“নারীদের নামায পড়ার
সঠিক নিয়ম”
- আনসারুস সুন্নাহ।
____________________________
প্রশ্নঃ আস সালামু আলাইকুম ভাইয়া। আপনার এই পেইজটা
খুব ভালো লাগে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানা যায়। ভাইয়া আমি গত কয়েকটা দিন ধরে
নামায এর সঠিক নিয়ম নিয়ে খুব চিন্তিত আছি। সারা জীবন এক রকম করে পড়ে আসছি। কিন্তু এখন
শুনছি অন্য রকম। অনেক কনফিউশান. . .নামায শান্তি মতো পড়তে পারিনা। একটু কষ্ট করে যদি
সঠিক উপায়ে মেয়েদের নামায পড়ার নিয়ম হাদীস এর আলোকের ছবি দিয়ে একটা পোস্ট দিতেন, তাহলে
অনেক উপকার হতো।
____________________________
উত্তরঃ ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি
বারাকাতুহু। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে যখন আনন্দায়ক কোনো বিষয় আসত
তখন তিনি বলতেন,
«الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي بِنِعْمَتِهِ تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ»
উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী বিনি‘মাতিহী তাতিম্মুস সা-লিহা-ত।
অর্থঃ আল্লাহ্র জন্য সমস্ত প্রশংসা, যার নেয়ামত
দ্বারা সকল নেক কাজসমূহ সম্পাদিত হয়।
____________________________
অধিকাংশ মানুষ যা করে অথবা আমাদের বাপ-দাদারা
যা করে গেছে, সেটাই যে চূড়ান্ত হক্ক, এমনটা মনে করার সুযোগ নেই। বরং, আল্লাহ যখন যুগে
যুগে নবী রাসূল (আঃ) দেরকে পাঠিয়েছেন, তখন কাফের মুশরেকদের একটা স্বভাব হচ্ছেঃ ‘বাপ-দাদাদের তরীকার’ দোহাই দিয়ে হক্ককে
প্রত্যাখ্যান করা। মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
“আর যখন তাদেরকে কেউ
বলে যে, সে হুকুমেরই আনুগত্য কর যা আল্লাহ তাআ’লা নাযিল করেছেন, তখন
তারা বলেঃ কখনো না! আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব, যার উপরে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে
দেখেছি। যদিও তাদের বাপ দাদারা কিছুই জানতো না, জানতো না সরল-সঠিক পথও।” [সুরা আল-বাক্বারাহঃ
১৭০]
বাপ-দাদাদের তরীকা নয়, কোন পীর-বুযুর্গের তরীকা
নয় মুসলমান হিসেবে আমাদের সর্বোচ্চ সংবিধান হচ্ছে ক্বুরান ও সুন্নাহ। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“আমি তোমাদের মাঝে দুইটি
জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা এই দুইটি জিনিস আঁকড়ে ধরে থাকবে, তোমরা পথভ্রষ্ট
হবে না। তার একটি হলো আল্লাহর কিতাব (ক্বুরানুল কারীম), অপরটি হলো রাসুল এর সুন্নত।”
[সহীহ মুসলিমঃ ২৮১৭, আবু দাউদঃ ৪৫৩৩]
সুতরাং, আমাদের বাপ-দাদারা, অধিকাংশ মানুষ যাই
করুক না কেনো, আমাদেরকে দেখতে হবে ক্বুরান ও সুন্নাহতে কি আছে, ক্বুরান ও সুন্নাহতে
যা আছে সেটাই মানতে হবে। আর ক্বুরান ও সুন্নাহ অনুযায়ী যদি আমাদের বাপ-দাদারা ঠিক থাকে
তাহলে সেটা মানতে হবে, ক্বুরান ও সুন্নাহ বিরোধী কোন কিছু হলে, সেটা যেই করে থাকুক
না কেনো, আর যেই বলুক না কেনো, সেটা বাদ দিতে হবে। উল্লেখ্য, ক্বুরান ও সুন্নাহ আমরা
বুঝবো ও মানবো যেইভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সম্মানিত সাহাবারা বুঝেছিলেন
ও মেনেছিলেন। অমুক আর তমুকের মতোনা, বা নিজে নিজে যা বুঝি সেইভাবে নয়। আর সেইজন্যে
আমরা ওলামায়ে রব্বানীর শরণাপণ্ণ হবো। ওলামারা হচ্ছেন আমাদের শিক্ষক।
যাই হোক, আর কথা না বাড়িয়ে আমি মেয়েদের নামায
সঠিক নিয়ম ব্যক্ত করছি ইন শা’ আল্লাহ। যেহেতু নামাযের সাথে আরো কিছু
