গান বাজনার সাথে জড়িত অনেককেই বানর ও শূকরে পরিণত করে দেওয়া হবেঃ
এক বোন অভিযোগ করেছেন...
বিয়ের প্রোগ্রামসহ অনেক কিছুতেই আজকাল ব্যপকভাবে গান
বাজনার প্রচলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এইসব প্রোগ্রামে এতোটাই ঘৃণ্য কার্যকপাল হচ্ছে
যে, আজকাল মুসলিম মেয়েরাও এইসব অনুষ্ঠানে নাচানাচি করছে...
গান বাজনা, নাচ এইসবের সাথে যারা জড়িত তাদের ভয় করা
উচিত আল্লাহ তাদেরকে বানর ও শূকরে পরিণত করে দিতে পারেন (নাউযুবিল্লাহ)!
এসম্পর্কে আমাদের আগের পোস্ট আবার দেওয়া হলোঃ
পাপ কাজকে বান্দাদের জন্য আকর্ষণীয় ও লোভনীয় করে দেওয়া হয়েছে, কারণ এই পাপ কাজের আড়ালেই রয়েছে “জাহান্নাম”।
পাপ কাজ করে যদি সাময়িক আনন্দ না থাকতো তাহলে হয়তো দুনিয়ার কেউই পাপ কাজে লিপ্ত হতো না। কিন্তু এই সাময়িক আনন্দের পেছনে রয়েছে অনেক দুঃখ...আর জাহান্নামতো হচ্ছে উত্তপ্ত অগ্নি...
তবে অনেক পাপ আছে যেইগুলোর শাস্তি দুনিয়াতেই দেওয়া হয়...
এইরকম একটা উদাহরণ হচ্ছে জেনা-ব্যভিচারের শাস্তি এইডস...এইডস যে কি ভয়ংকর একটা আযাব তা জানার জন্য আপনার কোনো এইডস রোগী দেখে আসতে পারেন। তার রোগের কষ্ট না, শুধু তার মানসিক কষ্টটাই যে কি মারাত্মক...লা হা’উলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ...
এইরকম গান-বাজনা, নৃত্য এইগুলোর কি কোনো শাস্তি দুনিয়াতে দেওয়া হবে??
উত্তর হচ্ছে, হ্যা হবে...এইরকম অনেকের নিকৃষ্ট শাস্তি দুনিয়াতেই হবে। আর পরকালের শাস্তিতো আরো মারত্মক। এইজন্য আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ
“ইন্না বাতসা রাব্বিকা লাশাদিদ”।
নিশ্চয়ই আপনার পালনকর্তার শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।
সুরা আল-বুরুজ।
কি শাস্তি হবে বলার আগেই বলে নেই প্রচলিত গান-বাজনা/হলুদ/পার্টি ইত্যাদি প্রোগ্রামগুলোতে যা থাকে...
১. উদ্দাম-উশৃংখলার গান-বাজনা, যা মানুষকে উন্মত্ত করে দেয়। এগুলো মানুষকে এতোটাই উন্মত্ত করে দেয় যে, নারীরা লাজ-শরম ভুলে নিজেদেরকে পুরুষদের কাছে বিলিয়ে দিতে দ্বিধা করেনা।
২. নর্তকী...পুরুষদের জন্য প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে ফাহেশা নারী। টাকার গোলাম কিছু প্রফেশনাল নারী, যারা আসলে একজন পতিতার চেয়ে বেশি কিছুনা, এদেরকে নিয়ে আসা হয় লম্পট-বেদ্বীন পুরুষদেরকে আকর্ষণ করার জন্য। আর পরিবেশ এমন হয়, অনেকে সাধারণ মেয়েরাও এই সমস্ত নর্তকীদের সাথে পুরুষদের মনোরঞ্জনে নেমে পড়ে।
৩. গায়িকা...কেয়ামতের একটা লক্ষণ, গায়িকার সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। কারণ নারীদের কন্ঠ লক্ষ লক্ষ যুবকের চরিত্রের শুদ্ধতা নষ্ট করে দিতে পারে।
৪. বিভিন্ন মাদক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য...
