বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০১৫

“কুল্লু নাফসিন যা-ইকাতুল মাওত”

কুল্লু নাফসিন যা-ইকাতুল মাওত
নিশ্চয়ই প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে।
[সুরা আলে ইমরান]
_____________________________
গত এক বছরে কত মানুষই হয়তোবা মৃত্যুর ডাকে সাড়া দিয়ে আল্লাহর কাছে চলে গেছে. . .যাদের অনেকে হয়তোবা আমাদের থেকেও বয়সে ছোট ছিলো. . .আমার থেকেও বয়সে ছোট এমনই একজন গত রমযানে জন্ডিসে আক্রান্ত ছিলো, ডাক্তারের নিষেধ সত্ত্বেও সবগুলো রোযা করেছিলো. . .গত এক বছরে অল্প সময়ের মাঝে অনেকগুলো বড় বড় বিপদ অতিক্রম করে. . .শেষ পর্যন্ত গত মাসে সিড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। দেশে ও বিদেশে বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পরে গত মাসের ৩০ তারিখে তাকে দেশে আনা হয়. . .অবশেষে এ মাসের ৪ তারিখে হঠাৎ অসুস্থ হলে ঢাকায় আনার পথে ইন্তেকাল করে. . .ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
আল্লাহ তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন (আমিন). . .একবার যে মৃত্যুবরণ করে আর কোনদিন সে ধোঁকায় পূর্ণ এই রঙ্গিন দুনিয়াতে ফিরে আসবেনা। চিঠি-পত্র, মোবাইল, টেলিফোন অথবা ইন্টারনেট. . .কোনভাবেই আমরা তার কোন খবর পাবোনা. . .আমরা দুনিয়াতে কত সময় নষ্ট করি, হারাম, পাপাচার, বেহুদা কথা ও কাজের পেছনে. . .অথচ কেউ যদি একবার দুনিয়ার ভুল-ত্রুটির কারনে কবরে আযাবের ফেরেশতার কছে ধরা পড়ে. . .কেয়ামত পর্যন্ত আফসোস করে যাবে, কেনো সে দুনিয়াতে ভালো কাজ করেনি এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকেনি?
_____________________________
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে, সে লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়।
সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেনঃ
এই অনুশোচনার কারণ কী?
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ
যদি সে নেককার হয় তবে এই কারণে অনুতপ্ত হয় যে, কেনো সে আরো অধিক নেককাজ করেনি। আর যদি লোকটা গুনাহগার হয় তবে সে এই কারণে অনুতপ্ত হয় যে, কেনো সে নিজেকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখেনি। [জামি তিরমিযী]
_____________________________

আসুন. . .আমাদের মৃত্যুর পূর্বেই তোওবা ও আনুগত্যের মাধ্যমে আমরা এই রমযানে আমাদের ব্ববের কাছে প্রত্যাবর্তন করি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাঁর সন্তুষ্টি মোতাবেক তাঁর সমস্ত ইবাদতগুলো করার তোওফিক দান করুন, আমিন।