ইমাম ও মুক্তাদী সকলকেই প্রত্যেক রাকাতেই সুরা ফাতেহা
পড়তে হবেঃ
নামায একাকী হোক কিংবা জামাতে, ইমাম কিরাত আস্তে পড়ুক অথবা উচ্চস্বরে. .
.ইমাম
ও মুক্তাদী সকলের জন্যই সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াজিব। যেই হাদীস দ্বারা এই মতটা সন্দেহাতীতভাবে
সঠিক বলে প্রমানিত হয়ঃ
উবাদা ইবনে সামিত
রাদিয়াল্লাহু আ’নহ থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমরা কি ইমামের ক্বিরাআত
পাঠ করা অবস্থায় পিছনে কিছু পাঠ করে থাক? (তোমরা) এটা করবে না। বরং কেবলমাত্র সুরা
ফাতিহা চুপে চুপে পাঠ করবে।”
[বুখারীঃ ৭৫৬, মুসলিমঃ ৩৯৪, তিরমিযীঃ ২৪৬, ইবনে মাজাহঃ ৮৩৭]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী
রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
“উবাদা রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বর্ণিত
হাদীসটি হাসান ও সহীহ। এই বিষয়ে আবু হুরায়রা, আয়িশাহ, আনাস, আবু কাতাদা ও আবদুল্লাহ
ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। উমর ইবনুল খাত্তাব, আলী ইবন আবী
তালিব, জাবির ইবন আবদুল্লাহ, ইমরান ইবন হুসায়ন রাদিয়াল্লাহু আনহ প্রমুখ সাহাবী এই হাদীছ
অনুসারে আমল করেছেন। তাঁরা বলেছেন, সূরা ফাতিহা পাঠ ব্যতিরেকে সালাত জায়েয হবে না।
ইমাম আব্দুল্লাহ ইবন মুবারক, ইমাম শাফিঈ, ইমাম আহমদ, ইমাম ইসহাক ও এই অভিমত ব্যক্ত
করেছেন।”
[তিরমিযীঃ ২৪৬ নম্বর
হাদীসে টীকা দ্রষ্টব্য]