মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০১৫

‘মাজহুল’ বা অপরিচিত লোকের কাছ থেকে ইলম নেওয়া যাবেনা

আপনারা দ্বীন সম্পর্কে জানার জন্যে ফেইসবুক, ইউটিউব বা ইন্টারনেটে কার লেখা পড়ছেন, কার কথা শুনছেন, কাকে অনুসরণ করছেন বা উস্তাদ (শিক্ষক) হিসেবে কাকে নিচ্ছেন সেই ব্যপারে খুব সতর্ক থাকবেন। কারণ মাজহুল বা অপরিচিত লোকযে কোন আলেম এর ছাত্র নয় এবং যাকে কোনা আলেম চেনেন না, যার আকিদাহ মানহাজ স্পষ্ট নয়, সে কি হক্কপন্থী নাকি মনপূজারী বিদাতীদের অন্তর্ভুক্ত, এমন লোকের কাছ থেকে ইলম নেওয়া যাবেনা।
______________________________________
ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সিরীন রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
এই যে জ্ঞান (দ্বীনের ব্যপারে), এটাই হচ্ছে তোমার দ্বীন।
সুতরাং, কার কাছে থেকে তুমি দ্বীনের জ্ঞান নিচ্ছ,
সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকো।
______________________________________
ইমাম শুবাহ রাহিমাহুল্লাহ (মৃত্যুঃ ১৬০ হিজরী) বলেন,
ইলম তার কাছ থেকেই নাও, যে ব্যক্তি পরিচিত।
আল-জারহ ওয়াত-তাদীলঃ ২/২৮।
______________________________________
যে হক্কপন্থী ও বাতিলপন্থী দলের মাঝে কোন পার্থক্য করেনা,
সে একজন বেদাতী।
______________________________________
শায়খ সালেহ আল-লুহাইধান হাফিজাহুল্লাহ কে প্রশ্ন করা হয়েছিলো,
প্রশ্নঃ এক ব্যক্তি আহলে সুন্নাহ এবং আহলে বিদআহ সবার সাথেই বসে এবং বলে, এখন উম্মতের মাঝে অনেক বিভক্তি হয়েছে, তাই আমি সবার সাথেই বসি।
এমন দ্বাইয়ীদের ব্যপারে কি বলা হবে?

উত্তরঃ সে একজন বিদআতি। উম্মতের ঐক্যের স্বার্থে হক্ক (আহলে সুন্নাহ) ও বাতিল (আহলে বিদআহঃ শীয়া, সূফী, খারেজী ইত্যাদি দলের মাঝে) কোন পার্থক্য না করা একটা বিদআত। আমরা তার হেদায়েতের জন্য দুয়া করি।