রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০১৪

দ্বীন VS দুনিয়া



...দ্বীন VS দুনিয়া...

আজকে কাজের প্রয়োজনে ঢাকার একটা ইউনিভার্সিটির ক্যম্পাসে বেশকিছু সময় কাটাতে হলো।

সুবহা'নাল্লাহ !

যদিও ভার্সিটি নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এইগুলোতে অধ্যায়নরত ছেলে মেয়েদের নাড়ি-নক্ষত্র আমার অজানা কোনো কিছুনা, তারপরেও বেশকিছু দিন পর প্রত্যক্ষ করে এইগুলোর ব্যপারে মানুষকে সতর্ক করে দেওয়া জরুরী মনে করছি। ইন শা’ আল্লাহ সময় করে এইগুলোর ব্যপারে বিস্তারিত লেখা হবে যাতে করে এইগুলোতে অধ্যায়নরত দ্বীনি ভাই ও বোনেরা নিজেদেরকে সতর্ক রাখতে পারেন।

লেখা পোস্ট করার আগে আজকে সংক্ষিপ্ত মেসেজ, তরুণ ভাই ও বোনদের উদ্দেশ্যে...

হে যুবক আবেগে গা ভাসিয়ে দিয়ে তুমি যা করছো, হয়তোবা খুব শীঘ্রই এর জন্য তোমাকে একদিন অনেক বেশি আফসোস করতে হবে...

গাফেল হয়ে যারা দ্বীনকে ছুঁড়ে ফেলে দুনিয়াকে নিয়েই সন্তুষ্ট হয়ে আছে তাদের বিষয়টা কুরআনে যেইভাবে তুলে ধরা হয়েছে...

“অতএব তারা সামান্য হেসে নিক, তারা তাদের কৃতকর্মের কারণে অনেক বেশি কাদবে।”
সুরা তাওবা-৮২।

একটা কথা স্বরণ করা যেতে পারে, বেনামাযি বেশকিছু মানুষ কিছুদিন আগে (যোহর+আসর+মাগরিব+এশার) নামায বাদ দিয়ে ক্রিকেট খেলা নিয়ে পড়ে ছিলো, অশ্লীল নাচ গান ও বাদ্য যন্ত্র নিয়ে পড়ে ছিলো, তরুণ তরুণীরা অশ্লীলতা, নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনার সমুদ্রে ডুবে ছিলো...
অথচ হারাম বিষকে কেন্দ্র করে আল্লাহর কাছেই মুনাজাত শুরু করে দিলো...
(এই সবগুলো ফেইসবুক নিউজ আপডেট থেকে জানা, এর জন্য আমার টিভি দেখার প্রয়োজন হয় নাই, আলহা’মদুলিল্লাহ)

এটাতো দুনিয়াতে সামান্য খেলার পরাজয়...
জাহান্নামে কঠিন শাস্তি (পাথর দিয়ে আঘাত করে মাথা টুকরো টুকরো করে দেওয়া, লোহার উত্তপ্ত আগেনের বেড়ি ও শিকল, খাদ্য হিসেবে আগুনের কয়লা যা ঢোক গিলে খেতে পারবেনা গলায় আটকে যাবে...ফুটন্ত গরম পানি - আগুনে পুড়ে পুড়ে এতো তৃষ্ণার্ত হবে যে তৃষ্ণার্ত উটের মতোই সেটা পান করবে...দুর্গন্ধযুক্ত কাটার ফল, পুঁজ...লা হা’ওলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!

এইগুলো যখন বিপদগামী লোকদের সামনে উন্মোচন করা হবে, তখনঃ

“কোন এক সময় কাফেররা আকাঙ্ক্ষা করবে যে, কি চমকার হত, যদি তারা মুসলমান হত!”
সুরা হিজরঃ

এমনকি আবার দুনিয়াতে ফিরে আসতে চাইবে…সুরা আল-মুমিনুনের এই আয়াতগুলো একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুনঃ

'উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম
“অতঃপর যখন শিংগায় ফুকার দেয়া হবে, সেদিন তাদের পারস্পরিক আত্নীয়তার বন্ধন থাকবে না এবং একে অপরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না।
যাদের পাল্লা ভারী হবে, তারাই হবে সফলকাম,
এবং যাদের পাল্লা হাল্কা হবে তারাই নিজেদের ক্ষতিসাধন করেছে, তারা জাহান্নামে চিরকাল বসবাস করবে।
আগুন তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে এবং তারা তাতে বীভস আকার ধারন করবে।
(তাদেরকে বলা হবে) তোমাদের সামনে কি আমার আয়াত সমূহ পড়ে শোনানো হত না? তখনতো তোমরা সেইগুলোকে মিথ্যা বলতে!
তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা দূর্ভাগ্যের কবলে নিপতিত ছিলাম এবং আমরা ছিলাম বিভ্রান্ত জাতি।
হে আমাদের পালনকর্তা! এই (জাহান্নামে কঠিন শাস্তি) থেকে আমাদেরকে তুমি উদ্ধার কর; আমরা যদি পুনরায় তা (দুনিয়ার জীবনে যেই পাপকাজগুলো করতাম) করি, তাহলে নিশ্চয়ই আমরা গোনাহগার হব।
আল্লাহ বলবেনঃ তোমরা ধিকৃত অবস্থায় এখানেই পড়ে থাক এবং আমার সাথে কোন কথা বলো না।
আমার বান্দাদের মাঝে একদল বলতঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা ঈমান এনেছি। অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু।
অতঃপর তোমরা তাদেরকে ঠাট্টার পাত্ররূপে গ্রহণ করতে। এমনকি, তা তোমাদেরকে আমার স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছিল এবং তোমরা তাদেরকে দেখে পরিহাস করতে।
আজ আমি তাদেরকে তাদের ধৈর্যের কারণে এমন প্রতিদান দিয়েছি যে, তারা এখন সফলকাম।
আল্লাহ বলবেনঃ বছরের গণনায় তোমরা পৃথিবীতে কতদিন অবস্থান করেছিলে?
তারা বলবে, আমরা একদিন অথবা এক দিনের কিছু অংশ সময় অবস্থান করেছিলাম। অতএব আপনি গণনাকারীদেরকে জিজ্ঞেস করুন।
আল্লাহ বলবেনঃ তোমরা সেখানে অল্পদিনই অবস্থান করেছ, যদি তোমরা জানতে?
তোমরা কি ধারণা কর যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার কাছে ফিরে আসবে না?
অতএব শীর্ষ মহিমায় আল্লাহ, তিনি সত্যিকার মালিক, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। তিনি সম্মানিত আরশের মালিক।
যে কেউ আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে ডাকে, তার কাছে যার সনদ নেই, তার হিসাব তার পালণকর্তার কাছে আছে। নিশ্চয় কাফেররা সফলকাম হবে না।
(হে নবী) আপনি বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা! আমাদেরকে ক্ষমা করুন ও আমাদের প্রতি রহম করুন। রহমকারীদের মধ্যে আপনিই শ্রেষ্ট রহমকারী।
সুরা আল-মুমিনুনঃ ১০১-১১৮।