যাদুকর, জ্যোতিষি, গণক, ভাগ্য পরিবর্তনের আংটি ও পাথর, জিনের তদবির, সূফী সাধক, ভন্ড পীর-মুরিদি...
# আজকাল টিভিতে ভবিষ্যত বলা, ভাগ্য পরিবর্তন করার গুরু, সূফী সাধক, জিনের বাদশাহ, স্বামী স্ত্রীর সমস্যা, বিপদ আপদ দূর করার গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে, জিনের সাধনা, জিনের তদবীর, আংটি, পাথর ইত্যাদির বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
পত্রিকা
ও
টিভি
চ্যানেলগুলো সামান্য
কিছু
টাকার
লোভে
আল্লাহর
দুশমন
এই
কাফের
ও
মুর্তাদদের প্রচার
করছে,
আল্লাহর
লানত
এই
এইসবগুলো শয়তান
ও
টিভি
চ্যানেল
ও
পত্রিকার উপরে
যারা
নির্বোধ
মুসলমানদের ঈমান
নষ্ট
করছে। জাদু, জিনের ভেল্কি, জ্যোতিষি, গণক এইগুলোর মাঝে পড়ে।
আর
এইসবগুলো হচ্ছে
বড়
প্রতারণা ও
ডাহা
শিরক,
এইগুলোর
সাহায্য
নিলে
ঈমান
নষ্ট
হয়ে
কাফের
হয়ে
যাব। যাদুকরের শাস্তি হচ্ছে এক কোপে মাথা থেকে ঘাড় আলাদা করে ফেলতে হবে (কিতাবুত তাওহীদ), এমনকি জাদুকর যদি তোওবাও করতে চায় তবুও তার তোওবা কবুল করা হবেনা, কারণ যাদুকর হচ্ছে আসলে মানুষ শয়তান, শয়তানকে বিশ্বাস করা যায়না।
# নতুন বছর উপলক্ষ্যে বিভিন্ন টিভি, পত্রিকা, ম্যাগাজিনে রাশিফল, দিন/বছর কেমন যাবে, দেশের বা প্রধানমন্ত্রীর কি হবে এইরকম ভবিষ্যতবাণী দেওয়া হয়।
# জ্যোতিষি, ভাগ্য গণনা, রাশিচক্র এইসবগুলো কাজ কুফুরী ও শয়তানের কাজ।
যেই
এইগুলো
করে
এবং
বিশ্বাস
করে
সে
কাফের
হয়ে
যাবে। তাকে নতুন করে কালেমা পড়ে ঈমান এনে মুসলমান হতে হবে। আর তোওবা না করে যদিই সে মারা যায় সে চিরজাহান্নামী হবে।
# ভাগ্য গণনা যে বিশ্বাস করে সে কাফের।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
”যে একজন ভবিষ্যতবক্তা গণকের কাছে গেল এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করে, মুহাম্মদের নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছিল সে তা অবিশ্বাস করল।”
আহমাদ ও
আবু
দাউদ।
# কেউ যদি এইগুলো বিশ্বাস না করে কিন্তু কৌতুহলবশত জিজ্ঞাস করে বা এইগুলো পড়ে তবুও সে মারাত্মক গুনাহগার।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“যে গণকের কাছে যায় এবং কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে তার চল্লিশ দিন ও রাত্রির নামাজ কবুল করা হবে না।”
সহীহ মুসলিম
৫৫৪০।
# গণক/জ্যোতিষি এর হচ্ছে তাগুত (আল্লাহদ্রোহী), এদের কথাবার্তা যারা পত্রিকায় ছাপায়, টিভিতে প্রচার করে তারা নিজেরাই হচ্ছে শয়্তানের দোসর।
# সাবধান! আল্লাহদ্রোহী পত্রিকা, ম্যাগাজিন, টিভি চ্যানেল থেকে।
_____________________________________
ফেইসবুকে কিছু এপস আছে, ভবিষ্যত বলার - আপনার বিয়ে ২০৯৯ সালে, অমুক এতো সালে।
ভবিষ্যত বাণী হচ্ছে জ্যোতিষ শাস্ত্রের অংশ - সম্পূর্ণ শিরকি আকীদা।
আর আরেকটা
আছে
আপনি
অমুক
রাশি
- আপনি
এইরকম
হেন
তেন। আপনার অমুক হবে তমুক হবে।
এইগুলো কাফেরদের বানানো
কুফুরী
আকীদার
উপর
প্রতিষ্ঠিত। অনেকে আছে ইসলামি পেজের লেখাতে লাইক দেয় আবার ঐসব শিরকি কুফুরীর পেজে লাইক দেয় বা এপস ব্যবহার করেন।
আপনাদের জন্য আফসোস...
আপনারা ইসলাম
না
জেনে
রাস্তায়
হাটছেন
আর
এর
মাঝে
অজান্তেই শিরকি
কুফুরীর
গর্তে
পড়ছেন।
ছেলেদেরকে আমি বলবো অপদার্থ, useless.
প্রত্যেকটা জায়গায় জায়গায় মসজিদ। এই মসজিদগুলো থেকে ইসলাম শেখার কথা।
অবশ্য
মসজিদগুলোও মানুষকে
ইসলাম
শেখাতে
শোচনীয়
ভাবে
ব্যার্থ। ভন্ড বেয়াদব কতগুলো লোকেরা মসজিদ কমিটিতে বসে আছে আর এক শ্রেণীর স্বল্পশিক্ষিত হুজুর রেখে দিয়েছে যারা নামায পড়ানো ছাড়া আর কোনো কিছু করতে হবে বলে মনে করেন না।
অবশ্য
অনেক
ইমামেরা
নামাযটাও ঠিকমতো
পড়ান
না!
নারী বেচারিগুলোর হলো
বিপদ। না আছে মসজিদ না আছে মাদ্রাসা, ইসলাম শিখবেন কোথা থেকে? মানুষের কাছে জ্ঞান কি আকাশ বাতাস থেকে এমনি এমনিই চলে আসে?
বাপে ভর্তি
করে
দেয়
স্কুলে
যেইখানে
একশ্রেণীর মানুষ
পড়ায়
যাদের
ইসলাম
সম্পর্কে ক
অক্ষর
জ্ঞান
নাই।
এইভাবে অজ্ঞতার
উপর
বেড়ে
উঠে
বাংলাদেশের নারী
ও
পুরুষেরা।
এইগুলো দেখতে
ভালো
লাগেনা।
বিঃদ্রঃ এই অজ্ঞতার মাঝেও অনেকেরই হেদায়েত হয়। কিন্তু সঠিক ইলম এর অভাবে আবার গিয়ে পড়েন শিরক আর বেদাতের খপ্পরে।