শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৪

দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচার জন্য সহজ আমলঃ সুরা কাহফের ১০ আয়াত



দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচার জন্য সহজ আমলঃ সুরা কাহফের প্রথম বা শেষের দশ আয়াত মুখস্থ করা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের হাত থেকে রক্ষা পাবে অন্য এক হাদীসে আছে, সুরা কাহফের শেষ দশ আয়াত সহীহ মুসলিম, রিয়াদুস স্বালেহীনঃ ১০২১
> দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচার জন্য সুরা কাহফের প্রথম বা শেষের দশ আয়াত মুখস্থ করার কথা হাদীসে এসেছে, দুইটা হাদীসই সহীহ যার যেই আয়াত ভালো লাগে, প্রথম বা শেষের যেকোন দশ আয়াত মুখস্থ করলেই হবে
যেকোন সুরা, আয়াত বা দুয়া মুখস্থ জন্য সহজ পদ্ধতিঃ
সুন্দর একটা তেলাওয়াত নিয়ে বেশ কয়েকবার শুনবেন এর পরে মুখস্থ করা শুরু করবেন, প্রতিদিন ৫টা কিংবা ১০টা করে আয়াত এইভাবে যতদিন না মুখস্থ হচ্ছে, প্রতিদিন বারবার তেলাওয়াত শুনতে থাকবেন ও বারবার পড়ে মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন আর বড় সুরা হলে (যেমন সুরা মুলক মুখস্থ করতে পারেন, এই সুরাটা মুখস্থ রাখা ও প্রতিদিন তেলাওয়াত করার অনেক ফযীলত) প্রতিদিন একবার তেলাওয়াত করলে দুই-তিন মাসে এমনিতেই মুখস্থ হয়ে যাবে ইংশায়াল্লাহ
সুরা আল-কাহাফ, ১৫-তম পারাতে, ক্বুরআনের ১৮ নাম্বার সুরা, আয়াত ১-১০
কাহাফ শব্দের অর্থ হচ্ছে গুহা, Cave.
এই সুরাতে কয়েকজন যুবকের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, যাদেরকে ততকালীন কাফের বাদশাহ বেঈমান বানাতে চাচ্ছিলো তারা তখন কয়েকজন একত্রিত হয়ে একটা কুকুরসহ গুহায় আশ্রয় নেয় এবং আল্লাহ তাআলা তাদেরকে এক ঘুমে ৩০৯ বছর পার করে দেন। একারণে তাদেরকে আসহাবে কাহাফ বা গুহাবাসী বলা হয়, আর এই ঘটনা থেকে সুরাটির নাম রাখা রয়েছে সুরা কাহাফ।
উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম। বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম।
() মস্থ প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি তাঁর বান্দার প্রতি এ কিতাব (ক্বুরআন) নাযিল করেছেন এবং তার মাঝে কোন বক্রতা রাখেননি
() ই (ক্বুরআনকে) তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ভীষণ বিপদের ভয় প্রদর্শন করে এবং মুমিনদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে, তাদেরকে এই সুসংবাদ দান করে যে, তাদের জন্যে উত্তম প্রতিদান রয়েছে
() সেখানে (জান্নাতে) তারা চিরকাল অবস্থান করবে
() আর তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করার জন্যে যারা বলে যে, আল্লাহর সন্তান রয়েছে
() এ সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃ পুরুষদেরও কোন জ্ঞান নে কত কঠিন তাদের মুখের কথা তারা যা বলে তা তো সবই মিথ্যা
() যদি তারা এই বিষয়বস্তু (ক্বুরআনের) প্রতি ঈমান না আনে, তবে তাদের জন্য অনুতাপ করতে করতে আপনি হয়তোবা নিজের প্রাণ ধ্বংস করে ফেলবেন।
() আমি দুনিয়ার সব কিছুকে দুনিয়ার জন্য সৌন্দর্য বানিয়েছি, যাতে করে লোকদেরকে পরীক্ষা করি যে, তাদের মধ্যে কে ভাল কাজ করে
() আর দুনিয়ার উপর যা কিছু রয়েছে, আমি অবশ্যই (নির্দিষ্ট সময়ে) তাকে উদ্ভিদশূন্য মাটিতে পরিণত করে দেব
() আপনি কি ধারণা করেন যে, গুহা ও গর্তের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল?
(১০) যখন যুবকরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করলো আর তখন এই দুয়া করলো, হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে আপনার নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং, আমাদের জন্যে আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন