আপনি কি জানাযার নামায পড়তে জানেন?
আপনি কি জানাজার নামাযে সুরা ফাতেহা পড়েন?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উত্তর হচ্ছে, না।
আপনি কেনো সুরা ফাতেহা পড়েন না, যেখানে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন সুরা ফাতেহা ছাড়া কোনো নামায হয়না (চাই সেটা ফরয/ওয়াজিব?সুন্নত/নফল/জানাযা/ঈদের নামায হোকনা কেনো)।
আপনি কার কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আদেশ অমান্য করছেন ও তাঁর সুন্নতের বিরোধীতা করছেন?
আপনি জীবনে কুরআনের তর্জমা পড়েছেন? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সহীহ হাদীস গুলো পড়েছেন? আপনি কি জীবনে বুখারী শরীফ খুলে দেখেছন?
আপনি যদি কুরআন হাদীসের তর্জমা না পড়েন, তাহলে আপনি কি করে জানবেন কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল?
যাই হোক, এবার পোস্টের আলোচনার বিষয়, জানাজার নামায সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলোঃ
১. প্রথমে নিয়ত করে “আল্লাহু আকবার” বলে দুই হাত কান বা কাঁধ পর্যন্ত তুলে ইশারা করা ইমামের সাথে নামায পড়া শুরু করবেন। মুখে নাওয়াইতু...পড়ে নিয়ত করা বেদাত। বরং অন্তরে বা মনে মনে নিয়ত করে নেবেন, “নারী/পুরুষ/শিশুর জন্য জানাযার নামায পড়ছেন”, মনে মনে এতটুকু ধারণা থাকলেই নিয়ত করা হয়ে যাবে।
২. আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়ে সুরা ফাতিহা পড়বেন (বুখারী)। দলীল জানতে বুখারীর হাদীস স্ক্যান করা ছবিতে দেখুন। সুরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ পড়েনা, এটা ভুল। সুরা ফাতিহা না পড়ে সানা পড়ে, জানাজার নামাযে সানা পড়তে হবে – এটা ঠিক না। বরং সুরা ফাতিহা পড়তে হবে।
৩. সুরা ফাতিহা পড়ে যদি সময় থাকে অন্য আরেকটা সুরা পড়বেন। অন্য আরেকটি সুরা পড়া সুন্নত, না পড়লেও নামায হয়ে যাবে। যদি সময় না থাকে তাহলে ইমামের সাথে পরবর্তী তাকবীর দিবেন।
৪. এর পরে “আল্লাহু আকবার” বলে তাকবীর দিবেন। এ সময় ১ম তাকবীরের মতো দুই হাত কান বা কাঁধ পর্যন্ত তুলে ইশারা করা সুন্নত। কেউ যদি না করেন, তবুও তার নামায হয়ে যাবে।
৫. এর পরে দুরুদে ইব্রাহীম পড়বেন (বুখারী ও মুসলিমঃ কিতাকবুল জানায়েজ)
৬. এর পরে “আল্লাহু আকবার” বলে তাকবীর দিবেন। এ সময় ১ম তাকবীরের মতো দুই হাত কান বা কাঁধ পর্যন্ত তুলে ইশারা করা সুন্নত। কেউ যদি না করেন, তবুও তার নামায হয়ে যাবে।
৭. এর পরে জানাযার দুয়া পড়বেন, আল্লাহুম্মাগফিরলী হায়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা...এটা বা অন্য আরো দুয়া আছে সহীহ হাদীসে, যেকোন একটা বা একাধিকা দুয়া পড়তে পারেন।
৮. এর পরে “আল্লাহু আকবার” বলে তাকবীর দিবেন। এ সময় ১ম তাকবীরের মতো দুই হাত কান বা কাঁধ পর্যন্ত তুলে ইশারা করা সুন্নত। কেউ যদি না করেন, তবুও তার নামায হয়ে যাবে।
৯. এর পরে অন্য আরো দুয়া জানা থাকলে পড়বেন, জানা না থাকলে বা ইমাম সালাম ফিরালে ইমামের সাথে নামায শেষ করবেন।
১০. উল্লেখ্য, সহীহ হাদীসে শুধু মাত্র ডানদিকে একবার অথবা, ডানে ও বামে দুই দিকে সালাম ফিরানোর কথা এসেছে। মক্কা ও মদীনাতে সহীহ হাদীস মেনে মাঝে মাঝে শুধু ডান দিকে একবার সালাম ফিরিয়ে জানাযার নামায শেষ করা হয়, এটা করাও সুন্নত। তাই, আমাদের দেশে প্রচলিত না থাকলেও কখনোও কোথাও এইভাবে নামায পড়তে দেখলে চমকে যাবেন না।
বিস্তারিত জানতে এই লেকচারটা দেখুন –
http://www.youtube.com/watch?v=lkWZGcBpENM
আর যে হাদীসগুলো থেকে দলীল নেওয়া হয়েছে,
বুখারীঃ ১৩২২, ১৩৩৫, মুসলিমঃ ৯৬৩, ৯৬৪, তিরমিযীঃ ১০২৬, আবু দাউদঃ ৩১৯৮, ইবনু মাজাহঃ ১২২৪, ১৫১৭, নাসায়ীঃ ১৯৮৬, ১৯৮৭, ১৯৮৮, দারা কুতনীঃ ২/২৮৫, বায়হাকীঃ ৪/৪৪।
আপনি কি জানাজার নামাযে সুরা ফাতেহা পড়েন?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উত্তর হচ্ছে, না।
আপনি কেনো সুরা ফাতেহা পড়েন না, যেখানে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন সুরা ফাতেহা ছাড়া কোনো নামায হয়না (চাই সেটা ফরয/ওয়াজিব?সুন্নত/নফল/জানাযা/ঈদের নামায হোকনা কেনো)।
আপনি কার কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আদেশ অমান্য করছেন ও তাঁর সুন্নতের বিরোধীতা করছেন?
