আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিনঃ আলো দৃশ্যমান, আর আগুন ও দৃশ্যমান, জীন আগুনের
তৈরী তাহলে আমরা, জীন দেখতে পাইনা কেন? কোরআন এবং হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা দিন।
উত্তরঃ কুরআন হাদীসে কি ব্যখ্যা এসেছে তা আমার জানা নাই। আপনি একজন আলেমকে
জিজ্ঞাস করে দেখতে পারেন। তবে এ সম্পর্কে পীসটিভি বক্তা শাহ ওয়ালী উল্লাহর একটা আলোচনা
ও আমার সাধারণ জ্ঞান থেকে যতটুকু জানিঃ
আল্লাহ পারেন না এমন কোনো কাজ দুনিয়াতে নাই। আর তিনি যেটা ভালো সেটাই করেন।
শয়তান আমাদেরকে ধোকা দেয়, সেওতো একটা জিন। আর জিনদের মধ্যে যারা কাফের, যারা মানুষকে
পথভ্রষ্ট করার জন্য কুমন্ত্রনা দেয় - তারাও এক প্রকার শয়তান। এখন এই শয়তানকে যদি আমরা
দেখতে পেতাম তাহলে তারা কোনোদিন আমাদেরকে কুমন্ত্রনা দিতে পারতোনা – আমরা বুঝে ফেলতাম
এটা শয়তানের কুমন্ত্রনা।
এছাড়া মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে যতদূর জানা যায় – জিনেরা মানুষের মতো সুশ্রী নয়।
তাদের দেখে মানুষের ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক।
এছাড়া অনেক জিন আমাদের সাথে বা বাসাবাড়িতে থাকে। তাদের জগত যদি আমাদের জন্য
দৃশ্যমান হতো তাহলে আমাদের জন্য বসবাস করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়তো। সহীহ হাদীস থেকে
বুঝা যায়, খবিস জিনেরা বাথরুমে থাকে। তাদেরকে যদি দেখাই যেতো তাহলে আমরা বাথরুমে যেতাম
কি করে?
আশা করি বুঝতে পেরেছেন – জিনেরা আমাদের কাছে সবসময় অদৃশ্য থাকার প্রয়োজনীয়তা
কতটুকু।
আর তারা আগুনের তৈরী, আগুন দৃশ্যমান তবুও আমরা তাদেরকে দেখতে পারিনা কেনো?
এটা আল্লাহর ইচ্ছা ও কুদরত। দেখুন পানি আমাদের জন্য দৃশ্যমান। কিন্তু এই পানি
ফুটিয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত করলে আমরা আর দেখতে পাইনা। দেখবেন আবহাওয়া নিউজে বলে আজকে
বাতাসে আদ্রতার (জলীয় বাষ্প) পরিমান এতো এতো %।
তার মানে বাতাসে পানি জলীয় বাষ্প আকারে থাকে, তবুও আমরা দেখতে পাইনা। এটাই
হচ্ছে আল্লাহর কুদরত বা ক্ষমতা।
আরেকটা প্রশ্ন আছেঃ জিন যদি আগুনের তৈরী হয়ে থাকে তাহলে জাহান্নামে তাদেরকে
শাস্তি দেওয়া হবে কিভাবে? কারণ জাহান্নামেতো শাস্তি দেওয়া হবে আগুন দিয়েই...
এই প্রশ্ন কারো থাকলে জরুরী ভিত্তিতে আমার সাথে যোগাযোগ করুন। আমি ইট নিয়ে
(এটাওতো মাটি থেকেই তৈরী!) আপনার গায়ে ছুঁড়ে মারবো। আপনি ব্যথা পান কিনা উত্তর দেওয়া
হলে আমিও আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবো ইন শা’ আল্লাহ...
আশা করি বুঝতে পেরেছেন – আল্লাহ যা ইচ্ছা তা করেন, করতে পারেন – ওয়া হুয়া আ’লা
কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর – আর তিনি হচ্ছেন সকল ক্ষমতার মালিক।
*কিছু ভুল বলে থাকলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
বিঃদ্রঃ আয়াত দুটি সুরা আল-হিজর থেকে নেওয়া।