কাকে
‘বন্ধু’ হিসেবে নিচ্ছেন?
অনেকে
নিজে নামায পড়ে, গান শুনেনা ঠিকই কিন্তু. . .বেনামাযী, দ্বীনের ব্যপারে উদাসীন, গান-বাজনা
ও অশ্লীল নাটক সিনেমাতে আসক্ত, অবৈধ সম্পর্কে জড়িত এমন ফাসেক ছেলেদেরকে বন্ধু বানায়.
. .তাদের সাথে উঠা-বসা করে আর দ্বীনের ব্যপারে স্যাক্রিফাস করে চলে. . .তাদের পাপ কাজগুলো
দেখে আর মনে মনে সেইগুলোর প্রতি লালায়িত থাকে। আবার অনেকে নিজে হিজাব-পর্দা করে কিন্তু.
. .অহংকারী বেহিজাবী নারীদেরকে বন্ধু বানায়, তাদেরকে উপদেশ দেয়না. . .আস্তে আস্তে অজ্ঞ
ও ফাসেক বান্ধবীর পাল্লায় পড়ে তারাও একসময় ছেলেদেরকে ‘বন্ধু’ হিসেবে নেয় ও তাদের সাথে উঠা-বসা করে, ঘুরতে
বের হয়, ছবি তুলে নেটে প্রচার করে, কূটনামী ও বাতিল চিন্তা-ভাবনার দিকে ঝুঁকে পড়ে।
এ ধরণের অদূরদর্শী আচরণের কারণে তারা একসময় নিজেদের দ্বীনের ক্ষতি করে. . .।
সেইজন্য,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে সতর্ক করে বলেছেন, “একজন মানুষ তার বন্ধুর দ্বীনের অনুসারী হয়ে থাকে।
সুতরাং সে যেনো লক্ষ্য রাখে, সে কার সাথে বন্ধুত্ব করছে।”
আত-তিরমিজিঃ
২৩৭৮, হাদীসটি হাসান সহীহ, শায়খ আলবানী রহঃ।
একজন
কবি কতইনা সুন্দর বলেছিলেন,
“সৎ
সঙ্গে র্স্বগবাস, অসত্ সঙ্গে র্সবনাশ!”
সুতরাং,
আপনারা মুত্তাক্বী, ধার্মিক ও নামাযী, সত্যবাদী, বিনয়ী. . .যে মানুষকে সৎ কাজের দিকে
আহবান জানায় ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করে. . .এমন কোন ব্যক্তি ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু বানাবেন
না। তবে সবার সাথে ভালো ও সৌহার্দমূলক আচরণ করবেন, তাদের সামনে ইসলামের অনুপম সৌন্দর্য
তুলে ধরুন উত্তম আচরণের মাধ্যমে, কিন্তু তাদেরকে আন্তরিক বন্ধু বানাবেন না।