শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

তোওবা না করে পাপে লিপ্ত থাকার পরিণাম মারাত্মক



***আলহামদুলিল্লাহ !!
আল্লাহ আমাদেরকে আরেকটা দিন বেচে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন, আমরা আরেকটা দিন তার ইবাদত করার সুযোগ পেলাম, তার কাছে তোওবা করার সুযোগ পেলাম, আলহামদুলিল্লাহ।

# তোওবা অর্থ হচ্ছে প্রত্যাবর্তন করা, সমস্ত প্রকার পাপের কাজের জন্য লজ্জিত হয়ে পাপ কাজ ছেড়ে দেওয়া এবং আল্লাহর কাছে ফিরে আসা, তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। নিজেকে সংশোধন করে নেওয়া।

# রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “অনুতপ্ত হওয়ার নামই হচ্ছে তোওবা।”
আহমাদ, ইবনে মাজাহ, হাদীস সহীহ, সহীহুল জামিঃ ৬৯০২।

# কেউ যদি পাপ কাজ ছেড়ে দিয়ে নিজের আমল সংশোধন করে নেয়, তাহলে আল্লাহ তাকে মাফ করে দেন, এমনকি তার অতীতের ভুলগুলোকে নেকীতে পরিণত করে দেন।

"কিন্তু যারা তওবা করে ঈমান আনে এবং সকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।"
সুরা আল-ফুরক্বানঃ ৭০।

# আর এর বিপরীতে যারা পাপ কাজ ছাড়বেনা ও নিজের আমল সংশোধন করবেনা তাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন,
"যারা তোওবা করবেনা তারাই হচ্ছে জালেম।"
সুরা আল-হুজুরাতঃ ১১।

এদের পরকালে শাস্তিতো আছেই, দুনিয়ার জীবনে এদের শাস্তি হচ্ছেঃ

"আল্লাহ জালেম সম্প্রদায়কে হেদায়েত করেন না।
সুরা আল-বাক্বারাহঃ ২৫৮।

***ক্রমাগত পাপ কাজে লিপ্ত থাকার কুফলঃ "রা'ন"

كَلَّا ۖ بَلْ ۜ رَانَ عَلَىٰ قُلُوبِهِم مَّا كَانُوا يَكْسِبُونَ

"কখনও না! বরং তারা যে (পাপ কাজ) করে, তাই তাদের হৃদয়ে "রা'ন" (মরিচা) ধরিয়ে দিয়েছে।"
সুরা আত-তিফফীনঃ ১৪।

আয়াতের তাফসীরে রাসুলুল্লাহ বলেছেনঃ
“বান্দা যখন কোন গুনাহ করে তখন তার হৃদয়ে একটি কাল দাগ পড়ে। পরে যখন সে গুনাহ থেকে বিরত হয় এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে ও তাওবা করে তখন তার হৃদয় উজ্জ্বল হয়ে যায়। কিন্তু সে যদি পুনরাবৃত্তি করে তবে কাল দাগ বৃদ্ধি পায়। এমনকি তার হৃদয়ের উপর তা প্রবল হয়ে উঠে। এই আবস্থাটিকেই আল্লাহ তা’আলা রা’ন (মরচে পড়া) বলে উল্লেখ করেছেন।"
সুনানে আত-তিরমিযীঃ ৩৩৩৪, হাদীসটি হাসান।

***আল্লাহ আমাদেরকে তোওবা করার সুযোগ করে দিন, আমিন।
তোওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য একটা দুয়া আছে, প্রত্যেকবার ওযু করার পরে একবার করে পড়তে হয়। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় অন্য দুয়া ও মুনাজাতেও এই দুয়া করা ভালো।

اَللَّهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ.

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাজ আ’লনী মিনাত তাওয়্যাবীনা ওয়াজ আ’লনী মিনাল মুতা-ত্বাহহিরীন।
অর্থঃ হে আল্লাহ, তুমি আমাকে তওবাকারী ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করো।
তিরমিযী ১/৭৯, শায়খ আলবানী এই হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।