“জাহান্নামের কুকুর” খারেজীদের সর্বশেষ
কুকীর্তিঃ (২৭শে জুন, ২০১৫)
ইরাকের খারেজী, যারা নিজেদেরকে দাইয়ি’শ বা #আইসিস বলে পরিচয়
দেয়, রমযান উপলক্ষ্যে তারা আত্মঘাতী বোমা হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। এই খারেজীরা শয়তানগুলো
এতোটাই নিকৃষ্ট যে, গতকাল কুয়েতের একটি মসজিদে জুমুয়া’হর নামায চলাকালীন সময়ে
বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অনেক শিয়াদেরকে নির্মনভাবে হত্যা করেছে। মসজিদে নামায পড়া মানুষদেরকে
তো দূরের কথা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম গির্জাতে
উপাসনারত খ্রীস্টানদেরকেও হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন! এছাড়া জুমুয়াহ উপলক্ষ্যে(!) তাদের
মতোই আরো কিছু সন্ত্রাসী দল যারা নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করে, একইভাবে কয়েকটি মুসলমান দেশে আক্রমন করে অনেক মানুষ
হত্যা করেছে। তারা শান্তিপূর্ণ মুসলমান দেশগুলোকে মুসলমানদের জন্য বসবাসের জন্য কঠিন
করে তোলার পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের দাবার গুটি হিসেবে কাজ করছে।
_________________________
শায়খ রামাযান আল-হাজিরি হা’ফিজাহুল্লাহর একটা কথা
খুব মনে পড়ে,
“আইসিস হচ্ছে রক্তপিপাসু
খুনির দল।”
_________________________
খারেজীদের কর্ম-কান্ডঃ একগুচ্ছ ফাসাদ ও ভ্রষ্টতার
নাম
১. নিরপরাধ সাধারণ মানুষ, শিশু এবং মহিলাদেরকে
হত্যা করা।
২. মিথ্যা।
৩. খেয়ানত করা।
৪. আত্মহত্যা।
৫. মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা।
৬. মসজিদ ও ইবাদতের স্থানকে ধ্বংস করা।
৭. সন্ধি ও চুক্তিতে আবদ্ধদেরকে হত্যা করা।
৮. ফেতনা সৃষ্টি করা।
৯. মতভেদের বীজ বপন করা এবং মতভেদের কারণ সৃষ্টি
করা।
১০. ইসলামের সুন্দর ছবিকে কলংকিত করা।
১১. ইসলাম শত্রুদের খুশী করার সুযোগ করে দেওয়া।
১২. ইসলামী রাষ্ট্রকে দুর্বল করা।
১৩. বিদআ’তীদের দলে যোগ দেওয়া।
১৪. মুসলিম শাসকের বিরোধিতা করে আল্লাহ ও তাঁর
রাসূলের বিরোধিতা করা।
১৫. আনুগত্যের হাত টেনে নেওয়া।
১৬. মুসলিমদের কাফের মনে করা।
১৭. মৃতদেরকে মুছলা করা। (মৃতের হাত, কান, নাক,
গলা কেটে ফেলা)।
১৮. মুসলিমদের যাকাত ও সাদাকা চুরি করা।
১৯. জীবন্ত মানুষকে আগুন দ্বারা শাস্তি দেওয়া।
২০. জ্ঞানীদের বিপক্ষে অবস্থান করে ‘জাহালত’ তথা অজ্ঞতা প্রচার
করা।
২১. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া।
২২. আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআ’তকে অপবাদ দেওয়া।
২৩. মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বন করা।
২৪. জালিয়াতি করা।
২৫. প্রতারিত করা।
২৬. মুসলিম দেশে গোপনে অবৈধভাবে প্রবেশ করা।
২৭. হারামাইন শরীফাইন (মক্কা ও মদীনার) দেশ এবং
মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলির চরম বিরোধিতা করতঃ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।
২৮. মুসলিম শত্রুদের মুসলিম দেশগুলিতে যুদ্ধ
করার রাস্তা তৈরি করে দেওয়া।
এই রকম প্রত্যেকটা পয়েন্টের গভীর বিশ্লেষণের
প্রয়োজন রয়েছে, তবে এসবই যে শরিয়াহ বিরোধী তা দলীল-প্রমাণে সাব্যস্ত।
মূলঃ ড. খালেদ বিন যাহভী আয-যুফায়রী।
অনুবাদঃ শায়খ আব্দুর রাকীব মাদানী।