মুফতি মেঙ্ক,
নোমান আলী খান, ইয়াসির ক্বাদী et al. নিয়ে কথা বললে যারা রাগ করেনঃ
____________________________
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে
তাইমিয়া রহিমাহুল্লাহ বলেন,
“বিদআ’তি নেতাদের মতোই ক্বুরআন ও
হাদীসের বিরোধীতাকারীদের ও ভুল আমলকারীদের অবস্থা (পথভ্রষ্টতা ও ভুলগুলো) মানুষের
কাছে তুলে ধরা ও তাদের থেকে উম্মতকে সতর্ক করা সর্বসম্মতক্রমে #ওয়াজিব।”
____________________________
ইমাম আহমাদ রহিমাহুল্লাহকে
জিজ্ঞাস করা হয়েছিলো, এক ব্যক্তি (নফল)
নামায পড়ে, রোয রাখে, ইতেকাফে বসে
ইত্যাদি। এই ব্যক্তির আমলগুলো আপনার কাছে বেশি প্রিয়? নাকি
এটা আপনার কাছে বেশি প্রিয় যে, সে ব্যক্তি বিদআ’তিদের সম্পর্কে কথা বলবে ও
তাদের ব্যপারে মানুষকে সতর্ক করবে?
উত্তরে ইমাম আহমাদ
রহিমাহুল্লাহকে বলেছিলেন, “যদি সে নামায, রোযা, ইতেকাফ ইত্যাদি ইবাদত-বন্দেগী করে তবে সেটা শুধুমাত্র তার একার জন্যই
কল্যানকর হবে। কিন্তু সে যদি বিদআ’তির বিরুদ্ধে কথা বলে তাহলে সেটা সমস্ত মুসলমানদের জন্য
কল্যানকর হবে। সুতরাং, এটাই তার জন্য উত্তম।”
[মাজমাউল ফাতওয়াঃ
২৮/২২১]
____________________________
শায়খ উয়াসী উল্লাহ আব্বাস হা’ফিজাহুল্লাহ বলেন,
=> “একজন মনপূজারী, বিদাতী
যার আকীদা ঠিক নয়, তার কাছ থেকে দ্বীন তো পরের কথা, এমনকি বাংলা বা ইংরেজী ভাষাও শেখাও ঠিক নয়।”
=> অনেকে বলে,
আমরা মানুষের (বিদাতীর) ভালোটা নেই আর খারাপটা বর্জন করি. . .তাদের
এই যুক্তিকে খন্ডন করে শায়খ হা’ফিজাহুল্লাহ বলেন,
“আপনি
যদি কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ এটা বুঝতেই পারেন, তাহলেতো আপনি নিজেই আলেম! আপনারতো আর বিদাতীর কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
আসল কথা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেনা কোনটা ভালো (হক্ক
বা সুন্নাহ) আর কোনটা মন্দ (বাতিল বা বিদাত), একারণে একজন
মনপূজারী বিদাতীর কথা শোনা যাবেনা।”
=> অনেকে নিজেদের ‘আকীদাহ’ ও ‘মানহাজ’ সম্পর্কে স্পষ্ট করে
বলেনা, ভ্রান্ত লোকদের কাছ থেকে ইলম নিয়ে কৌশলে আকীদাহ ও
মানহাজগত ভুলের দিকে মানুষকে আহবান করে, এমন লোকদের সম্পর্কে
শায়খ উয়াসী উল্লাহ আব্বাস হা’ফিজাহুল্লাহ আরো বলেন,
“যার
আকীদাহ ও মানহাজ স্পষ্ট নয় এমন কোন ব্যক্তির কাছ থেকে ইলম নেওয়া ঠিক নয়। এমন
লোকেরা ক্ষতিকর, এদের কারণে অনেক
তরুণেরা গোমরাহ হচ্ছে।”
____________________________
[সেলেব্রিটি
স্পিকারদেরকে নিয়ে লেখা এটা আমার সর্বশেষ পোস্ট]