আপনারাই বলুন কোন বিবেকবান মুসলমান শহীদ
মিনারে ফুল-চন্দন দিতে পারে?
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন গ্রামে বড় হই।
গ্রামে আমাদের বাগানে অনেক ফুল ফুটতো. . .সেইজন্য মাঝে মাঝে হিন্দুরা আসতো ফুল নিতে।
এই ফুল দিয়ে তারা মূর্তিকে দিয়ে পূজা করতো, তাদের ঠাকুর দেবতাদেরকে শ্রদ্ধা জানাতো।
তখন ইসলাম সম্পর্কে এতো কিছু জানতাম না, সেইজন্য আমরা ফুল দিতে তাদেরকে মানা করতাম
না। যাই হোক, আমার মনে হয়না কোন মুসলমান এই কথাকে অস্বীকার করতে পারবে যে, ইট-পাথর,
মিনার, সৌধ বা স্তম্ভে ফুল দিয়ে পুষ্পাঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি, পুষ্পার্ঘ দেওয়া. . .এই
সংস্কৃতি হিন্দুদের কাছ থেকে এসেছে। হিন্দুরা মূর্তিকে ফুল দেয়. . .আর অজ্ঞ, নামধারী
মুসলমান, মুনাফেক শ্রেণীর রাজনীতিবিদেরা অলি-আওলিয়ার নামে, শহীদের নামে, পাথর, সৌধ
বা মিনারের নামে ফুল দেয়। এইসমস্ত বিভ্রান্ত লোক যারা পুরো বাঙালি মুসলমানদের উপর এইরকম
জঘন্য শিরকি প্রথা চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে রাসুল সাঃ এর একটি সহীহ
হাদীস ও ক্বুরানের একটা আয়াত তুলে ধরতে চাই,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“মান তাশাব্বাহা বি ক্বাওমিন
ফা হুয়া মিনহুম” অর্থাৎ, কোন ব্যক্তি যেই জাতির অনুকরণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত
বলেই গণ্য হবে।
সুতরাং যারা হিন্দুদের অনুকরণ করবে তারা
হিন্দুদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে, যারা ইয়াহুদী-খ্রীস্টানদের অনুকরণ করবে তারা ইয়াহুদী-খ্রীস্টানদের
অন্তর্ভুক্ত বলেই গণ্য হবে।
মহান আল্লাহ্ তাআ’লা বলেন,
“নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর
সাথে শিরক করে, আল্লাহ তাআ’লা তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন আর তার জন্য জাহান্নাম অবধারিত
করে দেন। আর জালিম (মুশরিকদের) জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”
[সূরা আল-মায়িদাহঃ ৭২]