার্থ করার জন্য আপনি নিজে জাহান্নামে যান? আপনি কি চান এদেরকে খুশিকরতে গিয়ে আপনি আপনার প্রিয়মানুষ বাবা, স্বামীকে জাহান্নামে যাওয়ার জন্য কারণ হতে?

আমি চাই আল্লাহর দাসী হিসেবে আপনি নিজেকে সংশোধন করে নেন। আমি ভালো করেই জানি সমালোচনা কারোরই ভালো লাগেনা - কিন্তু আপনার সমালোচনা করা আমার উদ্দেশ্য না। আমি আপনাকে চিনিনা আপনার সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। আমি চাই একজন মুসলিম বোনকে ইসলামের সুন্দর হিজাব পর্দার দিকে দাওয়াত দিতে।
আর শুধু ফেইসবুকে না জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে হিজাব পর্দা করার চেষ্টা করুন। আধা হিজাবী বা সুন্দরী হিজাবী আপু হয়ে ছলনা করবেন না। শরীয়তের নিয়ম মেনে যেইভাবে হিজাব পর্দা করতে বলা হয়েছে সেইভাবে করুন। আর হিজাব করবেন অবশ্যই নেকাবসহ। নেকাব ছাড়া নারীদের হিজাবকে বলা যেতে পারে চাকাবিহীন গাড়ি। এর তার কথা শুনে বিভ্রান্তিতে পড়বেন না। আমি অসংখ্য দেশি বিদেশি আলেম বিশেষ করে আরব দেশীয় বড় বড় আলেমদের ফতওয়া ও বই দেখেছি অতীতকালের ইমামদের বক্তব্য যাচাই বাছাই করে যা বুঝেছি ইসলাম নেকাব করা ওয়াজিব তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

আপনি মনে করছেন আপনি পর্দা করলে আপনাকে খারাপ দেখা যাবে? আপনাকে তারাই খারাপ হিসেবে দেখবে যারা অন্তরের দিক থেক লম্পট, রুচি বিকৃত ও আপনার সৌন্দর্যকে অন্যাভাবে ভোগ করতে চায়। আপনি হিজাব পর্দা মেনে চললে আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসবেন। কার ভালোবাসা বেশি জরুরী আল্লাহর নাকি লম্পট কোনো পুরুষের যে অন্যায়ভাবে আপনার সতীত্ব নষ্ট করতে চায়? আপনি যেই হোন আপনি হিজাব পর্দা করলে দ্বীনদার ধার্মিক ভাইয়েরা আপনাকে সম্মানের চোখে দেখবে।

কারো অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকলে দুঃখিত। হয়তোবা বেশি কথা বলে বিরক্ত করে ফেলছি।

সালামুন আলাইকুম।