শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

দাজ্জাল দেওয়ানবাগীর শিরকি ও কুফুরীর বিবরণ



দেওয়ানবাগী

নামঃ মাহবুব খোদা
সর্বস্তরে দেওয়ানবাগী পীর নামে বেশী পরিচিত জন্মঃ১৪ ডিসেম্বর ১৯৪৯ ইংরেজী
জন্মস্থান ব্রাক্ষনবাড়ীয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে নিজ এলাকার তাল শহর কারিমীয়া আলীয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজেল পর্যন্ত পরাশুনা করে ছাত্রজীবনের ইতি টানে ১৯৭১ সালে দেওয়ানবাগী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন স্বাধীনতার পর তাঁর নং সেক্টরের কমান্ডার শফিউল্লাহ সাহেবের সুপারিশে সেনাবাহিনীর ১৫ নং বেঙ্গল রেজিমেন্টে ইমামতির চাকুরী নেয় ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আবুল ফজল সুলতান আহমদ চন্দ্রপুরীর হাতে বাইয়াত গ্রহন করেন পড়ে স্বীয় মুর্শিদের কন্যা হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন সুবাদে শশুরের কাছ থেকে খিলাফত লাভ করেন এর কিছুদিন পর নারায়নগঞ্জের দেওয়ানবাগ নামক স্থানে আস্তানা গঠন করেন এবং নিজেকেসুফী সম্রাটহিসেবে পরিচয় দিয়ে শোহরত লাভ করতে থাকেন এরপর তিনি মতিঝিলের ১৪৭ আরামবাগ ঢাকা-১০০০ তেবাবে রহমতনামে আরেকটি দরবান স্থাপন করেন এখান থেকে তাঁর তত্ত্বাবধানে এবং নির্দেশে বাবে রহমত মূখপত্রআত্মার বাণীসহ বেশ কয়েকটি মাসিক পত্রিকা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়

এক নজরে দেওয়ানবাগীর কিছু আকিদা উক্তি সমূহঃ

আমার অসংখ্য মুরিদান স্বপ্ন কাশফের মাধ্যমে আল্লাহর দীদার লাভ করেছে আমার স্ত্রী হামিদা বেগম আমার কন্যা তাহমিনা খোদা স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহকে দাড়ী গোফ বিহীন যুবকের ন্যায় দেখতে পায় (নাউযুবিল্লাহ)
সুত্রঃ আল্লাহ কোন পথেঃ ২৩

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেনশুধু আমি নই, আমার স্ত্রী কন্যা সহ লক্ষ্ লক্ষ্ মুরিদানও আল্লাহকে দেখেছেন (নাউযুবিল্লাহ)
সুত্রঃ সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ

দেওয়ানবাগে আল্লাহ সমস্ত নবী রাসূল, ফেরেস্তারা মিছিল করে এবং আল্লাহ নিজে শ্লোগান দেন (নাউযুবিল্লাহ)
সুত্রঃ সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ, মার্চ ১৯৯৯ ইং

"দেওয়ানবাগী এবং তার মুরীদদের মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ্, সমস্ত নবী, রাসূল (সা), ফেরেস্তা, দেওয়ানবাগী তার মুর্শিদচন্দ্রপাড়ার মৃত আবুল ফজলসহ সমস্ত ওলি আওলিয়া, এক বিশাল ময়দানে সমবেত হয়ে সর্বসম্মতিক্রমে দেওয়ানবাগীকে মোহাম্মাদী ইসলামের প্রচারক নির্বাচিত করা হয় অতঃপর আল্লাহ সবাইকে নিয়ে এক মিছিল বের করে মোহাম্মাদী ইসলামের চারটি পতাকা চারজনের যথাক্রমে আল্লাহ, রাসূল (সাঃ), দেওয়ানবাগী এবং তার পীরের হাতে ছিল আল্লাহ, দেওয়ানবাগী তার পীর প্রথম সারিতে ছিলেন বাকিরা সবাই পিছনের সারিতে আল্লাহ নিজেই স্লোগান দিয়েছিলেন ''মোহাম্মাদী ইসলামের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো"
সূত্রঃ সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগী পত্রিকা- ১২/০৩/৯৯

আমি এক ভিন্নধর্মের লোককে ওজীফা আমল বাতলে দিলাম দিন পর বিধর্মী স্বপ্নযোগে মদিনায় গেল নবিজীর হাতে হাত মিলালো নিজের সর্বাঙ্গে জিকির অনুভব করতে লাগলো তারপর থেকে ওই বিধর্মী প্রত্যেক কাজেই অন্তরে আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে থাকে (নাউযুবিল্লাহ)
সুত্রঃ মানতের নির্দেশিকাঃ২৩, সূফী ফাউন্ডেশন, ১৪৭ আরামবাগ, ঢাকা

কোন লোক যখন নফসীর মাকামে গিয়ে পৌঁছে, তখন তাঁর আর কোন ইবাদাত লাগেনা (নাউযুবিল্লাহ)
আল্লাহ কোন পথে,পৃঃ ৯০

