মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

“দেওবন্দ” হাসপাতালের রোগীদের পরিচয়ঃ (সংক্ষিপ্ত)

দেওবন্দ হাসপাতালের রোগীদের পরিচয়ঃ (সংক্ষিপ্ত)

গতকাল আমি একটা পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম,
ইমাম আবু জাফর আত-তাহাবী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
শুধুমাত্র ফাসেক ও বোকা লোকেরাই তাক্বলীদ করে।
[লিসান আল-মীযানঃ ১/২৮০]

ইমাম তাহাবী রহঃ এর এই কথাটা আসলে ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ তার বিখ্যাত কিতাব লিসান আল-মীযান এর প্রথম খন্ডের ২৮০ নাম্বার পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন। হানাফী মাযহাবেরই একজন নির্ভরযোগ্য বড় ইমাম তাকলীদের এতো কড়া সমালোচনা করেছেন, এটা আহলে দেওবন্দের একজন সমর্থক সহ্য করতে পারেনি। #ফিকহে_হানাফী নাম নিয়ে কথিত সেই হানাফী পালটা মন্তব্য করে,

কোন গাঁজাখোর ছাড়া উক্ত মন্তব্য ইমাম ত্বাহাবীর দিকে নিসবত করতে পারেনা।

ফিকহে হানাফী আইডির মতো বা এরকম যারা আমাদের পাক-ভারত উপমহাদেশে হানাফী হওয়ার দাবীদার এরা আসলে হানাফী হয়, এরা হচ্ছে দেওবন্দী অথবা বেরেলুবী সিলসিলার সূফীদের মুকাল্লিদ। এরকম দেওবন্দ হাসপাতালের রোগীদেরকে চেনার কিছু লক্ষণ নিচে তুলে ধরা হলো।

১. হানাফী ও আহলে সুন্নাহ(!) নাম নিয়ে ধোঁকাঃ
ক. তারা দাবী করে তারা হানাফি, অর্থাৎ তারা ইমাম আবু হানীফা রহঃ এর অনুসারী। অথচ আকিদার ব্যপারেই তারা ইমাম আবু হানীফা রহঃ কে মানেনা।
খ. তারা দাবী করে তারা আহলে সুন্নাহ। কিন্তু তাদের মাযহাবে নাই এমন সুন্নাহর কথা শুনলেই তাদের গায়ে জ্বলুনি শুরু হয়ে যায়।
গ. তারা বলে চার মাজহাবই সঠিক, কিন্তু অন্য মাজহাব মানলে তাদের কাছে সেটা নতুন ফেতনা, যদিও সেটা প্রমানিত কোন সুন্নত হোক না কেনো।

২. আকিদাহঃ আশাআরি ও মাতুরিদি আকিদার অনুসারী।

৩. তরীকাঃ সূফী (চিশতি/ নকশাবন্দী/ মুজাদ্দেদী/ কাদেরী)।

৪. মানহাজঃ কট্টর সূফীবাদী ও জাহেল মুরুব্বীদের অন্ধ তাকলীদ, গালিগালাজ।

৫. শরিয়তের উৎসঃ মুরুব্বীদের জাল-জয়ীফ সমৃদ্ধ বয়ান, ঝুটা কিসসা-কাহিনী, কাশফ নাম দিয়ে শিরকি কাহিনী ও আজগুবী খাব (স্বপ্ন) ও আষাঢ়ে গল্প।


আমার কথাগুলোর সত্যতা জানার জন্য আপনারা দেওবন্দীদের লেখা আল-মুফান্নাদ, ফাজায়েলে আমাল, বেহেশতি যেওর, মকসুদুল মুমিনিন এরকম কিছু বই দেখতে পারেন।