এই পার্টিগুলো অনেক তরুণের নেশা ধরার স্থান। ফ্রীতে দামী নেশাদ্রব্য খেয়ে বাকি জীবন নেশার পেছনেই ধ্বংস করে।
আপনারা জানেন কিনা জানিনা, কেয়ামতের ছোট যে লক্ষণগুলো হাদীসে বলা হয়েছে তার বেশিরভাগই ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে।
এইরকম দুইটা আশ্চর্য নিদর্শন আমি আপনাদেরকে আবার স্মরণ করিয়ে দেই।
১. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
“তোমরা একে-অপরকে হত্যা করবে। এমনকি মানুষ তার প্রতিবেশি, তার ভাইয়ের ছেলে এবং আত্মীয়দেরকে হত্যা করবে।”
ইবনে মাজাহঃ ২/৩২৯৮।
২-১ দিন আগে পত্রিকাতে দেখলাম নিকটাত্মীয় কেনো, এক নরপশু তার নিজের বাবাকে হত্যা করেছে। এর আগেও বহু খবর এসেছে ছেলে-মেয়ে বাবা বা মাকে হত্যা করেছে। আর এক মেয়েতো তার নিজের বাবা-মা উভয়কে হত্যা করে সবার কাছেই পরিচিত হয়ে গেছে। ব্যপারটা ২-১টা না, এমন অনেকই ঘটছে বর্তমান অধঃপতিত মুসলিম সমাজে।
২. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এক হাদীসে বলেছেন, “তোমরা ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানদের পদে পদে অনুসরণ করবে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ যদি প্রকাশ্যে তার মায়ের সাথে জেনা করে তাহলে তোমরাও তা করবে (নাউযুবিল্লাহ)।”
বাযযারঃ ১২১০৫।
***এই হাদীসের বাস্তবায়ন ইতিমধ্যেই হয়েছে। মায়ের সাথে না হলেও নিজের পরিবারের সাথে জেনা/ধর্ষণে লিপ্ত হয়েছে এমন কিছু নরপশুর কথা আমাদের জানা আছে। এছাড়া বিভিন্ন ফতোয়া ও ইসলামী জিজ্ঞাসার সাইটে এই সম্পর্কে বাস্তব ঘটনা নিয়ে ফতোয়াও জানতে চাওয়া হচ্ছে আজকালকার যুগে...ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
কেয়ামত কবে হবে কেউ জানেনা, কিন্তু এটা নিশ্চিত করেই বলা যায় খুব বেশি দেরী নেই...
যাইহোক এইবার আসি মূল আলোচনায়...গান বাজনার পার্টির শাস্তি...
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
“কেয়ামতের আলামত হচ্ছে (দ্বীনি) জ্ঞান উঠে যাওয়া, অজ্ঞতার সয়লাব হওয়া, মদ পান করা, ব্যভিচার ব্যপকতা লাভ করা।”
মুসলিম, কিতাবুল ইলম।
শেষ জামানার লক্ষণ হচ্ছেঃ
“গান-বাদ্য, গায়িকা ও মদপানকে হালাল মনে করা হবে।”
ত্বাবারানি।
এই সবগুলোই এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এইগুলোর শাস্তিঃ
“...ভূমিধ্বসে ধ্বংস করে দেওয়া হবে...মানুষের আকৃতি পরিবর্তন করা হবে...”
ত্বাবারানি।
কি আকৃতি পরিবর্তন করা হবে?
মানুষকে শূকর ও বানরে পরিণত করে দেওয়া হবে পূর্বে যেমন ইয়াহুদীদেরকে করা হয়েছিলোঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
“আমার উম্মতের কিছু সংখ্যক লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা পান করবে। তাদের মাথার উপরে গান-বাজনা ও নারী-নৃত্য চলতে থাকবে। আল্লাহ তাদেরকে মাটিতে ধসিয়ে দেবেন। আর তাদেরকে বানর ও শূকরে পরিণত করে দেবেন।”
ইবনে মাজাহঃ ২/৩২৪৭।
!!!বর্তমানে আমরা ঠিক এটাই দেখতে পাচ্ছিঃ এনার্জি ড্রিংকস, স্পিরিচিউয়াল ড্রিংকস, ইয়াবা, আফিম ইত্যাদি নামে নেশা করা হচ্ছে...মাথার উপরে মাইকে গান বাজনা হচ্ছে...স্টেজে নারীরা অশ্লীল বেহায়া নৃত্য করছে। বেনামাযি, কাফের, মুশরেকদের সাথে অনেকে নামাযি, আধা হিজাবী, দুর্বল ঈমানদার ভাই-বোনও এতে জড়িয়ে পড়ছে।
এদের শাস্তি স্বরূপ একদল লোকদেরকে মাটিতে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের দেশে ইতিমধ্যে যে বিল্ডিং ধ্বসে মারাত্মক দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে...নিঃসন্দেহে এইগুলো আল্লাহর আজাব-গজবের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। এমন হওয়াও অসম্ভব না যে – গান, গায়িকা, মদ, জেনার প্রাদুর্ভাব হিসেবে – এইগুলো সেই আজাবের অংশ, যা হাদীসে কেয়ামতের আলামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে!!!
হয়তো ভবিষ্যতে আরো এইরকম বিল্ডিং বা মাটি ধ্বসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এখনো বাকি রয়েছে...মানুষকে শুকর ও বানরে পরিণত করা। আল্লাহ তার নবী রাসুলদের যে ওয়াদা দিয়েছেন তা অবশ্যই সত্য। একদিন হয়তো এমন হবে, এইরকম গান-বাজনা, মদ, অশ্লীল নারীদের নৃত্যের কোনো প্রোগ্রামে মানুষেরা সারা-রাত আনন্দ ফূর্তিতে লিপ্ত থাকবে। আর সকাল বেলায় তাদেরকে বানর ও শূকরে পরিণত করে দেওয়া হবে...