‘নোমান আলী
খান’ এর আলেমদের কিছু নমুনাঃ
নোমান আলী খানের আকীদাহ স্পষ্ট নয়, আর
মানহাজের দিক থেকে সে ‘সালাফী মানহাজের’ বিপরীত।
নোমান আলী খানের আদর্শ হচ্ছে তারিক জামিল, হামযা ইউসুফ এবং ইয়াসির ক্বাদীর মতো
লোকেরা, যা সে নিজ ভাষায় স্পষ্ট করে বলেছে।
১. তারিক জামিল সাহেব
হচ্ছে পাকিস্থানে ‘দেওবন্দী তাবলিগী’ ফেরকার প্রধান,
কিন্তু তার কথাবার্তা বেরেলুবীদের মতোই ব্রেক ছাড়া। মিষ্টি মিষ্টি হাসি দিয়ে শিরকি
কুফুরী কিচ্ছা বয়ান করার কারণে বেরেলুবিদের মাঝেও তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
২. হামযা ইউসুফ হচ্ছে
একজন সূফী, যে কিনা হাবিব আল-জিফরির ঘনিষ্ঠ বন্ধু! হাবিব আল-জিফরির ব্যপারে শায়খ
সালিহ আল-ফাউজানের ফতোয়া হচ্ছে, “হাবিব আল-জিফরি
একজন বিদাতী, যে মানুষকে কবর পূজার দিকে দাওয়াত দেয়।” হামযা
ইউসুফ এর মতে, আকীদাহ হচ্ছে একটা রোগ! আমাদের আকিদাহ শেখার উপরে গুরুত্ব দেওয়া ঠিক
নয়।
৩. ইয়াসির ক্বাদী হচ্ছে
সেই লোক, যে কিনা “আমেরিকাকে
ভালোবাসা আমেরিকান মুসলমানদের জন্য ওয়াজিব” ফতোয়া
দিয়েছে। ক্বাদির স্পষ্ট মোটিফ হচ্ছে, উম্মাহকে স্কলারদের কাছ থেকে
ডিসকানেক্ট করা, যা শায়খ সালেহ আল-ফাউজান স্পষ্ট করে বলেছেন। ইয়াসির ক্বাদীর
বিভ্রান্ত এতো মারাত্মক ও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিগত কয়েক বছরে যে, আমার মনে হয়না
আজকের দিনে কোন আকল সম্পন্ন লোকের জন্য ইয়াসির ক্বাদীর পক্ষে সাফাই গাওয়ার তিল
পরিমান সুযোগ আছে। মজার ব্যপার হচ্ছে, ইয়াসির ক্বাদীর মতে বর্তমান যুগের জন্য
উপযোগী আলেম হচ্ছে মিশরের ইউসুফ আল-কারযাভী যিনি বাজে ফতোয়া দেওয়ার কারণে বহু
পূর্বেই বেশ নাম(!) করেছেন।