আপনি জীবনে কুরআনের তর্জমা পড়েছেন? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সহীহ হাদীস গুলো পড়েছেন? আপনি কি জীবনে বুখারী শরীফ খুলে দেখেছন?
আপনি যদি কুরআন হাদীসের তর্জমা না পড়েন, তাহলে আপনি কি করে জানবেন কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল?
যাই হোক, এবার পোস্টের আলোচনার বিষয়, জানাজার নামায সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলোঃ
১. প্রথমে নিয়ত করে “আল্লাহু আকবার” বলে দুই হাত কান বা কাঁধ পর্যন্ত তুলে ইশারা করা ইমামের সাথে নামায পড়া শুরু করবেন। মুখে নাওয়াইতু...পড়ে নিয়ত করা বেদাত। বরং অন্তরে বা মনে মনে নিয়ত করে নেবেন, “নারী/পুরুষ/শিশুর জন্য জানাযার নামায পড়ছেন”, মনে মনে এতটুকু ধারণা থাকলেই নিয়ত করা হয়ে যাবে।
২. আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়ে সুরা ফাতিহা পড়বেন (বুখারী)। দলীল জানতে বুখারীর হাদীস স্ক্যান করা ছবিতে দেখুন। সুরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ পড়েনা, এটা ভুল। সুরা ফাতিহা না পড়ে সানা পড়ে, জানাজার নামাযে সানা পড়তে হবে – এটা ঠিক না। বরং সুরা ফাতিহা পড়তে হবে।
৩. সুরা ফাতিহা পড়ে যদি সময় থাকে অন্য আরেকটা সুরা পড়বেন। অন্য আরেকটি সুরা পড়া সুন্নত, না পড়লেও নামায হয়ে যাবে। যদি সময় না থাকে তাহলে ইমামের সাথে পরবর্তী তাকবীর দিবেন।
৪. এর পরে “আল্লাহু আকবার” বলে তাকবীর দিবেন। এ সময় ১ম তাকবীরের মতো দুই হাত কান বা কাঁধ পর্যন্ত তুলে ইশারা করা সুন্নত। কেউ যদি না করেন, তবুও তার নামায হয়ে যাবে।
৫. এর পরে দুরুদে ইব্রাহীম পড়বেন (বুখারী ও মুসলিমঃ কিতাকবুল জানায়েজ)
৬. এর পরে “আল্লাহু আকবার” বলে তাকবীর দিবেন। এ সময় ১ম তাকবীরের মতো দুই হাত কান বা কাঁধ পর্যন্ত তুলে ইশারা করা সুন্নত। কেউ যদি না করেন, তবুও তার নামায হয়ে যাবে।
৭. এর পরে জানাযার দুয়া পড়বেন, আল্লাহুম্মাগফিরলী হায়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা...এটা বা অন্য আরো দুয়া আছে সহীহ হাদীসে, যেকোন একটা বা একাধিকা দুয়া পড়তে পারেন।
৮. এর পরে “আল্লাহু আকবার” বলে তাকবীর দিবেন। এ সময় ১ম তাকবীরের মতো দুই হাত কান বা কাঁধ পর্যন্ত তুলে ইশারা করা সুন্নত। কেউ যদি না করেন, তবুও তার নামায হয়ে যাবে।
৯. এর পরে অন্য আরো দুয়া জানা থাকলে পড়বেন, জানা না থাকলে বা ইমাম সালাম ফিরালে ইমামের সাথে নামায শেষ করবেন।
১০. উল্লেখ্য, সহীহ হাদীসে শুধু মাত্র ডানদিকে একবার অথবা, ডানে ও বামে দুই দিকে সালাম ফিরানোর কথা এসেছে। মক্কা ও মদীনাতে সহীহ হাদীস মেনে মাঝে মাঝে শুধু ডান দিকে একবার সালাম ফিরিয়ে জানাযার নামায শেষ করা হয়, এটা করাও সুন্নত। তাই, আমাদের দেশে প্রচলিত না থাকলেও কখনোও কোথাও এইভাবে নামায পড়তে দেখলে চমকে যাবেন না।
বিস্তারিত জানতে এই লেকচারটা দেখুন –
http://www.youtube.com/watch?v=lkWZGcBpENM
আর যে হাদীসগুলো থেকে দলীল নেওয়া হয়েছে,
বুখারীঃ ১৩২২, ১৩৩৫, মুসলিমঃ ৯৬৩, ৯৬৪, তিরমিযীঃ ১০২৬, আবু দাউদঃ ৩১৯৮, ইবনু মাজাহঃ ১২২৪, ১৫১৭, নাসায়ীঃ ১৯৮৬, ১৯৮৭, ১৯৮৮, দারা কুতনীঃ ২/২৮৫, বায়হাকীঃ ৪/৪৪।