‘বড়
আলেম’ বা ‘মুফতি’ বলতে আমরা সাধারণত যা বুঝি, বাংলা অথবা ইংরেজী
ভাষাভাষী দ্বাইয়ীদের মাঝে তেমন কেউ নেই। শায়খ আব্দুর রাক্বীব মাদানী এটা নিয়ে সুন্দর
একটা পোস্ট দিয়েছিলেন, আলেম কাকে বলে ও আলেমদের যোগ্যতা নিয়ে। নিজেকে ‘আহলে হাদীস’ বলে পরিচয় দিলেই কেউ সমস্ত ব্যপারে চূড়ান্ত
হক হয়ে যায়না। (আমাদের দেশীইয় আলেমদের মাঝে) সাধারণত যারা নিজেদেরকে ‘আহলে হাদীস’ বলে পরিচয় দেন, তাদের মাঝে কিছু ব্যপারে ভুল
থাকা অসম্ভব কোন ব্যপার না, তবে প্রচলিত যেই অপবাদগুলো দেওয়া হয় (পেট্রোডলার শায়খ,
দরবারি আলেম, জিহাদ বিমুখ, মাদখালী…)
আল-কায়েদাহ/ দাইয়িশ/ আইসিস, তাকফিরি, ইখোয়ানি ও হিযবুত তাহরীর, দেওবন্দী, তাবলিগির
মতো ভ্রান্ত মতবাদের অনুসারীদের পক্ষ থেকে, এইগুলোর পেছনে ‘হাওয়া’ (প্রবৃত্তি) ও জাহালত (অজ্ঞতা/মূর্খতা) ছাড়া
আর কোন ভিত্তি নেই। আশা করি আপনারা সকলেই ‘দ্বীনের’ ব্যপারে কঠোরতা এবং উদাসীনতা, এই দুই চরমপন্থা
থেকেই সতর্ক থাকবেন। বর্তমান পৃথিবীতে বড় ওলামাদের মাঝে একজন হচ্ছেন ফযীলাতুশ-শায়খ
আল্লামাহ ওয়াসী উল্লাহ আব্বাস হা’ফিজাহুল্লাহ,
যিনি মসজিদুল হারাম বা কাবার একজন সম্মানিত মুদাররিস ও ডেপুটি মুফতি। তিনি ঈমান, আকীদাহ
ও মানহাজ, ফিকহ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপরে উর্দুতে নিয়মিত দারস দেন, যার অডিও-ভিডিও
ইন্টারনেটে এভেইলেবেল। অনারবদের মাঝে আমরা যারা আরবী ভাষা বুঝিনা, যারা সত্যিকারে ‘ইলমের’ অনুসন্ধানকারী, তারা সেলেব্রিটি আলেম, ইউটিউব
বক্তা ও ফেইসবুক মুফতিদের বিভ্রান্তিতে না পড়ে, শায়খ উয়াসী উল্লাহর আব্বাস হা’ফিজাহুল্লাহর এর কাছ থেকে উপকৃত হতে পারি ইন
শা’ আল্লাহ্। আল্লাহ্ তাআ’লা আমাদের সকলকেই সিরাতাল মুস্তাকীমের উপরে মৃত্যু
দান করুন, আমিন।