শুক্রবার, ১৯ জুন, ২০১৫

আর এভাবেই আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেনঃ

আর এভাবেই আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেনঃ
উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম।
৮৩. এবং স্মরণ করুন আইয়্যুব (নবীর) কথা, যখন তিনি তার পালনকর্তার কাছে এই বলে দুয়া করেছিলেন, নিশ্চয়ই আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আর আপনিতো হচ্ছেন দয়াবানদের চাইতেও সর্বশ্রেষ্ট দয়াবান।
৮৪. অতঃপর আমি তার দুয়ায় সাড়া দিলাম এবং তার দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিলাম এবং তার পরিবার-পরিজনকে ফিরিয়ে দিলাম, আর তাদের সাথে তাদের সমপরিমাণ আরও দিলাম, আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহস্বরূপ, আর এটা ইবাদতকারীদের জন্যে উপদেশ স্বরূপ।
৮৫. এবং ইসমাঈল, দ্রীস ও যুলকিফলের কথাও স্মরণ করুন, তারা প্রত্যেকেই ছিলেন ধৈর্যশীল।
৮৬. আমি তাদেরকে আমার রহমতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছিলাম। তারা ছিলেন সৎকর্মপরায়ণ।
৮৭. আর আপনি মাছওয়ালা (ইউনুস আঃ এর) কথা স্মরণ করুন, তিনি (তার জাতির লোকদের প্রতি) ক্রুদ্ধ হয়ে তাদেরকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, অতঃপর মনে করেছিলেন যে, আমি তাকে ধৃত করতে পারব না। অতঃপর তিনি (তিমি মাছে পেটের) অন্ধকারের ভেতর থেকে দুয়া করেছিলেন, তুমি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই; তুমি পবিত্র, নির্দোষ! আর আমি গুনাহগার
৮৮. অতঃপর আমি তার দুয়ায় সাড়া দিলাম এবং তাকে দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনি ভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।
৮৯. এবং যাকারিয়ার কথা স্মরণ করুন, যখন সে তার পালনকর্তার কাছে দুয়া করেছিল; হে আমার পালনকর্তা আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস।
৯০. অতঃপর আমি তার দুয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্যে তার স্ত্রীকে প্রসবযোগ্য করেছিলাম। তারা সৎকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ত, তারা আশা ও ভীতি সহকারে আমাকে ডাকত এবং তারা ছিল আমার কাছে বিনীত।
সুরা আল-আম্বিয়াঃ ৮৩-৯০।