নামাযে সুতরার বিবরণঃ
নামায পড়ার সময় সামনে একটা সুতরা রেখে নামায পড়তে হয়, এটা করা সুন্নত। সুতরা
অর্থ হচ্ছে - নামাযী ও তার সিজদা দেওয়ার জায়গার সামনে একটা দেয়াল, খুঁটি বা অন্তত আধা
হাত উঁচু যেকোনো একটা কিছুর বাঁধা থাকবে।
আবু দাউদ ৬৯৮, ইবেন মাজাহ ৯৫৪, ইবনে খুজাইমা ৮০৩।
সুতরা = নামাযী ব্যক্তির সামনে অন্তত ৩ হাত দূরে দেয়াল, লাঠি বা কাঠ জাতীয়
মোটামুটি এক বিঘত লম্বা কিছু রাখা, যার বাহির দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারে।
কেউ যদি সুতরা ছাড়া নামায পড়ে অথবা তার আর সুতরার মাঝখান দিয়ে কালো কুকুর অথবা
সাবালিকা কোনো নারী যায় তাহলে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
"তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নামায পড়ে সে যেনো সামনে একটা সুতরা দিয়ে নামায
পড়ে। কেউ যদি সুতরা ছাড়া নামায পড়ে আর তার সামনে দিয়ে যদি একটা কালো কুকুর অথবা সাবালিকা
কোনো নারী অতিক্রম করে তাহলে তার নামায নষ্ট হয়ে যাবে"।
এক সাহাবী জিজ্ঞাস করেনঃ লাল বা হলুদ না হয়ে শুধু কালো কুকুর কেনো?
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ "কালো কুকুর হচ্ছে শয়তান"।
হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে সহীহ মুসলিম এ।
# একাকী বা জামাতে, নারী বা পুরুষ সকলের জন্য সুন্নত হচ্ছে সুতরা রেখে নামায
পড়া।
# দুই পা থেকে সুতরা পর্যন্ত দুরত্ব আনুমানিক ৩ হাত হলেই চলবে। কেউ যদি সুতরা
না দিয়েই নামায পড়ে তাহলে, তার দাঁড়ানোর অন্তত ৩ হাত দূর দিয়ে হেটে যাওয়া যাবে। সুতরার
ভেতর দিয়ে নামাযীর সামনে দিয়ে যাওয়া মারাত্মক অপরাধ।
# সুতরার সুবিধা হলোঃ নামায সুরক্ষা হয়, দৃষ্টি সীমাবদ্ধ হয় ও নামাযে মনোযোগের
সুবিধা হয়।
# সুতরার ভেতর দিয়ে অথবা সুতরা না থাকলে নামাযী ব্যক্তির অন্তত সজিদা দেওয়ার
সামনে ৩ হাত জায়গার ভেতর দিয়ে কেউ যাওয়ার চেষ্টা করলে নামায পড়া অবস্থাতেই এক হাত দিয়ে
বাঁধা দেবে, এতে নামায ভাংবেনা। বাঁধা দেওয়ার পরেও কেউ না মানলে পরপর ৩ বার বাঁধা দিতে
হবে। এর পরেও যেতে চাইলে তার সাথে যুদ্ধ করবে। পুরুষ সামনে দিয়ে নামায ভাংবেনা তবুও
বাঁধা দেওয়ার কারণ হলো প্রত্যেক মানুষের সাথে ক্বারিন বা শয়তান সংগী থাকে। তাই সে সামনে
দিয়ে গেলে সেই শয়তান নামাযীর মনোযোগ নষ্ট করবে।