বৃহস্পতিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

দুনিয়ার ধোঁকা

ক্বুরান ও হাদীস থেকে কিছু মূল্যবান কথাঃ নিজে পড়ুন, শেয়ার করে অন্যকেও পড়ার সুযোগ করে দিন।

প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
লোভ-লালসা দ্বারা জাহান্নামকে ঢেকে রাখা হয়েছে, আর দুঃখ-কষ্ট দিয়ে জান্নাতকে ঢেকে রাখা হয়েছে।
[সহীহ বুখারীঃ ৬৪৮৭]

এইজন্যে আল্লাহ তায়া'লা দুনিয়া সম্পর্কে বলেছেন,
দুনিয়ার জীবন ধোকায় পূর্ণ সাময়িক ভোগ-বিলাসের বস্তু ছাড়া আর কিছুইনা।
সুরা আলে-ইমরানঃ ১৮৫।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একদিন উমার (রাঃ) এর ছেলে আব্দুল্লাহ (রাঃ) এর কাধের উপর হাত রেখে উপদেশ দিয়ে বলেছিলেন,
তুমি দুনিয়াতে এমনভাবে বসবাস করো, যেনো তুমি এই দুনিয়াতে একজন মুসাফির বা পথিক।
[সহীহ বুখারীঃ ৬৪১৬]

এই কথাগুলো নিয়ে যারা চিন্তা-ভাবনা করবেনা, হালাল-হারাম কি তা চিনবেনা ও মানবেনা, সেই সমস্ত সীমালংঘনকারী নারী ও পুরুষদেরকে আল্লাহ এই বলে সতর্ক করে দিয়েছেন,

নিশ্চয়ই সীমালংঘনকারী অবাধ্য লোকদের জন্যে জাহান্নাম শত্রুর মতো ওত পেতে বসে আছে, তাদেরকে গ্রাস করার জন্য। তারা সেখানে শতকের পর শতক ধরে থাকবে। কিন্তু সেখানে তারা তৃপ্তিদায়ক কোন খাবার বা পানি খেতে পারবেনা। তাদেরকে শুধুমাত্র ফুটন্ত গরম পানি ও দুর্গন্ধযুক্ত পচা পূজ খাওয়ানো হবে। এটাই হচ্ছে তাদের উপযুক্ত প্রতিদান, কারণ তারা হিসাব-নিকাশের কোন পরোয়া করতোনা। আর আমার আয়াত (বা নিদররশন) স্মূহকে মিথ্যা বলতো।
সুরা নাবার ২২-২৮ আয়াতের তর্জমা থেকে নেওয়া।

দুনিয়াতে প্রধান কয়েকটি বিষয়, যেই ব্যপারে অধিকাংশ মানুষই সীমালংঘন করে দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ঃ

১. জিহবা - প্রতারণা ও মিথ্যা কথা বলা, গীবত ও চোগলখুরী করা, অশ্লীল কথা বলা ও গালি দেওয়া, কটু কথা বলে ও অহংকার করে মানুষকে কষ্ট দেওয়া।

২. লজ্জাস্থান - যিনা, ব্যভিচার, প্রেম-ভালোবাসা, পরকীয়া, বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড, বেগানা নারী-পুরুষদের দিকে দৃষ্টিপাত করা, অস্লীলতা ও নগনতা, বেহায়াপনার নাটক-সিনেমা দেখা, গান শোনা।


৩. সম্পদ - সুদ, ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, হারাম ইনকাম, নাজায়েজ কাজ করে তার উপার্জন, অপচয় করা, কৃপণতা করা।