“গর্ব বা অহংকার
হারাম ও কবীরাহ গুনাহ”
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“যার অন্তরে সরিষার দানা
(অর্থাৎ সামান্যতম) পরিমাণও অহংকার আছে, সে (প্রথম পর্যায়েই)
জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না এবং যার অন্তরে সরিষার দানা (সামান্যতম)
পরিমাণ ঈমান আছে সে জাহান্নামে (স্থায়ীভাবে) প্রবেশ করবে না।”
সহীহ মুসলিমঃ ৯১, তিরমিযীঃ ১৯৯৮, আবু দাউদঃ ৪০৯১, আহমাদ ৩৭৭৯, হাদীসটি সহীহ, শায়খ আলবানী।
“যারা
অহংকারী,
কেয়ামতের দিন তাদেরকে পিঁপড়ার সমান মানুষ করে উঠানো হবে. . .সমস্ত
প্রকার লাঞ্চনা ও গঞ্ছনার মাঝে তারা পড়বে (মানুষ পিষে ফেলবে, পায়ে মাড়িয়ে দেবে ইত্যাদি)। তাদেরকে জাহান্নামীদের রক্ত ও পূজ খাওয়ানো হবে।” [নাউযুবিল্লাহি
মিন যালিক...লা হা'উলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!]
তিরমিযীঃ
১০(৩/২০২৫)।
কিছু অহংকারী লোকদের
পরিচয়ঃ
১. সত্য
জানার পরেও তার প্রত্যাখ্যানকারী, কাফের ও মনপূজারী বিদাতীরা।
২. অন্য
মুসলমান ভাই ও বোনদেরকে যারা ছোট নজরে দেখে বা তাদেরকে অপমান করে।
৩. বেনামাযী।
৪. টাখনুর
নিচে কাপড় পরিধানকারী পুরুষ।
৫.
বেপর্দা-বেহিজাবী নারী।
৬. স্বামীর
অবাধ্য স্ত্রী।
৭. স্ত্রীর
উপর জুলুমকারী ও স্ত্রীকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যকারী স্বামী।
৮. যারা
ধন-সম্পদ, বিদ্যা-বুদ্ধি, শারীরিক সৌন্দর্য নিয়ে বড়াই করে।
৯. অহংকারবশত
যারা আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
১০. দেশ,
ভাষা বা জাতি বা বংশ নিয়ে যারা মিথ্যা গর্ব করে বেড়ায়।