কুরআনের মিরাকল বা মুজেজা বলে
যে “১৯ সংখ্যার থিওরীর” কথা বলা হয় – এর কোনো ভিত্তি নেই। গবেষণা দ্বারা প্রমানিত হয়েছে
এটা ঠিক নয়।
শেইখ আহমাদ দীদাত রাহিমাহুল্লাহ
তার কিছু লেকচার ও বইয়ে এটা উল্লেখ করেছিলেন, কিন্তু পরে তিনি এটা থেকে ফিরে আসেন।
কারণ এই থিওরী প্রথম যে পেশ করে সেছিলো একজন ইয়াহুদী মুনাফেক যার নাম ছিলো রাশাদ খলিফা।
প্রথম সে নিজেকে মুসলিম প্রফেসর দাবী করে, পরে সে ইমাম মাহদী ও শেষ নবীর পর্যায়ে দাবী
করে। সে নতুন একটা কাফের জামাত প্রতিষ্ঠা করে যারা আহলে কুরআন/কুরানিস্ট/প্রগ্রেসিভ
মুসলিম ইত্যাদি নামে পরিচিত। এরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদেশ-নিষেধ
বা “সুন্নাহ” কে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে যা সর্বসম্মতভাবে কুফুরী। এছাড়া তারা কুরআন
নিজে নিজে মনগড়া ব্যখ্যা দাঁড় করায়। আল্লাহর ওয়াহীর সাহায্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেইভাবে ব্যখ্যা দিয়েছেন ও এর উপর আমল করেছেন, সাহাবারা যেইভাবে
বুঝেছেন তারা সেটাকে অস্বীকার করে। ১৯ থিওরীর যেইভুল সেই ভুলটাকেই ঠিক প্রমান করার
জন্য এই মুনাফেক কুরআনের কিছু আয়াতকেও অস্বীকার করেছিলো, নাউযুবিল্ললাহ!
আল্লাহ এদেরকে হেদায়েত করুন
নয়তো এদেরকে ধ্বংস করুন। এরা ইয়াহুদী খ্রীস্টানদের লালিত পালিত সন্তান যাতে করে ইসলামকে
ধ্বংস করতে পারে।
যাইহোক, আপনার এই ১৯ থিওরী বিশ্বাস করবেন না, এটা প্রচার করবেন না। ইসলাম সত্য ধর্ম, এর প্রমান
হচ্ছে কুরআনুল কারীম – এটা জীবন্ত মুজেজা। আপনারা কুরআন ও হাদীস যথাযথভাবে অধ্যায়ন
করবেন এর দলীল প্রমান জানবেন আর ভুল অথবা অপব্যখ্যা থেকে দূরে থাকবেন।