রবিবার, ১ মার্চ, ২০১৫

দ্বীনদার কিন্তু ‘গরীব’ একটি ছেলে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে এল।

=> দ্বীনদার কিন্তু গরীব একটি ছেলে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে এল। কিন্তু পাত্রি পক্ষ প্রস্তাবে রাযি হল না।

=> আরেকটি বে-নামাজি এবং ফাসেক চরিত্রের ছেলে কিন্তু সে ধনবান প্রস্তাব নিয়ে এল। তার প্রস্তাবে তারা রাযি হয়ে গেল। তারা বলল, আমরা আশা করছি ছেলেটি হেদায়াত হয়ে যাবে, ভাল হয়ে যাবে।

এই যুক্তি তো প্রথম ছেলেটির ব্যাপারেও দেয়া যেত যে, আশা করা যায় আল্লাহ তাকে ধনবান করে দিবেন। হেদয়াতের মালিক ও সম্পদ প্রদানের মালিক কি এক আল্লাহই নন?

মহান আল্লাহ্‌ বলেন-
তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
সুরা আন নুরঃ ৩২।

কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে মানুষ ধন-সম্পদের ব্যাপারে নগদ-নগদ চায়, আর দ্বীনদারী বাকির খাতায় পরে থাক। রাসূল (সাঃ) বলেন, যদি দ্বীনদার ও চরিত্রবান কোন যুবক তোমাদের কাছে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে আসে, তবে তার সাথে তোমাদের মেয়ের বিবাহ দিয়ে দাও। যদি তোমরা তা না কর, তবে পৃথিবীতে বড় ধরণের ফেতনা হবে বড় ধরণের ফাসাদ হবে। [তিরমিযী, মিশকাত হা/৩০৯০]

মুহাম্মাদ (সাঃ) খালিফা হওয়া সত্ত্বেও তিনি আলী (রাঃ) মত দরিদ্র পাত্রের সাথে তার আদরের কন্যা ফাতিমা (রাঃ) কে বিবাহ দেন অথচ তার চেয়ে অনেক ধনী ব্যক্তির সাথে তিনি দিতে পারতেন কিন্তু তিনি দেননি। এই ব্যাপার গুলো কি আপনারা বুঝেন বা চিন্তা-ভাবনা করেন??

আরেকটি হাদিস পেশ করব, আবু আব্বাস সাহ্‌ল ইবনে সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নাবী (সাঃ) এর পাশ দিয়ে পার হয়ে গেল, তখন নাবী (সাঃ) তার পাশে বসে থাকা এক লোককে জিজ্ঞাস করলেন- আচ্ছা, এই ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার মন্তব্য কি? তখন লোকটি বলল- আল্লাহ্‌র কসম! সে কোথাও বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে। এবং কারো জন্য সুপারিশ করলে তা কবুল করা হবে। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নীরব থাকলেন। কিছুক্ষন পর আকের ব্যক্তি পার হয়ে গেল। তখন নাবী (সাঃ) তার পাশে বসে থাকা লোকটিকে জিজ্ঞাস করলেন- আচ্ছা, এই ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার অভিমত কি? তখন লোকটি বলল- হে আল্লাহ্‌র রাসুল! এ তো একজন গরীব মুসলমান। সে এমন ব্যক্তি যে, সে কোথাও বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এবং কারো জন্য সুপারিশ করলে তা কবুল করা হবে না এবং সে কোন কথা বললে তা শ্রবণযোগ্য হবে না। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন এই ব্যক্তি দুনিয়া ভর্তি ঐরূপ ব্যক্তির চাইতে বহু উত্তম।
সহিহ বুখারীঃ ৫০৯১, ৬৪৪৭।


Collected from Shaykh Abdullah al-Kafi