“ফুলতলী” নামে
রিজভী বেরেলবীদের একটা পীরের তরীকা আছে। এরা মনে করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম “জীবিত”।
মারাত্মক রকমের
এই বেদাতীরা মনে করে কোনো জায়গায় মিলাদ (বেদাত) পড়া হলে সেই জায়গায় নাকি
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসেন, মিলাদে
শরীক হন (নাউযুবিল্লাহ, শেরেকী কথা)।
শুধু এইনা...
এরা মনে করে
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাজির নাজির (নাউযুবিল্লাহ, শেরেকী কথা) – তার
মানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব কিছু দেখেন, সবকিছু শুনেন, এমনকি
তিনি চাইলে যা ইচ্ছা করতে পারেন। মানে কবর থেকে কোনো মানুষকে সাহায্য করতে পারেন)
(নাউযুবিল্লাহ, শেরেকী কথা)।
এরা এতো
মারাত্মক রকমের গোমরাহ যে মিলাদ পড়লে একটা চেয়ার রেখে দেয়, এইখানে নাকি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম এসে বসবেন...লা হা’উলা ওয়ালা
ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ...এইজন্য নাকি দেওবন্দীদের মতো দাঁড়িয়ে মিলাদ পড়লে সেটা
বেয়াদবী হয়...আরে মূর্খ বেদাতীদের দল – প্রত্যেক
নামাযের বৈঠকে যে বসে বসে দুরুদ পড়ো তখন বেয়াদবী হয়না – এইসব হচ্ছে মানুষের বানানো বেদাত (ধর্মের নামে
নতুন আবিষ্কার) ও খোরাফাত (কুসংস্কার ও মিথ্যা বানোয়াট কাহিনী)।
এরা রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আলেমুল গায়েব মনে করে। ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম
শাফেয়ী আহমাদ, ইমাম মুহাম্মাদসহ সমস্ত ইমাম ও আলেমরা
একমত – এইসমস্ত কুফুরী আকীদা যারা রাখবে সেই
ব্যক্তি ইসলাম থেকে বের হয়ে কাফের হয়ে যাবে (নাউযুবিল্লাহ)।
আপনারা সাবধান
এই সমস্ত পীর নামের ধর্ম ব্যবসায়ীদের থেকে। এদের ব্যপারে নিজেদের আত্মীয়
স্বজনদেরকে ও কাছের মানুষদেরকে সতর্ক করবেন। এরা একবার যদি ব্রেইন ওয়াশ করতে পারে, সে আর কোনোদিন কুরআন ও সুন্নাহর মাঝে ফিরে
আসেনা। আর শিরক কুফুরী করে মারা গেলে পরিণতি বড়ই খারাপ। আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি
জাহান্নাম ও পথভ্রষ্টতা থেকে।
এই পীরদের আকীদা নিয়ে বিস্তারিত জানতে এটা দেখুনঃ
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/03/blog-post_7542.html
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/03/blog-post_7542.html