বিষয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেই জন্যে এর সাথে জড়িত অন্য বিষয়গুলোও আমিও উল্লেখ করছি। আমি
আমার সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এই লেখাগুলো ভুল ত্রুটি মুক্ত রেখে নির্ভরযোগ্য
ওলামাদের বক্তব্যের আলোকে লেখার জন্যে। তারপরেও কারো কাছে ভুল চোখে পড়লে আমাদেরকে জানানোর
জন্য অনুরোধ রইলো।
____________________________
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“সাল্লু কামা রায়াইতুমুনি
উ-সাল্লী”।
অর্থঃ তোমরা ঠিক সেইভাবে নামায পড় যেইভাবে আমাকে
পড়তে দেখেছো।
[সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম]
____________________________
নামাযের জন্য পূর্বশর্ত হচ্ছে ‘তাহারাহ’ বা পবিত্রতা। আর নারীদের
পবিত্রতা অর্জনের জন্য ঋতু সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরী।
এ সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরগুলো জানার জন্যে আপনারা এই লিংকে দেখুন –
““নারীদের ঋতু সংক্রান্ত
মাসয়ালাগুলোর সঠিক উত্তর””
https://www.facebook.com/dawati.kaj/photos/a.1539584829647010.1073741828.1440162482922579/1603682096570616/?type=1
____________________________
পেশাব-পায়খানার পর পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি জানার
জন্যে আপনারা এই লিংক দেখুন –
“ইস্তিঞ্জা ও ঢিলা কুলুখের
সুন্নতী তরীকা”
https://www.facebook.com/dawati.kaj/photos/a.1539584829647010.1073741828.1440162482922579/1603681379904021/?type=1
____________________________
ফরয গোসল আদায় করার নিয়ম জানার জন্যে আপনারা
এই লিংক দেখুন –
“সুন্নাহ অনুযায়ী ফরয
গোসলের বর্ণনা”
https://www.facebook.com/dawati.kaj/posts/1603684286570397:0
____________________________
ওযু করার সঠিক নিয়ম জানার জন্যে আপনারা এই লিংক
দেখুন –
“ওযু সম্পর্কে বিস্তারিত
বর্ণনা”
https://www.facebook.com/dawati.kaj/posts/1603684133237079:0
____________________________
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারী ও
পুরুষদেরকে আলাদা নামায পড়ার নিয়ম শিক্ষা দেন নাই! যেই নামায তিনি আবু বকর (রাঃ), উমার
(রাঃ) কে শিক্ষা দিয়েছেন, ঠিক সেই নামায তিনি শিক্ষা দিয়েছেন আয়িশাহ (রাঃ), ফাতেমা
(রাঃ) কে। সহিহ হাদীস অনুযায়ী নারী এবং পুরুষ উভয়ের নামায পড়ার সঠিক নিয়ম জানার জন্যে
ভিডিওতে দেখুন –
https://www.facebook.com/photo.php?v=516745365088418&set=vb.125167817515974&type=3&video_source=pages_video_set
এবার দুইটি পর্বে আমি ‘তাকবীর থেকে তাহরীমা’ পর্যন্ত নামায পড়ার
সঠিক নিয়ম বিস্তারিত বর্ণনা করছি। ছবিসহ নিচের দুইটি লিংকে আপনার দেখুন –
____________________________
নামায কিভাবে পড়তে হবে? (পর্ব – ১)
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/photos/a.130928300273259.14132.125167817515974/945779735454774/?type=1&relevant_count=1
____________________________
নামায কিভাবে পড়তে হবে? (পর্ব – ২, আজকে এই সিরিজের
শেষ পর্ব)
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/photos/a.130928300273259.14132.125167817515974/817329288299820/
____________________________
ফরয সালাত শেষে কি দুয়া পড়তে হবে?
https://www.facebook.com/dawati.kaj/photos/a.1539584829647010.1073741828.1440162482922579/1603778703227622/?type=1
____________________________
[সমাপ্ত]
[সমাপ্ত] [সমাপ্ত]