শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

মৃত্যুর পূর্বে ও পরের সুন্নত ও বিদআ'ত

মৃত্যুর পূর্বে ও পরের সুন্নত ও বিদআ'তঃ

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
যার জীবনের শেষ কথা হবে
لَا إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া আর কোন সত্য মাবূদ (বা উপাস্য) নেই।
সে ব্যক্তি (ক্ষমা পেয়ে সরাসরি অথবা, পাপের শাস্তি ভোগ করার পরে কোন একদিন) জান্নাতে প্রবেশ করবে
আবু দাউদঃ ৩/১৯০, হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী সহীহ তিরমিযীঃ ৩/১৫২।

একারণে মৃত্যু পথযাত্রীর সামনে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে তাকে কালেমা স্বরণ করিয়ে দিতে হবে। উল্লেখ্য, সুরা ইয়াসীন বা অন্য কোন দুয়া/সুরা পড়লে মওতের কষ্ট, মৃত ব্যক্তির অথবা কবরে শায়িত ব্যক্তির আজাব মাফ হয়, এই হাদীস সহীহ নয়। সুতরাং নামধারী আলেম যারা আসলে অল্পশিক্ষিত হুজুর তাদেরকে ভাড়া করে এনে অথবা আত্মীয়-স্বজন নিজেরা মিলে মূমুর্ষূ ব্যক্তি, মৃত লাশ বা কবরের সামনে ক্বুরান তেলাওয়াত করা, ক্বুরান খতম দেওয়ানো বিদাত।


এইরকম বিদআত করলে সম্ভাবনা আছে উল্টা মৃত ব্যক্তিকে আরো বেশি শাস্তি দেওয়া হতে পারে। সেইজন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা পূর্বেই পরিবারের লোকদেরকে ওয়াসীয়ত করে যাবেন, কারো মৃত্যুর পরে আত্মীয়-স্বজনরা যেন চিতকার করে কান্নাকাটি ও বুকফাটা বিলাপ, বুকে ও মাথায় হাত চাপড়ানো, কাপড় ছিড়ে ফেলা, মেজবানী খাওয়ানো, কোন ধরণের বিদাতী দুয়া, দুরুদ, মিলাদ-কিয়াম, ফাতেহা পাঠ, চিল্লা-চল্লিশা, কুলখানি, মৃত্যুবার্ষিকী, স্বরণসভা, ২-৪ মিনিট নীরবতা পালন করা. . .এমন কোন অনুষ্ঠান পালন না করে। এই সবগুলো কাজ নিকৃষ্ট হারাম ও মারাত্মক বেদাত। এইগুলো আত্মীয়-স্বজন বা বনধু-বান্ধবদের মাঝে কেউ করলে আপনারা এমন বিদাতি দাওয়াতে শরীক হবেন না, সেইগুলোতে বিলানো কোন খাবার খাবেন না অথবা এইগুলোতে কোনভাবে সাহায্যও করবেন না।