কিছুদিন আগে নোমান আলী খান মাওলানা তারিক জামিল
সাহেবের গলা জড়িয়ে ধরে বলেছিলো, তারিক জামিল হচ্ছে তার আদর্শ নায়ক। মিষ্টি মিষ্টি কথা
বলে ফালতু কাহিনী বলায় উস্তাদ একজন ব্যক্তি হচ্ছে তাবলিগ জামাতের কুখ্যাত ‘ভ্রান্ত হুজুর’ এই তারিক জামিল। সুতরাং,
এটা আশ্চর্য হওয়ার মতো কোন ব্যপার না যে, নোমান আলী খানও তার গুরুর মতোই ভক্ত-শ্রোতাদেরকে
হাসানোর জন্য সাহাবাদেরকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে জোকারের মতো কাহিনী বলে বেড়াবে। ইলম
নিতে হয় আ’লিমদের কাছ থেকে। বকতে পারলেই বক্তা হওয়া যায় ঠিক, কিন্তু
আ’লিম নাহ! প্রখ্যাত তাবেয়ী,
ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সিরীন রাহিমাহুল্লাহ বলেছিলেনঃ
“এই যে জ্ঞান (দ্বীনের
ব্যপারে), এটাই হচ্ছে তোমার দ্বীন। সুতরাং, কার কাছে থেকে তুমি দ্বীনের জ্ঞান নিচ্ছ
সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকো।” [সহীহ মুসলিম, মুকাদ্দিমা]
>> সতর্ক থাকতে হবে কেনো?
এ ব্যপারে শায়খুল ইসলাম, ইমাম ইবনে তাইমিয়া
রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন,
“দুনিয়াকে সবচেয়ে বেশি
ধ্বংস করেছে আধা বক্তা, আধা ফকীহ, আধা ডাক্তার এবং আধা ভাষাবিদ। এদের একজন (আধা বক্তা)
দ্বীনকে ধ্বংস করে, অপরজন (আধা ফকীহ) দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করে। আধা ডাক্তার মানুষের
শরীরকে নিঃশেষ করে। আর আধা ভাষাবিদ ভাষাকে বিনষ্ট করে।”
[মাজমাউল ফাতাওয়াঃ খণ্ড-৫, পৃষ্ঠা-১১৮]