জিব্রাইল বলতে আর কেও নন, স্বয়ং আল্লাহ- জিব্রাইল (নাউযুবিল্লাহ)
সুত্রঃ মাসিক আত্মার বাণী, ৫ম বর্ষ, ১ম সঙ্খ্যাঃ২১

সূর্যোদয় পর্যন্ত সাহরী খাওয়ার সময় সুবহে সাদেক অর্থ প্রভাতকাল হুজুরেরা ঘুমানোর জন্য তারাতারি আযান দিয়ে দেয় আপনি কিন্তু খাওয়া বন্ধ করবেন না আযান দিয়েছে নামাজের জন্য খাবার বন্ধের জন্য আযান দেয়া হয়না
সুত্রঃ মাসিক আত্মার বাণী, সংখ্যাঃ নভেম্বরঃ ৯৯, পৃঃ

মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হায়াতে জিন্দেগী কে পুলসিরাত বলা হয় (নাউযুবিল্লাহ)
সুত্রঃ আল্লাহ কোন পথে, তৃতীয় সংস্করনঃ ৬০

আল্লাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে আত্মা এক বিচ্ছেদ যাতনা ভোগ করতে থাকে প্রভূর পরিচয় নিজের মাঝে না পাওয়া অবস্থায় মৃত্যু হলে সে বেঈমান হয়ে কবরে যাবে তখন তাঁর আত্মা এমন এক অবস্থায় আটকে পড়ে যে, পুনরায় আল্লাহর সাথে মিলনের পথ খুঁজে পায়না আর তা আত্তার জন্য কঠিন যন্ত্রনাদায়ক আত্মার এরূপ চিরস্থায়ী যন্ত্রনাদায়ক অবস্থাকেই জাহান্নাম বা দোযোখ বলা হয় (নাউযুবিল্লাহ)
আল্লাহ কোন পথেঃ ৪৪

দেওয়ানবাগী নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করেন অতঃপর দরুদে মাহদী রচনা করে্ন
দরুদে মাহদীঃ

আল্লাহুম্মা ছাল্লী লা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদিউ ওয়ালা লা ইমাম মাহদী রাহমাতাল্লিল আলামীন ওয়ালিহী ওয়াছাল্লীম

ময়লার স্তূপে অর্ধমৃত বিবস্ত্র অবস্থায় রাসুল (সাঃ) কে দেখেছি (নাউযুবিল্লাহ)

দেওয়ানবাগী ১৯৮৯ সালে নাকি একটি ব্যতিক্রমধর্মী স্বপ্ন দেখে ফেলেন স্বপ্ন সম্পর্কে তিনি বলেন, “ আমি দেখি ঢাকা ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থান জুড়ে এক বিশাল বাগান ফুলে-ফলে সুশোভিত ওই বাগানে আমি একা একা হেটে বেড়াচ্ছি হঠাত বাগানের এক স্থানে একটি ময়লার স্তূপ আমার চোখে পড়ে আমি দেখতে পাই ওই ময়লার স্তূপে রাসুল (সাঃ) এর প্রানহীন দেহ মোবারক পড়ে আছে তাঁর মাথা মোবারক দক্ষিন দিকে আর পা মোবারক উত্তর দিকে প্রসারিত বাম পা মোবারক হাটুতে ভাজ হয়ে খারা অবস্থায় রয়েছে আমি তাকে উদ্ধার করার জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম আমি এগিয়ে গিয়ে তাঁর বাম পায়ের হাটুতে আমার ডান হাত দ্বারা স্পর্শ করলাম সাথে সাথেই তাঁর দেহ মোবারকে প্রাণ ফিরে এল তিনি চোখ মেলে আমার দিকে তাকালেন মূহুর্তের মধ্যেই রাসূল (সাঃ) সুন্দর পোশাকে সুসজ্জিত হয়ে গেলেন তিনি উঠে বসে হাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, হে ধর্ম পূনর্জীবন দানকারী! ইতমধ্যেই আমার ধর্ম আরও পাঁচবার পূনর্জীবন লাভ করেছে একথা বলে রাসূল(সাঃ) উঠে দাঁড়িয়ে হেটে হেটে আমার সাথে চলে এলেন এরপর আমার ঘুম ভেঙে গেল
সুত্রঃ দেওয়ানবাগীর স্বরচিত গ্রন্থরাসূল . সত্যিই কি গরীব ছিলেন?” ১১-১২ প্রকাশকালঃ জুন ১৯৯৯


এত কুকর্মের পরেও বিনা বাধায় তাঁর কাজ সে করে চলেছে সরকারের পক্ষ থেকে কোন রকম বাধার সম্মুখীন না হওয়ায় দিন দিন তাঁর অপশক্তি ক্রমবর্ধমান ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে একটু খোঁজ নিলে এরকম আরও হাজার হাজার গাজাখুরী মতবাদ শুনতে পারবেন, যা তিনি প্রতিদিন বিনা দ্বিধায় বলে চলেছেন